Image
একুশের প্রথম প্রহরে জামায়াত মহানগর এর দোআ অনুষ্ঠিত

একুশের প্রথম প্রহরে জামায়াত মহানগর এর দোআ অনুষ্ঠিত

একুশের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশ জামায়াতের নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাখা এর উদ্যোগে দোআ অনুষ্ঠিত।  দোআ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর শাখার সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয়  কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ , ভাষা শহীদ  সহ সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে দোআ অনুষ্ঠানে এছাড়া উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর সেক্রেটারি জনাব ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসাইন , মহানগর সহকারী সেক্রেটারি জনাব এইচ এম নাসির উদ্দিন। শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি হাফেজ আব্দুল মোমিন ও জামায়াত নেতা এডভোকেট আক্তার হোসাইন সহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। 


Image
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ

নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জে জনৈক অস্ত্রধারী ব্যক্তিকে জামায়াতে ইসলামীর লোক হিসেবে কয়কেটি ফেসবুকে প্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে ২০ ফেব্রুয়ারি বিবৃতি দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মুহাম্মদ মমিনুল হক সরকার ও সেক্রেটারি মুহাম্মদ হাফিজুর রহমান।
বিবৃতিতে তারা বলেন, “ছবিতে উল্লেখিত ব্যক্তির জামায়াতে ইসলামী করা তো দূরের কথা আমাদের কোনো পর্যায়ের দায়িত্বশীল ও জনশক্তির সাথে তার ন্যূনতম কোনো পরিচয় ও কোনো ধরনের সম্পর্কও নেই।
বিবৃতিতে তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী একটি আদর্শবাদী ও সুশৃঙ্খল সংগঠন। এই সংগঠনের কোনো নেতাকর্মী কোনো প্রকার সন্ত্রাস বা অস্ত্রবাজির সাথে জড়িত থাকার প্রশ্নই আসে না।
জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, এই অস্ত্রধারীকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় আনতে হবে এবং যারা অপপ্রচার চালাচ্ছেন তাদেরকে আমরা অপপ্রচার থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তারা আরও বলেন, জামায়াতে ইসলামীর আদর্শিক অগ্রযাত্রা এবং জনগণের মাঝে জামায়াতে ইসলামী দিন দিন জনপ্রিয় সংগঠনে পরিণত হওয়ায় একদল কুচক্রি মহল জামায়াতের বিরুদ্ধে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
অপপ্রচার বন্ধ না হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।


Image
জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে স্বেচ্ছায় কারাবরণের ঘোষণা দিলেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান।


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেল এ.টি.এম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি না দেওয়াতে আজ বিকালে নিজের ভেরিফাইড পেজে স্বেচ্ছায় কারাবরণের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর। উল্লেখ্য আজ ১৪ বছর ধরে কারাবন্দী জামায়াত নেতা জনাব আজহারের মামলার আপিল বিভাগের শুনানীর দিন নির্ধারিত ছিল। শুনানির কার্যতালিকায় ৯ নম্বরে ছিল জনাব আজহারের রিভিউ শুনানী। তবে সময়ের অভাবে আজ শুনানি হয় নি।
নিচে উনার ফেসবুক পোস্টটি তুলে ধরা হল।



প্রিয় দলীয় সহকর্মীবৃন্দ ও সম্মানিত দেশবাসী,
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
আপনারা নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন, ফ্যাসিবাদের নিষ্ঠুর জুলুমের শিকার মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম সাহেব এখনও বন্দি রয়েছেন।
একে একে সকল জাতীয় নেতৃবৃন্দ মুক্তি পেলেও তিনি বৈষম্য ও জুলুমের শিকার হয়ে বন্দি জীবনের কঠিন বোঝা বহন করে চলেছেন।
তাঁকে কারাগারে রেখে বাইরে অবস্থান করা আমার পক্ষে আর একেবারেই সম্ভব নয়। আমরা সরকারকে যথেষ্ট সময় দিয়েছি।
এই জুলুমের প্রতিবাদে এবং জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম এর মুক্তির দাবিতে আমি নিজে গ্রেফতার হওয়ার জন্য ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং তারিখে আদালত প্রাঙ্গনে হাজির থাকবো।
আইন মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সময় মতো আমাকে যথাস্থানে পাবেন, ইনশাআল্লাহ।


