Image
আমীরে জামায়াতের সাথে ইইউ এর রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ

২৭ এপ্রিল রবিবার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান এর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মি. মাইকেল মিলার এক সৌজন্য বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকটি অত্যন্ত আন্তরিকতা ও হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠক শেষে নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের এক সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফিং-এ বলেন, সম্প্রতি আমীরে জামায়াতসহ আমরা ব্রাসেলস সফর করেছি। সেখানে বেলজিয়াম সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে আমাদের একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশের পারস্পরিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, উন্নয়ন-অগ্রগতিসহ নানা বিষয়ে আমাদের ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বাংলাদেশের গণতন্ত্র, নারী অধিকার, সংখ্যালঘু এবং আমাদের প্রধান রফতানি খাত গার্মেন্টস বিষয়ে আমাদের অবস্থান তারা জানতে চেয়েছেন। এসব বিষয়ে আমরা তাদেরকে স্পষ্ট ধারণা দিতে সক্ষম হয়েছি।
ডা. তাহের আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা তাদেরকে পর্যবেক্ষক পাঠানোর কথা বলেছি। প্রত্যেক ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসাতে আমরা তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। সেই সাথে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষা এবং একই ব্যক্তির দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না থাকার বিষয়টিও আমরা তাদেরকে অবহিত করেছি। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালার বিষয়ে তাদেরকে বলেছি যে, যৌনকর্মীর লাইসেন্স প্রদান নারীর মর্যাদা ও অধিকারের প্রতি চরম আঘাত। তারা এসব বিষয়ে আমাদের সাথে একমত পোষণ করেছেন। তারা জামায়াতে ইসলামীতে শতকরা ৪৩ ভাগ নারীর অংশগ্রহণের বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং বাংলাদেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও জোরদার করার ব্যাপারে তারা দৃঢ় আশা প্রকাশ করেন।
আমীরে জামায়াতের সাথে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মাদ তাহের, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ এবং আমীরে জামায়াতের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মাহমুদুল হাসান।


Image
বন্দর ২৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যােগে গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে সহযোগী সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বন্দর ২৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যােগে গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে সহযোগী সমাবেশ অনুষ্ঠিত
বন্দর থানা উত্তরের ২৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতের উদ্যােগে ২৩ এপ্রিল বুধবার বিকালে নবীগঞ্জ ইসলামবাগ এলাকায় গণসংযোগ পক্ষ উপলক্ষে সহযোগী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ। এসময় তিনি বলেন ইসলাম একটি পূর্নাঙ্গ জীবন ব্যবস্তা, ইসলাম ছাড়া মানুষরে বানানো আইন দিয়ে সমাজে কখনোই শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব না। তাই আসুন কুরআন পড়ি, কুরআন বুজি, কুরআনের আলোকে জীবন গড়ি।
২৪ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি আফসার উদ্দিনের সভাপতিত্বে ওয়ার্ড নেতা নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী মজলিসে শূরা সদস্য মুহাম্মদ জাকির হোসাইন, বন্দর উত্তর থানা আমীর মুফতী আতিকুর রহমান, সেক্রেটারি জহুরুল ইসলাম সহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


Image
অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত নারী বিষয়ক সুপারিশমালা অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করতে হবে -অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২০ এপ্রিল প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা পবিত্র কুরআনের বিধানের সাথে সরাসরি সাংঘর্ষিক এবং ইসলাম ও মুসলিম পরিচয়ের অস্তিত্বের ওপর একটি সুপরিকল্পিত আঘাত। এই প্রস্তাবনার মাধ্যমে দেশের ধর্মীয় ভারসাম্য, পারিবারিক কাঠামো ও সামাজিক স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করার গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি অবিলম্বে অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত নারীবিষয়ক সুপারিশমালা বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ১৯ এপ্রিল শনিবার নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রধান শিরীন পারভীন হকের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা প্রধান উপদেষ্টার কাছে যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন, তা ইসলাম ও মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সামঞ্জস্যশীল নয়। কমিশনের সুপারিশমালার ২৫ পৃষ্ঠায় মুসলিম উত্তরাধিকার আইন বাতিল করে নারী-পুরুষকে সমান সম্পত্তি দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। আমরা মনে করি, বাংলাদেশে প্রচলিত মুসলিম পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইন মূলত আল্লাহ তাআলার নির্ধারিত উত্তরাধিকার বিধান দ্বারা রচিত। এটিকে বাতিল করার অর্থ সরাসরি কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া। এটি শুধু শরীয়তের অবমাননাই নয়, বরং মুসলিম পরিচয়ের মূলে কুঠারাঘাত।

