- জনগন জামায়াত কে ভোট দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে নিছে- আবদুল জব্বার
- মদনপুর,মদনগঞ্জ রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
- ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল বিজয়ী হওয়ায় মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ এর অভিনন্দন
- অভিনন্দন ডাকসুতে বিজয়ী প্যানেলকে!!
- নারায়ণগঞ্জকে MRT-2 (মেট্রোরেল) প্রকল্পে যুক্ত করার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর নিকট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্মারকলিপির প্রদান
আমীরে জামায়াতের সাথে ইইউ এর রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বন্দর ২৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যােগে গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে সহযোগী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত নারী বিষয়ক সুপারিশমালা অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করতে হবে -অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২০ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা পবিত্র কুরআনের বিধানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অস্তিত্বের ওপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। এই প্রস্তাবনার মাধ্যমে দেশের ধর্মীয় ভারসাম্য, পারিবারিক কাঠামো ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি অবিলম্বে অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত নারীবিষয়ক সুপারিশমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, ১৯ এপ্রিল শনিবার নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, তা ইসলাম ও মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল নয়। কমিশনের সুপারিশমালার ২৫ পৃষ্ঠায় মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিল করে নারী-পুরুষকে সমান সম্পত্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে প্রচলিত মুসলিম পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইন মূলত আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত উত্তরাধিকার বিধান দ্বারা রচিত। এটিকে বাতিল করার অর্থ সরাসরি কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। এটি শুধু শরীয়তের অবমাননাই নয়, বরং মুসলিম পরিচয়ের মূলে কুঠারাঘাত।
তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনে যিনাকে মহাপাপ ও ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ প্রদত্ত সুপারিশমালায় যিনাকে উৎসাহিত এবং বিবাহকে নিরুৎসাহিত করে সরাসরি পবিত্র কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এই ধরনের প্রস্তাবনা সমাজে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। সমাজকে অস্থিতিশীল করার সর্বনাশা চক্রান্তে কারা কলকাঠি নাড়ছে এবং মুসলিম পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইন নিয়ে কারা ছিনিমিনি খেলছে জাতির সামনে অতি দ্রুত তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।
তিনি বলেন, কমিশনের সুপারিশমালার ৯ম পৃষ্ঠায় সকল ধর্মের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে; যা বাস্তবায়ন করা হলে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সবাইকে ধর্মীয় পারিবারিক বিধান থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটি ধর্মহীন কাঠামোয় আসতে বাধ্য করা হবে। এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন। ৯ম পৃষ্ঠায় আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘ প্রণীত CEDAW সনদের অধীনে বিবাহ ও পারিবারিক ক্ষেত্রে আইনের বাস্তবায়ন করা দরকার। আমাদের বক্তব্য হল, CEDAW-এর অনেক শর্ত সরাসরি ইসলামবিরোধী; যেখানে বিয়েকে শুধু একটি সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখা হয় এবং ইসলামী নিকাহ ও অভিভাবকত্বের মতো মৌলিক ধারণাগুলোর বিরোধিতা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, উক্ত সুপারিশমালার ৯ম পৃষ্ঠার আরেক জায়গায়, নারী-পুরুষের পারিবারিক ভূমিকাকে অভিন্নভাবে দেখার প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশের ইসলামিক স্কলাররা মনে করেন, ইসলাম নারী-পুরুষের মর্যাদা সমান মনে করলেও, তাদের ভূমিকায় প্রাকৃতিক পার্থক্যকে স্বীকার করে। তাই ‘নারী-পুরুষের পারিবারিক ভূমিকাকে অভিন্নভাবে দেখার’ প্রস্তাবটি ইসলামী সমাজব্যবস্থাকে বিকৃত করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়।
এমতাবস্থায় দেশের বিজ্ঞ আলেম সমাজসহ আমরা মনে করি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উপরোক্ত বিষয়াদি সুবিবেচনায় নিয়ে জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন এবং দেশের সকল ধর্মের নাগরিকদের ধর্মীয় বিধান সমুন্নত রেখে এ অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত সুপারিশমালা অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করবেন।
সর্বস্তরের জনগণের প্রতি ইসরাইলি পন্য বর্জন করার আহবান জানালেন - মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমাদ
জয়নুল আবেদীন ফারুকের মিথ্যা ভিত্তিহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির গণজমায়েতে।
ঢাকার রাজপথে মানুষের ঢল
ভোটের মাধ্যেমে সমাজে সৎ লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে - মুহাম্মদ আবদুল জব্বার
আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা হলেই দেশে পূর্নাঙ্গ ভাবে শান্তি ফিরে আসবে- মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ
ফিলিস্তিনে ইতিহাসের নিকৃষ্ট হামলা ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বিক্ষোভ মিছিল
শহীদ নেতৃবৃন্দের জীবন কুরবানী ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে -মাওলানা আবদুল হালিম
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে শহীদ নেতৃবৃন্দের জীবন কুরবানী ও হাজার হাজার নেতাকর্মীর অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। সংগঠন কর্তৃক ১১-২৫ এপ্রিল, দেশব্যাপী ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষ পালনের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণের কাছে বৈষম্য মুক্ত ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের বিচারের লক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিলুপ্তি ও সকল দল ও শ্রেণী-পেশার মানুষের রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ততার জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি (পিআর) অপরিহার্য।
তিনি বলেন, আগামী দিনে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে ভালো ফলাফল লাভের জন্য জনগণের আকাক্সক্ষা ধারণ করে তৃণমূলে সংগঠনের বিস্তৃতি ও সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম বাড়াতে তিনি দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
প্রধান অতিথি মাওলানা আবদুল হালিম তৃণমূল পর্যায়ে সকল ইসলামী দল ও ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবি করেন এবং গাজার মুসলমানদের ওপর ইসরাইলিদের বর্বরোচিত হামলা ও ধারাবাহিক আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি গাজাবাসীর মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
৫ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ১০টায় দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা আমীর ও চিরির বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, চিরিরবন্দর-খানসামা সংসদীয় আসনের জননেতা আফতাব উদ্দীন মোল্লা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, সাবেক জেলা আমীর ও বিরামপুর-নবাবগঞ্জ-হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সংসদীয় আসনের জননেতা আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য, সাবেক বিরল উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও বিরল-বোচাগঞ্জ সংসদীয় আসনের জননেতা অধ্যক্ষ একেএম আফজালুল আনাম, পার্বতীপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর সংসদীয় আসনের জননেতা আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর সদর আসনের জননেতা অ্যাডভোকেট মাইনুল আলম, বীরগঞ্জ-কাহারোল সংসদীয় আসনের জননেতা মতিউর রহমান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি রাজিবুর রহমান পলাশ, শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও দিনাজপুর শহর সভাপতি মুশফিকুর রহমান, জেলা উত্তর সভাপতি রাসেল রানা ও জেলা দক্ষিণ সভাপতি সাজিদুর রহমান সাজু প্রমুখ।
দায়িত্বশীল সমাবেশে জেলা কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ, জেলা মহিলা বিভাগের দায়িত্বশীলাগণ, ছাত্রশিবিরের দিনাজপুর শহর, জেলা উত্তর, জেলা দক্ষিণ শাখার দায়িত্বশীলগণ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা দায়িত্বশীলগণ, ছাত্রী সংস্থার জেলা দায়িত্বশীলাসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীলগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য যে, সকাল ৮টায়, দিনাজপুর শহর জামায়াতের এক দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। শহর আমীর সিরাজুস সালেহীনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হক ও জেলা সহকারী সেক্রেটারি রাজিবুর রহমান পলাশ প্রমুখ।