Image
দেশের ক্রিটিক্যাল মুহুর্তে যারা দেশের স্বার্থের বিরোধী হয়ে কাজ করবে, তারা ইতিহাসের গনআদালতে দেশদ্রোহী হিসাবে চিহৃত হয়ে থাকবে।


দেশের ক্রিটিক্যাল মুহুর্তে যারা দেশের স্বার্থের বিরোধী হয়ে কাজ করবে, তারা ইতিহাসের গনআদালতে দেশদ্রোহী হিসাবে চিহৃত হয়ে থাকবে।


আর ২৪ 'শের জুলাই বিপ্লব তাদের জন্য  বড় একটি ম্যাসেজ হতে পারে । সেটি হলো জুলাই বিপ্লবে সমগ্রজাতি ফ্যাসিজমের বিরুদ্ধে একাট্টা হয়েছিলো। রাজনৈতিক দল ছাড়াও যে কোন অন্যায়ের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হতে পারে ,  এটি ফ্যাসিজম লালনকারীদের জন্য একটি বড় সতর্ক সংকেত ।

সো-সাবধান! দেশের কল্যাণে সবাই মিলে কাজ করতে পারাই একজন একজন নাগরিকের জন্য গৌরবের ও সম্মানের ।


 নারায়ণগঞ্জ মহানগরী  আমীর, মুহাম্মদ আবদুল জব্বার


Image
অবিলম্বে এ.টি.এম আজহারকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আমাদের বিক্ষোভ-সমাবেশ-আন্দোলন কোন ভাবেই বন্ধ হবে না

