Image
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের সাবেক সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলামের মায়ের মৃত্যুতে মহানগরী আমীর ও সেক্রেটারির যৌথ শোক সমবেদনা

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাবেক সহকারী সেক্রেটারি মুহতারাম মোঃ সাইফুল ইসলাম ভাইয়ের মা ১৭ ফেব্রুয়ারি আনুমানিক বিকাল ৫ ঘটিকায় গাজীপুরে তার সেজো ছেলের বাসায় ইন্তেকাল করেছেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

মরহুমার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সম্মানিত আমীর মুহতারাম মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ও সেক্রেটারি মুহতারাম ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন।

যৌথ শোক বাণীতে নেতৃবৃন্দ মরহুমার আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। নেতৃবৃন্দ শোকবানীতে বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন মরহুমার সকল গুনাহ মাফ করেন এবং তাকে জান্নাতুল ফিরদাউসের উচ্চ মাকামের মেহমান হিসেবে কবুল করেন। সাথে সাথে শোক সন্তপ্ত পরিবারের সকল সদস্য যেন সবরে জামিল ধারণ করতে পারেন আল্লাহর নিকট সেই তৌফিক কামনা করেন।



Image
জননেতা এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের প্রস্তুতি সমাবেশ

মজলুম জননেতা এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল সফল করার লক্ষ্যে বিশেষ দায়িত্বশীল সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী।
রবিবার সকালে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানবাজারের বাংলাদেশ ইসলামিক একাডেমির (বিআইএ) চট্টগ্রাম মহানগরী জামায়াতের মিলনায়তনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সংসদীয় দলের সাবেক হুইপ, চট্টগ্রাম মহানগরী আমীর ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আমীর আলাউদ্দিন সিকদার, নগর জামায়াতের নায়েবে আমীর ড. আ জ ম ওবায়েদুল্লাহ ও মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন, দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা খাইরুল বাশার, মুহাম্মদ উল্লাহ ও ফয়সাল মুহাম্মদ ইউনুস, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. এ কে এম ফজলুল হক, কর্মপরিষদ সদস্য ডা. সিদ্দিকুর রহমান, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, ওলামা বিভাগের সেক্রেটারি মাওলানা মমতাজুর রহমান, কোতোয়ালী থানা আমীর মুহাম্মদ আমির হোসাইন, কর্মপরিষদ সদস্য আবু বক্কর ছিদ্দিক, হামেদ হাসান এলাহী, ছাত্রশিবির চট্টগ্রাম মহানগর উত্তরের সভাপতি তানজির হোসেন জুয়েল প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা মজলুম জননেতা এটিএম আজহারের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি রোজ মঙ্গলবার বিকাল তিনটায় চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে মজলুম জননেতা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারের মুক্তির দাবিতে বিশাল সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। দলে দলে যোগ দিয়ে সমাবেশ সফল করার আহ্বান জানান তারা।
বক্তারা আরও বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো মামলায় প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করে দীর্ঘ দিন ধরে কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে জননেতা এটিএম আজহারকে। স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ পালাতে বাধ্য হলেও তাকে মুক্তি দেয়া হয়নি। অনতিবিলম্বে মজলুম জননেতা এটিএম আজহারকে মুক্তি দেওয়ার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান বক্তারা। অন্যথায় দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের নেতাকে জনগণই মুক্ত করে ছাড়বে, ইনশাআল্লাহ।


Image
১৮ ফেব্রয়ারি দেশব্যাপী আহুত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সফল করার আহ্বান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে আগামীকাল ১৮ ফেব্রয়ারি দেশব্যাপী আহুত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সফল করার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ১৭ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “আগামীকাল ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবিতে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের সকল মহানগরী এবং সকল জেলায় শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হবে। আগামীকাল বিকাল ৪টায় পল্টন মোড়ে ঢাকা মহানগরী উত্তর ও দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিলের নেতৃত্ব দিবেন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম ১৩ বছরেরও অধিক সময় ধরে কারাগারে আটক আছেন। তাঁকে বারবার রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি বেশ কয়েকবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৯ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দেওয়া হয়নি। ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলের বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতারকৃত জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাঁকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক।
এহেন পরিস্থিতিতে মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে মুক্ত করার লক্ষ্যে সারাদেশে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল সর্বোতভাবে সফল করার জন্য আমি জামায়াতে ইসলামীর সর্বস্তরের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।”


