Image
জামায়াতের ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ কাশিপুর এলাকায়

শনিবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের অন্তর্গত সদর পশ্চিম থানার উদ্যোগে প্রায় তিনশত পরিবারের মাঝে খাদ্য ও ইফতার সামগ্রীর প্যাকেট উপহার প্রদান করা হয়। কাশিপুর ৮ নং ওয়ার্ড এর গাংগুলি বাড়ি এলাকায় খাদ্য ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ প্রোগাম অনুষ্ঠিত হয়

প্রোগামে  প্রধান অতিথি হিসেবে মহানগর জামায়াতের আমির মাওলানা আবদুল জব্বার এর উপস্থিতিতে থানা আমির এডভোকেট আক্তার হোসেন এর সভাপতিত্বে  বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মো: জাকির হোসাইন, ডা: নুরুল ইসলাম,  বৃহত্তর দেওভোগ পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি হেদায়েত উল্লাহ খোকন সহ জামায়াত নেতৃবৃন্দ।


Image
বৈষম্য মুক্ত সমাজ গঠনে যাকাত ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা অপরিহার্য- মাওলানা আবদুল হালিম

বৈষম্য মুক্ত  সমাজ গঠনে  যাকাত ভিত্তিক  অর্থব্যবস্থা অপরিহার্য বলে অভিমত ব্যাক্ত করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম। নারায়ণগঞ্জ শহরের হীরা কমিউনিটি সেন্টারে শুক্রবার বিকাল ৪ ঘটিকায় মহানগর জামায়াত কর্তৃক আয়োজিত যাকাত শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলে। পবিত্র কুরআনের দারস পেশ করেন মিসবাহুল উলুম কামিল মাদ্রাসার সাবেক প্রিন্সিপাল মাওলানা ডক্টর শাজাহান মাদানি। তিনি বলেন যাকাত একটি ফরজ এবাদত যা আমাদের দেশে অনেকেই না বুজে গুরুত্ব কম দিয়ে থাকে। তাই কুরআনের আলোকে যাকাত ভিত্তিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদের অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে।

প্রধান অতিথি আরো বলেন যাকাত ভিত্তিক রাষ্ট্র  পরিচালনা করার জন্য জামায়াত কাজ করে যাচ্ছে, মহান আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে আমি যদি তাদের ক্ষমতা দেই তাহলে তারা সালাত প্রতিষ্ঠা করবে ও যাকাত রাষ্ট্রীয় ভাবে আদায় করবে। তিনি আরো বলেন আমাদেরকে আল্লাহর পক্ষ থেকে নির্ধারিত খ্যাতেই যাকাত প্রদান করতে হবে।

যাকাত শীর্ষক আলোচনা সভার সভাপতি
মহানগরীর আমির মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হলে ক্ষুধা- দারিদ্র্য মুক্ত রাষ্ট্র গঠন করতে হবে। ক্ষুধা-দারিদ্র্য  মুক্ত রাষ্ট্র গঠন করতে হলে রাষ্ট্রীয় ভাবে যাকাত ভিত্তিক চালু করতে হবে। 

মহানগর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন এর সঞ্চালনায়  এসময়  উপস্থিত ছিলেন মহানগর নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, মহানগরী কর্ম পরিষদ সদস্য  মোখলেসুর রহমান,
মাওলানা সাইফুূদ্দিন মনির, মো জাকির হোসাইন,  মাওলানা শাহাবুদ্দিন, সাঈদ তালুকদার  হাফেজ আবদুল মোমিন  প্রমূখ।


Image
রমজানের পবিত্রতা রক্ষা ও দ্রব্যমূল্যের দাম সহনীয় রাখতে হবে-মুহাম্মদ আবদুল জব্বার