আওয়ামী ফ্যাসীবাদীদের পতন হলেও মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম এখনো কারাগারে অন্তরীণ রয়েছেন; তাই আমাদের স্পষ্ট ঘোষণা, অবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আমাদের বিক্ষোভ-সমাবেশ-আন্দোলন কোন ভাবেই বন্ধ হবে না বরং জনগণ তাদের নেতাকে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করেই ছাড়বে’ বলে সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।
তিনি আজ  বিকাল ৫টায় রাজধানীর পল্টন মোড়ে কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসাবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের যৌথভাবে আয়োজিত এ বিক্ষোভ পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. মুহা. শফিকুল ইসলাম মাসুদ এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিমের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসেন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার, ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোস্তফা, দক্ষিণের নায়েবে আমীর আব্দুস সবুর ফকির ও এডভোকেট হেলাল উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আতিকুর রহমান,ঢাকা জেলা আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসেন,  ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি মাহফুজুর রহমান, নাজিমুদ্দিন মোল্লা ও ডা.ফখরুদ্দিন মানিক এবং ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন, কামাল হোসেন ও ড. আব্দুল মান্নান প্রমূখ। বিক্ষোভ মিছিল পল্টন মোড় থেকে শুরু হয়ে শাহবাগে এসে সমাবেশে  মাধ্যমে সমাপ্তি হয়
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত আওয়ামী ফ্যাসীবাদীরা দেশে অপশাসন- দুঃশাসন চালিয়েছে। এ সময় বাকশালীরা জামায়াতকে বিশেষভাবে টার্গেট করে দলের শীর্ষনেতাদের একের এক গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করেছে। এ সঙ্কটকালে জনাব এটিএম  আজহারুল ইসলাম দলের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করছিলেন।  কিন্তু আওয়ামী তাদের পথের কাঁটা সরানোর তাকেও মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে দীর্ঘ ১৩ বছর পর্যন্ত সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে আটক করে রেখেছে। আমীরে জামায়াত সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখে বলে বলেন, দেশ ফ্যাসীবাদ মুক্ত হলেও এটিএম আজহার মুক্ত হলেন না কেন ? তিনি সরকারের কাছে আজহারুল ইসলামের মুক্তির সময়সীমা জানতে চেয়ে বলেন, আমরা তার মুক্তি কবে হবে তা সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই। আমাদের উদারতা ও ভদ্রতাকে দুর্বলতা মনে করবেন না। তিনি এ বিষয়ে সরকারের শুভবুদ্ধির উদয় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার আগস্ট বিপ্লবের সকল মজলুম একে একে মুক্তি লাভ করলেও এটিএম আজহারই ব্যক্তিক্রম। মূলত, তিনি সহ  জামায়াতের শীর্ষনেতারা ফ্যাসীবাদের সাথে আপোষ করেন নি বলেই তাদের ওপর ইতিহাসের বর্বর ও নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছে। শীর্ষনেতাদের ফাঁসির মঞ্চে পাঠানো আগেও তাদেরকে নানাবিধ আপোষ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু আমাদের আপোষহীন ও অকুতোভয় নেতারা সেসব প্রস্তাবকে পায়ের তলে ফেলে শাহাদাতকে হাসিমুখে বরণ করে নিয়েছেন । আর আমরা তাদেরই উত্তরসূরি। তাই আমরা চরম ধৈর্যের সাথে পরিস্থিতি মোকাবেলা করছি। কিন্তু সবকিছুর সীমা আছে।
তিনি অবিলম্বে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি, দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ও দলীয় নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান।
আমীরে জামায়াত বলেন, আমরা বিগত সাড়ে ১৫ বছর ফ্যাসীবাদের জুলুম-নির্যাতন ধৈর্য ও সাহসিকতার  সাথে মোকাবেলা করেছি। কিন্তু আমরা কারো সাথে আপোষ করিনি। কিন্তু দেশ এখনো বৈষম্যমুক্ত হয়নি। তাই দেশ যতদিন বৈষম্যমুক্ত না হবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম বন্ধ হবে না। কারণ, আমাদের বিজয় সবে শুরু হয়েছে কিন্তু শেষ হয়নি। তিনি উচ্চকিত কন্ঠে স্লোগান দিয়ে বলেন, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ; শেষ হয়নি যুদ্ধ’। তিনি জনতার উদ্দেশ্যে প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের যুদ্ধ-সংগ্রাম চলছে এবং চলবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি মহল বিশেষকে সতর্ক  করে দিয়ে বলেন, ফ্যাসীবাদের ভাষায় কথা বলবেন না। রাজনৈতিক ভাষায় কথা বলুন। আমাদের ভয় দেখাবেন না; চোখ রাঙিয়ে কথা বলবেন না। আমরা কারো চোখ রাঙানীকে ভয় করিনা। তিনি সকল প্রকার দলমতের উর্ধ্বে ওঠে সকল প্রকার ফ্যাসীবাদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, এটিএম আজহারুল ইসলামকে বিচারের নামে প্রহসন ও ক্যাঙ্গারু কোর্টের মাধ্যমে গুরুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে। কিন্তু স্বৈরাচারের পতনের পরও তার মুক্তির দাবি নিয়ে আমাদেরকে রাজপথে নামতে হয়েছে। তিনি অনতিবিলম্বে এটিএম আজহারের মুক্তি, দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ফিরে দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় আগামী দিনের আন্দোলনকে সর্বাত্মক রূপ দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন।
সভাপতির বক্তব্যে নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আওয়ামী ফ্যাসীবাদের পতনের পর অনেকের নামে মামলাগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। কিন্তু জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে ১৪ বছর কারারুদ্ধ থাকলেও সরকার তার মুক্তির ব্যবস্থা করেনি। দলীয় নিবন্ধন এবং প্রতীকের বিষয়টি অমিমাংসিতই রয়ে গেছে। তিনি টালবাহানা বন্ধ  করে অবিলম্বে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি, দলীয় নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত দিতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় দুর্বার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করা হবে।