Image
মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবি : ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান ১৬ ফেব্রুয়ারি এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াতকে নেতৃত্ব শূন্য করার লক্ষ্যে জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিথ্যা, সাজানো ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলা দায়ের করে দলীয় লোকদের দ্বারা মিথ্যা সাক্ষী দিয়ে ফাঁসির দণ্ড হাসিলের মাধ্যমে তৎকালীন আমীরে জামায়াত ও সেক্রেটারি জেনারেলসহ ৫ জন শীর্ষনেতাকে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করে। সাবেক আমীরে জামায়াত ও নায়েবে আমীরসহ ৬ জন শীর্ষনেতাকে বিচারের নামে প্রহসন করে কারাগারে আটক রাখে। আটক থাকাবস্থায় তারা মৃত্যুবরণ করেন। আওয়ামী সরকারের ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের নির্মম শিকার হন তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম।
বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিগত ২০১১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জামায়াতের দলীয় কার্যালয় থেকে বের হয়ে বাসায় ফেরার পথে সংগঠনের তদানীন্তন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। রিমান্ডে নিয়ে তাঁর ওপর চরম শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালানো হয়। তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে ন্যূনতম চিকিৎসা সেবাটুকুও দেয়া হয়নি। উচ্চ আদালতের নির্দেশে ২০১২ সালে তিনি জামিনে মুক্তি লাভ করার পর নিজ বাসায় অবস্থানকালে পুলিশ তাঁর বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। তাঁর বাড়ির চতুর্দিকে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়। পরিবার, আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় সহকর্মীদেরকে তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি। আওয়ামী সরকার জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করে আবারো তাঁকে বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার দলীয় লোকদের দ্বারা তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা ও সাজানো সাক্ষ্য প্রদান করে। একজন সাক্ষী আদালতে বলেছেন যে, তিনি ৭ কিলোমিটার দূর থেকে এবং অপর আরেক সাক্ষী বলেছেন যে, তিনি ৩ কিলোমিটার দূর থেকে ঘটনা দেখেছেন। সাক্ষীদের এই বক্তব্য অবাস্তব ও হাস্যকর। আরেকজন সাক্ষী নিজেকে জনাব আজহার সাহেবের ক্লাসমেট দাবি করে আদালতে আজহার সাহেবের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন। আদালতে উপস্থাপিত ডকুমেন্ট অনুযায়ী আজহারুল ইসলাম ১৯৬৮ সালে কারমাইকেল কলেজ ত্যাগ করেন। আর কথিত সাক্ষী ১৯৭০ সালে কারমাইকেল কলেজে ভর্তি হন। অতএব, আজহারুল ইসলামকে ঐ সাক্ষী তাঁর ক্লাসমেট হওয়ার যে দাবি করেছেন, তা সর্বৈব মিথ্যা। এ ধরনের মিথ্যা সাক্ষ্যের ভিত্তিতে জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় ট্রাইবুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল দায়ের করেন। আপিল বিভাগের চারজন বিচারপতির মধ্যে তিনজন বিচারপতি ট্রাইবুনালের রায় বহাল রাখলেও একজন বিচারপতি এ রায়ের সাথে দ্বিমত পোষণ করেন। জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম সেখানেও ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশসহ বিশ্ববাসী অবগত আছেন যে, শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে আদালতের মাধ্যমে বিচারের নামে প্রহসন করে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করাই ছিল আওয়ামী সরকারের মূল উদ্দেশ্য। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের হাতে হাজার হাজার মানুষ, গুম, খুন ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আর জামায়াত নেতৃবৃন্দ বিচারিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন।
তিনি বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেফতারকৃত অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অনেককে তৎক্ষণাৎ মুক্তি দেওয়া হয়। দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৮ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও জনাব এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তিলাভ করেননি। জামায়াত স্বৈরশাসনামলে জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর স্বৈরশাসন মুক্ত বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার শাসনামলে বিচারিক কার্যক্রমসমূহ সারা বিশ্বে বিতর্কিত, প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রত্যাখ্যাত। স্বৈরাচারের আমলে গ্রেফতারকৃত জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে কারাগারে আটক রাখা তার প্রতি চরম জুলুম ও অন্যায় ছাড়া আর কিছুই নয়। ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে তাঁকে এখনো আটক রাখায় জাতি বিস্মিত ও হতবাক। দেশবাসী স্বৈরাচারের কবল থেকে পরিপূর্ণভাবে মুক্তি চায়। এই পরিস্থিতিতে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল জনাব এটিএম আজহারুল ইসলামকে অবিলম্বে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি।”