পবিত্র মাহে রমজানকে স্বাগত জানিয়ে পবিত্রতা রক্ষা ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার দাবিতে মিছিল করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরী।
২৮ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার দুপুরে জুম্মার নামাজের পর শহরের মিশনপাড়া এলাকা থেকে মিছিলটি বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিল শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। এসময় বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরের আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল জব্বার, সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসেন সহ দলের নেতৃবৃন্দরা।
বক্তারা বলেন, রমজানে দিনের বেলায় সকল হোটেল রেস্তরা, সিনেমা হল বন্ধ ও অশ্লীলতা পরিহার করতে হবে। নিত্যপণ্যের বাজারে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম ক্রয় সীমার মধ্যে রাখতে হবে। বক্তরা আরো বলেন কুরআনের আলোকে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালিত হলে সকল প্রকার জুলুমের অবসান হবে।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগরী নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, এইচ এম নাসির উদ্দিন, মহানগরী কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা সাইফুূদ্দিন মনির, মো জাকির হোসাইন, মোখলেসুর রহমান, মাওলানা শাহাবুদ্দিন, সাঈদ তালুকদার প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের হাফেজ আবদুল মোমিন প্রমূখ।


Image
অর্থবহ সংস্কারের পরেই সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে হবেঃ অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, অতীতে বাংলাদেশের জনগণের আন্দোলন-সংগ্রাম ছিল সকল অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে। বিগত ১৭ বছরের স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দেলোন ছিল তারই প্রতিচ্ছবি।
২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বরগুনা টাউনহল ময়দানে জেলা জামায়াত আয়োজিত এক বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে ২ হাজারের অধিক আমাদের সোনার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা, আয়না ঘরে গুম ক্রসফায়ারসহ সমস্ত হত্যাকান্ডের মাষ্টারমাইন্ড ছিল শেখ হাসিনা। একথা দেশ এবং সারা দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত। ছাত্র-জনতার এই অভ্যুত্থানে গণহত্যার শিকার হয়েছে বহু মানুষ এবং আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করেছে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা।
তিনি বলেন, তথাকথিত মানবতাবিরোধী অপরাধের নামে জুডিশিয়াল কিলিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান জামায়াত নেতাদেরকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শেখ হাসিনা এত নিষ্ঠুর এবং ফ্যাসিষ্ট যে, তার ক্ষেত্রে শুধু ফ্যাসিস্ট শব্দটি প্রযোজ্য নয়। বরং তিনি একজন ‘স্যাডিষ্ট’। ইংরেজিতে তাকেই ‘স্যাডিষ্ট’ বলা হয়, যার পাষাণ হৃদয় খুন, গুম, নিষ্ঠুরতা এবং রক্তপাত দেখে একটুও কাঁপে না, বরং এটা উপভোগ করে।
তিনি বলেন, আজকে বিভিন্ন মহল থেকে জালিম শেখ হাসিনাকে রক্ষা করার জন্য রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার জন্য দেশে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চলছে। তাদের এ ষড়যন্ত্র দেশবাসী যে কোনো মূল্যে রুঁখে দিবে। হাজার হাজার ছাত্র-জনতার রক্তের বিনিময়ে আমরা নূতন স্বাধীনতা পেয়েছি। অন্তর্বর্তী সরকারের নিকট দেশবাসীর অনেক প্রত্যাশা। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করেই অর্থবহ নির্বাচন দিতে হবে।
বরগুনার এ কর্মী সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডঃ মুয়াযযাম হোসাইন হেলাল। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, অনেক রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা ধরে রাখার জন্য আমাদের সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করতে হবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল মহানগরীর আমীর ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ জহির উদ্দিন মুহাম্মাদ বাবর এবং এ কে এম ফখরুদ্দীন খান রাযী সদস্য কেন্দ্রীয় মহলিসে শুরা ও অঞ্চল টিম সদস্য, বরিশাল। জনাব ডাক্তার সুলতান আহমেদ মজলিসে শূরা সদস্য ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ। আরো বক্তব্য রাখেন বরগুনা জেলার সাবেক আমীর মাওঃ আবু জাফর মোঃ সালেহ। উক্ত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন বরগুনা জেলা জামায়াতের আমীর, উপজেলা সদরের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জনাব অধ্যাপক মাওলানা মোঃ মহিব্বুল্লহ হারুন উক্ত সম্মেলন সঞ্চালন করেন বরগুনা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি জনাব মোঃ আসাদুজ্জামান আল মামুন।