Image
জামায়াত নেতা আজাহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে নারায়ণগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর হসপিটাল মোড় থেকে মহানগরী ও জেলা জামায়াতের উদ্যোগে দলের সহিস্রাধিক নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বিকেল ৪:৩০ ঘটিকায় খানপুর হসপিটাল রোডে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে
মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সভাপতির সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ এর সাবেক আমির মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমদ বলেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীণ ভাবে ভারতীয় প্রভুত্ববাদ মেনে না নেওয়ায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ওপর নির্যাতনের স্টিম রোলার চালিয়েছিলো। তিনি আরো বলেন ক্যাঙারু বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের হত্যা ও কারান্তরীণ করা হয়েছে। প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ বলেন, বিগত জুলুমবাজ সরকার ফাঁসি দিয়েছে মতিউর রহমান নিজামীকে, ফাঁসি দিয়েছে আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদকে, ফাঁসি দিয়েছে কাদের মোল্লা সহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে। ৬/৭ মাস আগে যারা আন্দোলন করেছিলো, তারা বৈষম্য দূর করতে চেয়েছিলো, তারা ন্যায় বিচারের লক্ষ্যে জাস্টিস কায়েম করতে চেয়েছিল।বাংলাদেশ বৈষম্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে, এই সরকার জাস্টিস কায়েম করতে ব্যর্থ হয়েছে। আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়ার আগে পর্যন্ত বৈষম্য দূর করা যাবে না। বাংলাদেশে ২৪ এর আন্দোলনে যে চেতনা ছিলো, সেই চেতনার আলোকে আজহারুল ইসলামকে মুক্তির দাবি করেন। তিনি বলেন প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসী আপনারা জানেন, নারায়ণগঞ্জে যেই সন্ত্রাস বাহিনী ছিলো তারা পালিয়েছে। আমি আপনাদেরকে ন্যায়ের পথে, সৎ শাসনের পক্ষে থাকার আহবান জানাচ্ছি।
তবে ৫ আগস্টে দেশ ফ্যাসিজম মুক্ত হওয়ার পর অনেকেই কারাগার থেকে মুক্তি পেলেও জামায়াত নেতা আজহারুল ইসলাম কে ১৫ বছরের অধিক সম্পুর্ন অন্যায় ভাবে আটক করে রাখা হয়েছে। আমরা বলতে চাই অনতিবিলম্বে আমাদের মজলুম নেতা কে মুক্তি দিতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় জেলা আমির মমিনুল হক সরকার বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমাদের জনপ্রিয় নেতা এটিএম আজহার ভাইকে মুক্তি না দিলে দূর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্তির ব্যবস্থা করা হবে ইনশাআল্লাহ।
সভাপতির বক্তৃতায় মহানগর আমির মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসররা প্রশাসনে এখনো বহাল তবিয়তে, যার কারনে আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত, দ্রুত সময়ের মধ্যে দোসরদের উৎখাত করতে হবে, সেই সাথে এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি নিশ্চিত ও দলীয় নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরিয়ে দিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন অন্যথায় কঠোর থেকে কঠোর আন্দোলনের
ডাক দেওয়া হবে।
মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায়
এসময় অন্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন জেলা সেক্রেটারি মো হাফিজুর রহমান, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুন্না, মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, মহানগরী ও জেলা কর্ম পরিষদের সদস্য ও থানা, ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মী ।



Image
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলামের মায়ের মৃত্যুতে মহানগরী আমীর ও সেক্রেটারির যৌথ শোক সমবেদনা

নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলামের মায়ের মৃত্যুতে মহানগরী আমীর ও সেক্রেটারির যৌথ শোক সমবেদনা