Image
ঢাকা-১২ আসনে জামায়াতের রুকন সম্মেলন

বিগত প্রায় ১৬ বছরের অপশাসন-দুঃশাসনে আওয়ামী ফ্যাসীবাদীরা রাষ্ট্রের সকল অঙ্গ প্রতিষ্ঠানকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করেছে; তাই রাষ্ট্রের প্রয়োজনীয় সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচারের পরই দেশে কার্যকর নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা-১২ আসনের গণমানুষের নেতা সাইফুল আলম খান মিলন।
তিনি গতকাল রাত ৮টায় মগবাজারস্থ আল ফালাহ মিলনায়তনে হাতিরঝিল অঞ্চল জামায়াত আয়োজিত সদস্য (রুকন) সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জোন পরিচালক হেমায়েত হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সহকারি জোন পরিচালক,মহানগরীর প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকারের পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম। উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও দক্ষিণ আমীর ইঞ্জিনিয়ার নোমান আহমেদি, তেজগাঁও উত্তর আমীর হাফেজ আহসান উল্লাহ, হাতিরঝিল পশ্চিম আমীর ইউসুফ আলী মোল্লা, শিল্পাঞ্চল থানা আমীর কলিম উল্লাহ,শেরেবাংলা নগর দক্ষিণ থানা আমীর আবু সাঈদ মণ্ডল ও হাতিরঝিল পূর্ব সেক্রেটারি খন্দকার রুহুল আমিন প্রমূখ।


Image
মহানগরী যুব বিভাগের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

মহানগরী যুব বিভাগের উদ্যোগে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
মতবিনিময় সভায় বিভাগীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন এর সভাপতিত্বে জনাব সারোয়ারুল আলম খান এর সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় আজ নগর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হ।  সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহানগর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন।  প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন , সাংগঠনিক যেকোনো কর্মসূচি বাস্তবায়নে যুব বিভাগ এর মাধ্যমেই সম্পন্ন করে থাকে।  এমতাবস্থায় আমাদের যুব বিভাগ কে সুশৃঙ্খল ও যেকোনো অবস্থায় সজাগ ও প্রস্তুত থাকতে হবে।  প্রতি থানায় এ বিভাগের কার্যক্রমকে যথাযথ গতিশীল করতে হবে যাতে যেকোনো কার্যক্রম সঠিক ভাবে বাস্তবায়ন করতে পারি।  উক্ত মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ও মানবসম্পদ বিভাগীয় সেক্রেটারি জনাব জাকির হোসাইন , নারায়ণগঞ্জ পশ্চিম থানার সেক্রেটারি ফয়সাল আলম , বন্দর দক্ষিণ থানার সেক্রেটারি জনাব কাজী রেদওয়ানুল হক মামুন , বন্দর উত্তর থানার সেক্রেটারি জহিরুল ইসলাম , বেলাল হোসাইন , আতিকুর রহমান স্বপন , শাকিল আহমেদ ,আব্দুল কুদ্দুস ,এরশাদ খান ,খলিলুর রহমান ও প্রমুখ নেতৃবৃন্দ। 


Image
সবুজবাগ মুগদা জোনের উদ্যোগে রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