Image
কাফরুলে জামায়াতের সেলাই মেশিন বিতরণ

দেশকে ক্ষুধা, দারিদ্র ও বেকারত্বমুক্ত করতে যাকাত ভিত্তিক ইসলামী অর্থব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর অব্দুর রহমান মূসা।
তিনি গতকাল সন্ধায় রাজধানীর কাফরুলের একটি রেস্টুরেন্টে কাফরুল উত্তর থানা জামায়াত আয়োজিত দারিদ্র বিমোচনে যাকাতের ভূমিকা ও আমাদের করণীয় শীর্ষক মতবিনিময় সভা,সেলাই মেশিন বিতরণ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। থানা আমির রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি হাফেজ আশিকুর রহমানের পরিচালনায় সভায় প্রধান আলোচকের আলোচনা পেশ করেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ প্রফেসর ড. আব্দুস সামাদ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জনাব লস্কর মোঃ তসলিম, কাফরুল জোনের সদস্য ও সাবেক থানা আমীর তারেক রেজা তুহিন প্রমূখ।
আব্দুর রহমান মূসা বলেন, সুদ ভিত্তিক অর্থব্যবস্থা আমাদের জাতীয় অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। ফলে প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ দরিদ্র হতে দরিদ্রতর হচ্ছে। তাই সমাজে দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী ও আত্মনির্ভরশীল করতে যাকাত ভিত্তিক ইসলামী অর্থ ব্যবস্থার কোন বিকল্প নেই। মূলত, ইসলামী অর্থব্যবস্থাই একমাত্র ইনসাফ ভিত্তিক সমাজের ভিত তৈরি করে। ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে জাতীয় অর্থনীতি পরিচালিত হলে দরিদ্ররা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেন এবং ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধি এবং পুতঃপবিত্র করণের জন্য যাকাত প্রদান করবে। তিনি সে স্বপ্নের ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠায় সাহেবে নিসাবকে যাকাত প্রদান এবং সকলকে জামায়াতের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান।
তিনি বলেন, দেশ ও জাতি এক ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। আগস্ট বিপ্লবের মাধ্যমে স্বৈরাচারি ও ফ্যাসিবাদীদের পতন হলেও রাষ্ট্রের বিভিন্ন সেক্টরে তাদের প্রতিভূরা সক্রিয় রয়েছে। তারাই অর্জিত বিজয় ও বিপ্লবকে নস্যাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। তাই দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি এবং তৃণমূল পর্যায়ে জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রশাসন নিশ্চিত করতে জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন জরুরি হয়ে পড়েছে। তিনি অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার আহবান জানান। অন্যথায় অর্জিত বিজয় ধরে রাখা যাবে না


Image
আল্লাহর আইন ছাড়া মানুষের বানানো আইনে সমাজে শান্তি ফিরে আসবেনা- মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ

নারায়ণগঞ্জ মহানগরী বন্দর উত্তর থানার উদ্যােগে সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ইফতার সামগ্রী উপহার প্রদান কালে ২৭ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বাদ আসর বন্দর লালখার বাগ জামে মসজিদ  এলাকায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও  নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাবেক সংগ্রামী আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ বলেন বিগত দিনে  দেশে নৃত্য প্রয়োজনীয় পণ্যর দাম কিভাবে বেড়েছে আপনারা দেখেছেন, সব কিছুর দাম এখনো নাগালে আসেনি। তবে রাস্তায় রাস্তায় চাদাঁবাজি বন্ধ হলে দাম হাতের নাগালে আসবে ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চায় দেশে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা হউক। তিনি আরো বলেন আপনারা মনে রাখবেন মানুষের মতবাদ দিয়ে বানানো আইন দিয়ে সমাজে কখনো শান্তি ফিরে আসবেনা। সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন তিনি বলেন চাদাঁবাজী বন্ধ করতে পারলেই নৃত্য পণ্যের দাম কমে আসবে। সমাজে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করবে তাদের ধরে ধরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তুলে দিবেন। ডাকাত সন্ত্রাসদের কখনোই পস্রয় দিবেন না। আল্লাহর রাসূলের দেখানো পদ্ধতিতে সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে থাকবেন সব সময়।