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ

 
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি মুহতারাম মোঃ সাইফুল ইসলাম ভাইয়ের মা ১৭ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক বিকাল ৫ ঘটিকায়  গাজীপুরে তার সেজো ছেলের  বাসায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
মরহুমার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সম্মানিত আমীর মুহতারাম মুহাম্মদ  আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি মুহতারাম  ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন।
যৌথ শোক বাণীতে নেতৃবৃন্দ মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। নেতৃবৃন্দ শোকবানীতে বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন মরহুমার সকল গুনাহ মাফ করেন এবং তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকামের মেহমান হিসেবে কবুল করেন। সাথে সাথে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সকল সদস্য যেন সবরে জামিল ধারণ করতে পারেন আল্লাহর নিকট সেই তৌফিক কামনা করে


Image
মগবাজারে জামায়াতের গণসংযোগ  ও মিছিল


বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী হাতিরঝিল থানা পশ্চিমের উদ্যোগে ঢাকা উত্তরের ৩৫নং ওয়ার্ড মহল্লায় গতকাল শুক্রবার জুমা’র নামাজ শেষে গণসংযোগ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারি মু. আতাউর রহমান সরকার।

গণসংযোগে উপস্থিত ছিলেন থানা আমীর মো. ইউছুফ আলী মোল্লা, নায়েবে আমীর নুরুল ইসলাম আকন্দ, থানা সেক্রেটারি মো: রাশেদুল ইসলাম, থানা কর্মপরিষদ সদস্য , আকতার হোসাইন,শামীম হোসাইন, মহিউদ্দিন গাজী,ওয়ার্ড সভাপতিআব্দুল বাশির ইকবাল হোসেইন,আশিকুর রহমান  প্রমুখ।

গণসংযোগ ও মিছিলটি মগবাজার চান জামে মসজিদ গেট থেকে শুরু হয়ে মগবাজারের বিভিন্ন মহল্লা প্রদক্ষিণ করে ওয়্যারলেস মোড়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।


Image
বিমানবন্দর থানায় জামায়াতের কর্মী সম্মেলন

পতিত স্বৈরাচার নতুন করে দেশ ও জাতিস্বত্ত্বাবিরোধী গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে; তাই ফ্যাসীবাদের সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন
তিনি আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বিমানবন্দর থানা জামায়াত আয়োজিত এক কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা এনামূল হক শিপনের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি আব্দুল্লাহর পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম,কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য জামাল উদ্দিন।
সেলিম উদ্দিন বলেন, দেশ এক মহাক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। অর্জিত বিজয় ও বিপ্লবকে বিতর্কিত করার জন্য পতিত ফ্যাসীবাদ এবং তাদের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করার নানাবিধ অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। এমতাবস্থায় দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জামায়াতে ইসলামী সহ দেশপ্রেমী শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। গড়তে হবে জামায়াত-শিবির-জনতার বৃহত্তর ঐক্য। তাহলে গণবিরোধী ও আধিপত্যবাদীদের সকল স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। মূলত, অর্জিত বিজয়কে টেকসই ও দেশে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হলে প্রতিটি ঘরে ঘরে মানুষের মধ্যে গণসচেতনা তৈরি করতে হবে। তিনি দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় দেশপ্রেমী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড. রেজাউল করিম বলেন, আওয়ামী-বাকশালীরা কথাকথিত বিচারের নামে দেশকে বাধ্যভূমিতে পরিণত করেছিলো। তারা জনপ্রিয় ও দেশবরণ্যে জাতীয় নেতাদের হত্যা করে দানবীয় মাতমে মেতে উঠেছিলো। আওয়ামী লীগ লাখ লাখ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীর নামে নির্বিচারে মামলা, গণগ্রেফতার, রিমান্ডের নামে নির্যাতন এবং মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অভিযোগে সাজানো বিচারের মাধ্যমে নানাভাবে দণ্ডিত করেছিলো। কিন্তু ইতিহাসের নির্মম পরিহাসে তারা এখন ক্ষমতা হারিয়ে ব্যাপকভিত্তিক গণহত্যার অভিযোগে হাজার হাজার মামলার মুখোমুখি হয়ে তাদের নেত্রী শেখ হাসিনা সহ প্রায় সকলেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য, গুম, অপহরণ, গুপ্তহত্যা নানা ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ রয়েছে।
তিনি খুনী শেখ হাসিনা সহ তার দোসরদের অবিলম্বে বিচারের মুখোমুখি করতে সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় দেশ ও জাতি কলঙ্কমুক্ত হবে না।