গতরাতে সবুজবাগ মুগদা জোনের উদ্যোগে রুকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।
জোন পরিচালক ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য ড. মোবারক হোসেনের সভাপতিত্বে রোকন সম্মেলনে উন্নয়নের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ও সবুজবাগ দক্ষিণ থানা আমীর আব্দুল বারী, মুগদা পশ্চিম থানা আমীর মাওলানা মতিউর রহমান, মুগদা পূর্ব থানা আমীর মো ইসহাক, সবুজবাগ পূর্ব থানা আমীর রওশন জামান প্রমুখ।


Image
মজলুম জননেতা এটিএম আজহারকে শীঘ্রই মুক্তি দিতে হবে না হয় আন্দোলন। -মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেছেন, কোন অপরাধ ছাড়াই শুধুমাত্র জামায়াত করার কারণেই তখনকার (২০১১) ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামকে আটক করে  সাজানো মামলায় প্রাণদণ্ডে দণ্ডিত করে দীর্ঘ দিন ধরে  কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। তিনি মজলুম জননেতা এটিএম আজহারকে শীঘ্রই  মুক্তি দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় দুর্বার গণআন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের নেতাকে জনগণই মুক্ত করে ছাড়বে ইনশাআল্লাহ। 
তিনি আজ বিকাল ৩টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগর ঈদগাহ ময়দানে শেরেবাংলা নগর উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত থানার এক সহযোগি সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
শেরেবাংলা নগর  উত্তর থানার আমীর মুহাম্মদ আব্দুল আউয়াল আজমের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি মঞ্জুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য  মুহাম্মদ মোবারক হোসেন,ঢাকা মহানগরী উত্তরের  নায়েবে আমির আব্দুর রহমান মুসা, ঢাকা  মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।উক্ত সহযোগী সদস্য সসম্মেলনে  আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ডা.শফিউর রহমান,মশিউর রহমান, থানা নায়েবে আমির শাহ আজিজুর রহমান তরুণ, অর্থ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল হালিম, অফিস সম্পাদক তৌহিদুর রহমান প্রমুখ।
সেলিম উদ্দিন বলেন, আগস্ট বিপ্লবে দলমত, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, শ্রেণি ও পেশা নির্বিশেষে সকলেই আন্দোলনে নামলেও নিষিদ্ধ করা হয়েছিলো শুধুমাত্র জামায়াতকে। আর আন্দোলন কারীদের রাজাকার বলার সাথে সাথেই চলমান আন্দোলন অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিলো। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করার মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই আওয়ামী- বাকশালীদের তখতে তাউসের পতন এবং তাদের খুনী নেত্রী সহ সকল মন্ত্রী-এমপিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন। মূলত, যারাই জামায়াত নির্মূল করার ষড়যন্ত্র করেছে তারাই ইতিহাসের পাতা থেকে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। আর জামায়াতের ওপর রয়েছে আল্লাহর রহমত। জামায়াতে ইসলামী আল্লাহভীরু লোকদের পার্লামেন্টে  পাঠিয়ে দেশকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তিনি সে স্বপ্নের পার্লামেন্ট গঠনের জন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।

তিনি বলেন, মানুষের তৈরি আইন দিয়ে মানুষের কল্যাণ সম্ভব নয়। আগামী দিনে যারা সে বৃত্তে আটকে থাকবে জনগণ তাদেরকে আর কোন ভাবেই গ্রহণ করবে না। যারা ধর্মনিরপেক্ষতার প্রবক্তা তাদের দিনও শেষ  হয়ে গেছে। এদেশের সিংহভাগ মানুষ মুসলমান। তাই এদেশে রাজনীতি করতে হলে কুরআন, সুন্নাহ ও ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতেই রাজনীতি করতে হবে। যারা দুর্নীতি, লুটপাট, অবক্ষয়ের বৃত্তে থাকবে এবং যৌনতা ও পৌত্তলিকতাকে উৎসাহিত করবে তাদেরকে জনগণ কোন ভাবেই ভোট দেবে না। মূলত, এদেশে রাজনীতি করতে হলে সুদভিত্তিক অর্থনীতির পরিবর্তে ইসলামী অর্থনীতি চালুর অঙ্গীকার করতে হবে। তিনি ৪ দলীয় জোট সরকারে জামায়াতের মন্ত্রীদের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমাদের ২ জন মন্ত্রী ৩ টি মন্ত্রণালয় চালিয়ে ২ টাকার দুর্নীতি করেন নি। মন্ত্রী সভার সকল সদস্য জামায়াতের মন্ত্রীদের মত আদর্শবান হলে দেশও আদর্শে রাষ্ট্রে পরিণত করা সম্ভব। তিনি দেশকে একটি ক্ষুধা, দারিদ্র ও বেকারত্বমুক্ত আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত করতে আদর্শবান লোকদের নির্বাচিত করার আহবান জানান। তাহলেই দেশকে অপশাসন-দুঃশাসন মুক্ত করা সম্ভব।