বন্দর থানা উত্তরের আমীর মুফতি আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে বন্দর থানা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সেক্রেটারি মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বন্দর উত্তর থানা সেক্রেটারি জহুরুল ইসলাম, ছাত্র শিবিরের বন্দর পশ্চিম থানা সভাপতি আবদুল আল মামুন, ওলামা মাশায়াখ সেক্রেটারি হাফেজ আবদুল্লা , ২৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি জহিরুল ইসলাম, আমজাদ হোসেন সহ আরো অন্যন্য জামায়াতে নেতৃবৃন্দ।


Image
যুবকদের আরেকবার গর্জে উঠতে হবে এবং আমরা আর মাফিয়াতন্ত্রের বাংলাদেশ দেখতে চাই না -ডা. শফিকুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সম্মানিত আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা টুকরা টুকরা জাতি চাই না। বাংলাদেশকে একটি মানবিক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা আর গডফাদার, গডমাদারদের বাংলাদেশে দেখতে চাই না। মাফিয়াতন্ত্রের বাংলাদেশ দেখতে চাই না। ফ্যাসিবাদের বাংলাদেশ দেখতে চাই না।
তিনি বলেন, আমি যুবকদের বার্তা দিতে চাই, আগামী দিনের বৈষম্যহীন, দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য তোমাদেরকে আরেকবার গর্জে উঠতে হবে। জেগে উঠতে হবে। আমিও তোমাদের সাথে থাকবো ইনশা আল্লাহ। আমার আপাদমস্তক সাদা হলেও ‘নো প্রবলেম’। বুকের ভেতরের কালারটা এখনো তরুণ আমার। মানুষের মুক্তির মিছিলে আমি পিছিয়ে থাকবো না। তোমাদের সামনে থাকবো ইনশা আল্লাহ।
২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার পঞ্চগড় জেলা শহরের চিনিকল মাঠে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক ইকবাল হোসাইনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলোয়ার হোসেন।
জেলা সেক্রেটারি মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন অঞ্চল টিম সদস্য মাওলানা আবদুল হাকিম, ঠাকুরগাঁও জেলা আমীর অধ্যাপক বেলাল উদ্দীন প্রধান, নীলফামারি জেলা আমীর মাওলানা আবদুস সাত্তার, দিনাজপুর জেলার সাবেক আমীর আফতাব উদ্দিন মোল্লা ও মুহাম্মাদ আনওয়ারুল ইসলাম, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি প্রমুখ।
জনসভায় শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি মীর মোরশেদ তুহিন, জাগপা চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান ও হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা শ্রী রতন চন্দ্র রায়।
আরও বক্তব্য রাখেন পঞ্চগড় জেলার নায়েবে আমীর মাওলানা মফিজ উদ্দিন, শহর আমীর মাওলানা জয়নাল আবেদীন, পৌর জামায়াতের সেক্রেটারি নাসির উদ্দিন সরকার, ছাত্রশিবিরের জেলা সভাপতি জুলফিকার রহমান, বোদা উপজেলা আমীর মাওলানা জাহিদুর রহমান, তেঁতুলিয়া উপজেলা আমীর আবদুল হাকিম, জননেতা শফি উল্লাহ শফি, পঞ্চগড় সদর উপজেলার কাজলদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল প্রধান, মজলিসে মোফাছছেরীন পঞ্চগড় জেলা সভাপতি মাওলানা মাজেদুর রহমান, হাড়িভাসা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকী। মুল স্টেজের পাশে ছিলেন ২০২২ সালে নৌকাডুবিতে নিহত পরিবারের সদস্যরা।