Image
মোহাম্মদপুরে জামায়াতের সুধী সমাবেশ

ইসলাম একটি শ্বাসত ও পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, তাই শুধুমাত্র কুরআন-সুন্নাহর আলোকে ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক শাসন ব্যবস্থায় পারে অধিকারহারা মানুষের অধিকারের নিশ্চয়তা দিতে’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
তিনি আজ রাজধানীর একটি মিলনায়তনে মোহাম্মদপুর থানা পশ্চিম জামায়াত আয়োজিত এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমীর মোঃ মাসুদুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী মোঃ রবিউল ইসলামের রুবেলের পরিচালনায় সুধী সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের গণমানুষের নেতা মোবারক হোসাইন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিস শূরা ও মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য জিয়াউল হাসান, বক্তব্য রাখেন, জোন টিম সদস্য ডা. শফিউর রহমান, অ্যাডভোকেট আজহার মুন্সি, সাইয়েদ মনজুর, মুক্তিযোদ্ধা শামসুদ্দিন, থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য ইবাদত হোসেন, নূরে আলম সিদ্দিকী, রুহুল আমিন, আশরাফুল আলম, সাইফুর রহমান, আবুল কালাম আজাদ, মুফতি মারুফ বিল্লাহ, এ্যাডভোকেট তাইয়্যেবুর রহমান ও আলী আহমেদ মজুমদার প্রমূখ।
মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, মানবরচিত মতবাদ কখনোই মানুষের জন্য কল্যাণকর নয়। তাই দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র, অপশাসন-দুঃশাসনমুক্ত করতে ইসলামী শাসন ব্যবস্থার বিকল্প নেই। তিনি পতিত সরকারের অপশাসন-দুঃশাসনের ফিরিস্তি দিয়ে বলেন, আওয়ামী স্বৈরাচার রাষ্ট্রীয় সকল কাঠামো ভেঙে দিয়েছে। তাদের লুটপাট, দুর্নীতি, হত্যা, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য দেশে এক কলঙ্কিত ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ফ্যাসীবাদী শাসনে দুর্নীতি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি এবং লুটতরাজ একটি স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছিলো। তারা পরিকল্পিতভাবে দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ধ্বংস করে দিয়ে দেশকে মাফিয়াতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিণত করেছিলো। কেড়ে নেওয়া হয়েছে গণমানুষের সকল মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু তাদের শেষ রক্ষা হয়নি বরং ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লবে তাদেরকে লজ্জাজনকভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।
তিনি বলেন, বিপ্লবী ছাত্র-জনতা দেশে ন্যায় ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার জন্যই রাজপথে অকাতরে জীবন দিয়েছিলো। তাদের স্লোগান ছিলো ' We want justice' । তাই সে বিপ্লবের চেতনা ধারণ করে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল শ্রেণির মানুষের মৌলিক অধিকার ও নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে হবে। মূলত, জামায়াতে ইসলামী একটি গণমুখী ও কল্যাণকামী রাজনৈতিক সংগঠন।আমরা এমন একটি আদর্শ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে চাই, যেখানে সকল মানুষ তাদের ন্যায্য অধিকার পাবে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি ইসলামী শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে মোবারক হোসাইন বলেন, জামায়াতে ইসলামী মানবতার সেবা; সমাজের ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা আর্ত- মানবতার মুক্তি ও মুক্তির জন্য দেশকে ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা এমন এক ইনসাফপূর্ণ ইসলামী সমাজ কায়েম করতে চাই, যেখানে সকল নাগরিকের নিরাপত্তা, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। তিনি ঢাকা-১৩ আসন সহ ঢাকা নগরীর সকল আসনে সৎ,যোগ্য প্রার্থীকে বিজয়ী করে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার আন্দোলনকে গতিশীল করতে নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।