Image
ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পূর্ব জোনের ওয়ার্ড ও থানা দায়িত্বশীল শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী উত্তরের উত্তরা পূর্ব জোনের উদ্যোগে ১৪ ফেব্রুয়ারী, জুমাবার স্থানীয় একটি কমিউনিটি সেন্টারে থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে দিনব্যাপী শিক্ষা শিবির অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও জোন পরিচালক মোহাম্মদ জামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর জনাব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মোঃ আবদুর রব। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আবদুর রহমান মুসা,  কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারী মাওলানা মাহফুজুর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও সমাজ সেবক অধ্যক্ষ আশরাফুল হক, দারসুল কুরআন পেশ করেন গাজীপুর মহানগরের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা নুরুল আমিন।  আরো উপস্থিত ছিলেন অত্র জোনের টীম সদস্য মোহাম্মদ আলী, সকল থানা আমীর, নায়েবে আমীর ও সেক্রেটারীবৃন্দ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন উত্তরা পূর্ব জোনের টীম সদস্য মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন


Image
কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সাহাবীদের সংগ্রামী জীবন অনুসরণ করতে হবে : শাহাবুদ্দিন


জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও দৈনিক সাতমাথা পত্রিকার সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহাবুদ্দিন বলেছেন কুরআনের সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে সাহাবীদের সংগ্রাম জীবন অনুসরণ করতে হবে। কুরআনের দাওয়াত জনগনের কাছে পৌঁছাতে হলে জামায়াত নেতা কর্মীকে কুরআনের আলোয় নিজেদেরকে গড়ে তুলতে হবে। আগামীতে ইসলামের বিপ্লব ত্বরান্বিত করতে হলে আমাদের অবশ্যই কুরআনের কাছে আসতে হবে। নেতা কর্মীদেরকে কোরআন হাদিসের শিক্ষা গ্রহণ করে দেশ ও সমাজ থেকে অন্ধকার দূরীভূত করতে হবে।  সকল ক্ষেত্রে আদল এবং ইনসাফ কায়েম করে দেশ থেকে বৈষম্য দূর করতে হবে।
তিনি শুক্রবার সকালে বগুড়ার কলোনীস্থ শাহওয়ালী উল্লাহ মিলনায়তনে জামায়াতে ইসলামী বগুড়া শহর শাখার দিনব্যাপী ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন দায়িত্বশীল শিক্ষা শিবির এ কথা বলেন।  শহর আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শিক্ষা শিবিরে আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রহীম। তারবিয়াত সেক্রেটারী অধাপক আব্দুর রাজ্জাকের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল হালিম বেগ, সেক্রেটারী অধ্যাপক আ স ম আব্দুল মালেক, অধ্যাপক রফিকুল আলম, এ্যাডভোকেট আল আমিন, এ্যাডভোকেট রিয়াজ উদ্দিন, আজগর আলী, মাওলানা আব্দুল হালিম বেগ, অধ্যাপক আব্দুস সালাম তুহিন, মাওলানা হেদায়েতুল ইসলাম, অধ্যক্ষ ইকবাল হোসেন, এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম আকন্দ প্রমুখ।