এর আগে এম আবু সাঈদের অর্থসহ কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়ে। জামায়াতে ইসলামীর থিমসং পরিবেশন করে সীমান্ত শিল্পী গোষ্ঠীর সদস্যরা। ডা. শফিকুর রহমানের বক্তব্য শোনা এবং এক নজর দেখার জন্য মানুষের ঢল নামে পুরো পঞ্চগড় জেলাজুড়ে। জেলার বিভিন্ন স্থানে তোরণ নির্মাণ করা হয়। শহর গ্রাম সর্বত্রজুড়ে পোস্টার ব্যানার লাগানো হয়। এদিন সকাল থেকেই মিছিলের শহরে পরিণত হয় পঞ্চগড় জেলা। সকাল দশটার পর জনসভা জনসমুদ্রে রূপ নেয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই পঞ্চগড়ে ২০২২ সালে নৌকাডুবির সময় এসেছিলাম। তখন নৌকাডুবিতে ৭২ জন মারা গিয়েছিল। আমরা চেষ্টা করেছি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর কাছে যাওয়ার। তখন একটাই ছোট শিশুকে কোলে নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। সেই শিশুটি আজকে এখানে এসেছে। তার নাম দীপু। সে মা-বাবা দুজনকেই হারিয়েছে। সাধারণত আমরা যেসব শিশুর দায়িত্ব নেই, তার লেখাপড়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তার আর্থিক দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু আমি দেখলাম আমরা যাওয়ার পরের দিন ওই এলাকার সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং তার স্ত্রী গিয়েছেন। এবং বাচ্চার দায়িত্ব নেন। কিন্তু আজ দীপুর ভাই পরিতোষকে জিজ্ঞেস করলাম- দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রতিমাসে কি তারা তোমাদের খোঁজ নেয়? বললো জ্বি-না। মাঝে মধ্যে জামা কাপড় দিয়েছে। আমার প্রশ্ন জামা-কাপড় দিলে তারা খাবে কী? তিনি নিশ্চয়তা দেন যে আজ থেকে এই শিশু প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত তার লেখাপড়া চলবে। আমরা প্রতিমাসের এক তারিখে তার বাড়িতে হাজির হবো। আমরা দেখবো না তার মা বাবা কোন ধর্মের মানুষ ছিলেন।
তিনি বলেন, আমরা মানুষকে টুকরো টুকরো করতে চাই না। আমরা বাংলাদেশকে একটি মানবিক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। আমরা আর গডফাদার, গডমাদার, মাফিয়াতন্ত্র ও ফ্যাসিবাদের বাংলাদেশ দেখতে চাই না।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আমি যুবকদের বার্তা দিতে চাই, আগামী দিনের বৈষম্যহীন দুর্নীতি-দুঃশাসনমুক্ত মানবিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য তোমাদেরকে আরেকবার গর্জে উঠতে হবে। জেগে উঠতে হবে। আমিও তোমাদের সাথে থাকবো ইনশা আল্লাহ। আমার আপাদমস্তক সাদা হলেও ‘নো প্রবলেম’। বুকের ভেতরের কালারটা এখনো তরুণ আমার। মানুষের মুক্তির মিছিলে আমি পিছিয়ে থাকবো না। তোমাদের সামনে থাকবো।
আমীরে জামায়াত বলেন, আমাদের কেউ কেউ ভয় দেখায়, তারা বলে যে ‘এই হলে’ ‘ওই হলে’ আবার আপনাদের ফাঁসি হয়ে যাবে। আরে ভাই কাকে ফাঁসির ভয় দেখান। যারা শহীদ হওয়ার জন্য উন্মুখ। এই ভয় করলে আমাদের নেতাদের ফাঁসির পাটাতনে দাঁড়াতে হতো না। সুতরাং আমাদের ফাঁসির ভয় দেখাবেন না।
তিনি বলেন, আমাদের ছোট একটা দেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ। আমরা সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই। এর মাঝেই আমাদের গর্ব-সৌন্দর্য। এর মধ্যেই আমাদের শান্তি নিহিত। আমাদের সাফ কথা, আমরা এই দেশে কোন মেজরিটি মাইনরিটি মানি না। আমরা সবাই ইউনিটি। একটাই জাতি আমরা। মেজরিটি মাইনরিটি বলার খাসলত ছিল পতিত স্বৈরাচারের। এরা জাতিকে ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে মুখোমুখি করে রেখেছিল। আমরা মনে করি, যে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারে না, সে দেশের মানুষ মাথা উঁচু করে সম্মানের সাথে বিশ্বের সাথে দাঁড়াতেও পারে না। তিনি সতর্ক করে বলেন, কেউ যেন অন্য কারো ধর্ম নিয়ে খোঁচাখুচি না করেন। সুড়সুড়ি না দেন। অন্য ধর্মের ভাইদের কষ্ট না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের প্রতি ইঙ্গিত করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, আওয়ামী লীগ যাদের মাইনরিটি বলতেন, তাদের সম্পদ এবং ইজ্জতসহ তাদের জীবনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতি সাধন করেছে তারা। তিনি দাবি জানান, বাংলাদেশ সরকার এবং জাতিসংঘের যৌথ উদ্যোগে ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি থেকে ২০২৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে যত ঘটনা ঘটেছে অনুসন্ধান করে তার শ্বেতপত্র বাংলাদেশের জনগণের সামনে প্রকাশ করে দেওয়া হউক।
ভারতের সাথে বাংলাদেশের ভূমিকা নিয়ে আমীরে জামায়াত বলেন, ভারতসহ দুনিয়ার সকল দেশ আমরা একই বিশ্ব সভার সদস্য। জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র। ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশি। তারা যেন আমাদের ওপর এমন কিছু চাপিয়ে না দেন, যা বাংলাদেশের মানুষের জন্য সম্মানজনক নয়, অপমানজনক। যদি এরকম তারা কিছু করেন, দেশের স্বার্থে আমরা সেদিন ভূমিকা পালন করতে কারো চোখের দিকে তাকাবো না। আমরা বিবেকের দিকে তাকিয়ে, বিবেকের দায়বদ্ধতা থেকে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য হবো।
তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, আল্লাহ যদি দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দেন, তোমাদের এমন শিক্ষায় গড়ে তোলার চেষ্টা করবো তখন তোমরা সৃষ্টিকর্তা আল্লাহকে ভয় করবে। সেই সাথে শ্রেষ্ঠ কারিগরের হাত নিয়ে তোমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হবে। এক দিনের জন্য তোমাদের বেকারত্বের অভিশাপ ভোগ করতে হবে না। এরকম একটা দেশ গড়তে চাই। এজন্য উপস্থিত জনতার কাছে ভালবাসা এবং সহযোগিতা এবং সমর্থন চান ডা. শফিকুর রহমান। আর নারীদের মর্যাদা এবং নিরাপত্তার সাথে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে পারবেন বলেও আশ্বস্ত করেন।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, পঞ্চগড়ের কিছু ন্যায্য দাবি ইতিমধ্যে উত্থাপিত হয়েছে। তিনি দাবিগুলোর সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে সেখানে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি আশ্বস্ত করেন যে, বৈষম্যহীন দেশে যে এলাকা বঞ্চিত সেই এলাকা সবার আগে তার পাওনা ফেরত পাবে। যে এলাকা পেয়ে গেছে সেই এলাকাও তার ন্যায্য হিস্যা পাবে বলে জানিয়ে দেন। জামায়াতে ইসলামী যতক্ষণ সত্য এবং ন্যায়ের পথে থাকে ততক্ষণ ভালবাসা এবং সমর্থন দেওয়ার আহ্বান জানান ডা. শফিকুর রহমান। বলেন, জনগণকে নিয়েই মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলবো ইনশাআল্লাহ।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, এখনো যদি চাঁদাবাজি হয়, দখলবাজি হয় তাহলেতো স্বৈরাচারিতা ও দলবাজি থেকে গেল। আজকে আমাদের আত্ম-প্রত্যয় হতে হবে খুনিদের বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ৪১ দফা দিয়েছে। আমরা যৌক্তিক সংস্কার চাই। নির্বাচনও চাই। আমরা বলেছি আগে স্থানীয় নির্বাচন হতে হবে। কারণ বিগত স্বৈরাচার স্থানীয় নির্বাচন কলঙ্কিত করেছে। সেজন্য বর্তমান সরকারকে বলছি অতি তাড়াতাড়ি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করুন। আমরা আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই। আমরা সংসদে সকল দলের প্রতিনিধিত্ব চাই। ভারতের অসম চুক্তি করে আওয়ামী লীগ ভারতকে সুযোগ দিয়েছে। অসম চুক্তি বাতিল করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী কোন ধর্ম বা বর্ণ দেখে সেবা দিবে না। আমরা বাংলাদেশের মানুষ মনে করে সেবা দিবো।
অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল বলেন, ভারত বাংলাদেশের ঘোষিত শত্রু। এজন্য গুম খুনের জন্য দায়ী হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। আহ্বান জানাবো হাসিনাকে ফেরত দিন। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর বৈষম্যহীন রাষ্ট্র হবে ভেবেছিলাম। কিন্তু ৬ মাসেও তা হয়নি। তিনি জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন ও প্রতীক ফেরত চান।
জাগপা চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার তাসমিয়া প্রধান বলেন, আমি বিশ্বাস করি পঞ্চগড়ের মানুষের পাশে থাকবে জামায়াতে ইসলামী। এই জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় এলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। সনাতন ধর্মীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে। জাগপা সবসময় জামায়াতে ইসলামীর সাথে থাকবে।
ঠাকুরগাঁও জেলার সাবেক আমীর মাওলানা আব্দুল হাকিম বলেন, বার বার নেতার পরিবর্তন হয়েছে। নীতির পরিবর্তন হয়নি। এবার নীতির পরিবর্তন ঘটিয়ে নেতার পরিবর্তন করতে হবে। কোরআনের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কল্যাণ রাষ্ট্র বানাতে হবে। আগামীর বাংলাদেশ হবে কোরআনের এবং ইসলামের বাংলাদেশ।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসাইন পিলখানা হত্যার বিচার চেয়ে বলেন, উত্তরবঙ্গের উন্নয়নের জন্য সৎ মানুষদের নির্বাচিত করতে হবে। আগামীতে সৎ মানুষদের ভোট দিয়ে সংসদে পাঠাতে হবে।
শ্রী রতন চন্দ্র রায় বলেন, আমরা ভাল আছি। আমাদের ভাল থাকার পেছনে কারণ রয়েছে। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসবে জামায়াতের লোকজন আমাদের পাহারা দিয়েছেন। তাদের কাছ থেকে কোন খারাপ কথা বা আচরণ পাইনি। আমি জানি সারা দেশের জামায়াতের নেতারা ভাল আচরণ করে। আমাদের পূর্ব পুরুষেরা বলেছন, বিপদের সময়ের বন্ধুই হলো, প্রকৃত বন্ধু। নৌকাডুবিতে আমার আত্মীয়-স্বজন ছিল। আমীরে জামায়াত আমাদের অর্থ দিয়ে বুকে জড়িয়ে ধরেছিলেন। তখন আমি বুঝেছিলাম এই মানুষটা কত ভাল। তিনি চলে যাওয়ার পর আমি ঈশ্বরের কাছে বলেছিলাম আবারো যেন তাকে দেখতে পারি। সনাতনী ভাইদের বলবো জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় আসুক। বৈষম্য থাকবে না।
সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক মাওলানা ইকবাল হোসেইন বলেন, পঞ্চগড়কে বাংলাদেশের দ্বিতীয় রাজধানী বানাতে চাই। এখানে শিল্প বিপ্লব ঘটাতে চাই। তিনি উদ্বোধন হওয়া প্রাইভেট মেডিকেলের কাজ পুনরায় চালু করার দাবি জানান। সেইসাথে চা শিল্পের উন্নয়নে এখানে নিলাম কেন্দ্র বানানোর দাবি জানান।


Image
এ দেশের মানুষ আজ ন্যায় ইনসাফের বাংলাদেশ দেখতে চায়-মুহাম্মদ আবদুল জব্বার


নারায়ণগঞ্জ মহানগরী সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর থানার উদ্যােগে মাহে রমজান উপলক্ষে ২৬ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকালে সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাং রোড মুক্তিনগর শিমরাইল এলাকায় সুবিধা বঞ্চিত ভাই ও বোনদের মাঝে ইফতার সামগ্রী উপহার প্রদান করা হয়েছে।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা মুহাম্মদ  আবদুল জব্বার বলেন অতিতে যারা দেশের মানুষের অধিকার হরন করেছে নতুন করে অন্য কেউ ক্ষমতায় এসে তাদের মতো এমন করুক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তা কখনোই  চায়না। জামায়াতে ইসলামী চায় আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন বাস্তবায়ন হউক। এসময় তিনি আরো বলেন আমাদের উচিত ছিল সমাজের প্রতিটি পরিবারের মাঝে খাবারের প্যাকেট পৌছে দেওয়া, এবং ধীরে ধীরে  আমরা প্রতিটি পরিবারের মাঝে খাবার পৌঁছে দিবো ইনশাআল্লাহ।

 
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন। এ সময় তিনি বলেন এদেশের মানুষ আর টেম্পু স্টার্নের চাদাঁবাজদের চায়না, দেশের মানুষ আজ ন্যায় ইনসাফের বাংলাদেশ দেখতে চায়, বাংলাদেশ  জামায়াতে ইসলামী সৎ লোকের শাসন ও আল্লাহর আইন বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে।

নারায়ণগঞ্জ মহানগরী ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি সাইফুল ইসলাম রনির সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম থানার সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান, দক্ষিন থানা আমীর আলহাজ্ব কফিল আহমেদ, উত্তর থানা আমীর মোস্তফা কামাল, জেলা শূরা সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আ:বাকী , উত্তর থানা কর্ম পরিষদ সদস্য জনাব সাইদুল হক,ইব্রাহিম খলিল  আব্দুল খালেক, প্রমূখ নেতৃবৃন্দ ।


Image
জনাব রুহুল কবির রিজভীর ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ : মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জনাব রুহুল কবির রিজভীর ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ২৫ ফেব্রুয়ারি নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন:-
“গত ২৪ ফেব্রুয়ারি বিএনপির কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব জনাব রুহুল কবির রিজভী ‘জামায়াত যখনই সুযোগ পেয়েছে বিএনপিকে পেছন থেকে ছুরিকাঘাত করার চেষ্টা করেছে’ মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার এ বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তার এ বক্তব্য অন্যায়, অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত। তার ঐ বক্তব্য বিএনপির ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য; জামায়াতে ইসলামীর ক্ষেত্রে নয়।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ১৯৯১ সালে নিঃশর্তভাবে সমর্থন দিয়ে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। বিনিময়ে তারা ক্ষমতায় গিয়ে অধ্যাপক গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে না দিয়ে উল্টো তাঁকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করে ১৬ মাস জেলে বন্দী করে রেখেছিলো। আবার ১৯৮১ সালে জামায়াতে ইসলামী বিএনপির প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচিত করে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। কিন্তু তিনিও অধ্যাপক গোলাম আযমকে নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেননি। এসব দৃষ্টান্ত দেশবাসীর জানা আছে। তাই ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে বিএনপির নেতা রুহুল কবির রিজভী দেশবাসীকে বিভ্রান্ত করতে পারবেন না।
অতএব নিজের মান সম্মানের কথা চিন্তা করেই জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি বিএনপির নেতা জনাব রুহুল করিব রিজভীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি


Image
গণ অবস্থান কর্মসূচি সফল করতে মহানগরী আমীরের আহবান


আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারী জামায়াত নেতা এ টি এম আজহারুল ইসলাম এর মুক্তির দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের সামনে গণঅবস্থান কর্মসুচি সফল করার আহবান জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আমীর জনাব মুহাম্মদ আবদুল জব্বার।