তিনি বলেন, পবিত্র কুরআনে যিনাকে মহাপাপ ও ঘৃণ্য অপরাধ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ প্রদত্ত সুপারিশমালায় যিনাকে উৎসাহিত এবং বিবাহকে নিরুৎসাহিত করে সরাসরি পবিত্র কুরআনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া হয়েছে। আমরা মনে করি এই ধরনের প্রস্তাবনা সমাজে চরম অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। সমাজকে অস্থিতিশীল করার সর্বনাশা চক্রান্তে কারা কলকাঠি নাড়ছে এবং মুসলিম পারিবারিক ও উত্তরাধিকার আইন নিয়ে কারা ছিনিমিনি খেলছে জাতির সামনে অতি দ্রুত তাদের মুখোশ উন্মোচন করতে হবে।

তিনি বলেন, কমিশনের সুপারিশমালার ৯ম পৃষ্ঠায় সকল ধর্মের জন্য অভিন্ন পারিবারিক আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করা হয়েছে; যা বাস্তবায়ন করা হলে মুসলিম, হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সবাইকে ধর্মীয় পারিবারিক বিধান থেকে বিচ্ছিন্ন করে একটি ধর্মহীন কাঠামোয় আসতে বাধ্য করা হবে। এটি ধর্মীয় স্বাধীনতার চরম লঙ্ঘন। ৯ম পৃষ্ঠায় আরও বলা হয়েছে, জাতিসংঘ প্রণীত CEDAW সনদের অধীনে বিবাহ ও পারিবারিক ক্ষেত্রে আইনের বাস্তবায়ন করা দরকার। আমাদের বক্তব্য হল, CEDAW-এর অনেক শর্ত সরাসরি ইসলামবিরোধী; যেখানে বিয়েকে শুধু একটি সামাজিক চুক্তি হিসেবে দেখা হয় এবং ইসলামী নিকাহ ও অভিভাবকত্বের মতো মৌলিক ধারণাগুলোর বিরোধিতা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, উক্ত সুপারিশমালার ৯ম পৃষ্ঠার আরেক জায়গায়, নারী-পুরুষের পারিবারিক ভূমিকাকে অভিন্নভাবে দেখার প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশের ইসলামিক স্কলাররা মনে করেন, ইসলাম নারী-পুরুষের মর্যাদা সমান মনে করলেও, তাদের ভূমিকায় প্রাকৃতিক পার্থক্যকে স্বীকার করে। তাই ‘নারী-পুরুষের পারিবারিক ভূমিকাকে অভিন্নভাবে দেখার’ প্রস্তাবটি ইসলামী সমাজব্যবস্থাকে বিকৃত করার অপপ্রয়াস ছাড়া আর কিছুই নয়।

এমতাবস্থায় দেশের বিজ্ঞ আলেম সমাজসহ আমরা মনে করি, বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উপরোক্ত বিষয়াদি সুবিবেচনায় নিয়ে জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করবেন এবং দেশের সকল ধর্মের নাগরিকদের ধর্মীয় বিধান সমুন্নত রেখে এ অগ্রহণযোগ্য ও বিতর্কিত সুপারিশমালা অবিলম্বে বাতিল ঘোষণা করবেন।


Image
সর্বস্তরের জনগণের প্রতি ইসরাইলি পন্য বর্জন করার আহবান জানালেন - মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমাদ

ফিলিস্তিনের গাজার একটি শহর নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে বর্বর ইসরাইল। শুধু মাত্র মুসলিম জাতি ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারনে ইসরাইলি গোষ্ঠী পেয়ে যাচ্ছে। আপনারা জানলে খুশি হবেন বিশ্বের প্রায় ৬৫ টি দেশ মুসলিম দেশ, যেখানে দুই শত কোটির বেশি মুসলিম আছে। শুধু মাত্র ঐক্যবদ্ধ না থাকার কারনে আজ ফিলিস্তিন সহ বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা নিপীড়িত। তাই আসুন আমরা সকলে ঐঐক্যবদ্ধ হই, সেই সাথে বর্বর জাতি ইসরাইলির সকল পণ্য বর্জন করি।
১৪ এপ্রিল সোমবার বিকালে বন্দর লালখারবাগ এলাকায় বন্দর থানা উত্তর জামায়াতের ২৭ নং ওয়ার্ডের উদ্যােগে ঈদ পূর্নমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমাদ। এসময় তিনি আরো বলেন মানুষের বানানো কোন তন্ত্র- মন্ত্র দিয়ে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন সম্ভব না। আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা হলেই দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
বন্দর থানা উত্তর জামায়াতের আমীর মুফতী আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি জহুরুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, থানা কর্ম পরিষদ সদস্য মহিউদ্দিন মিয়া, ২৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি জহিরুল ইসলাম সহ স্থানীয় জামায়াতের নেতৃবৃন্দ।


Image
জয়নুল আবেদীন ফারুকের মিথ্যা ভিত্তিহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

বিএনপি নেতা জনাব জয়নুল আবেদীন ফারুক ‘জামায়াতে ইসলামী মসজিদে মসজিদে মহিলাগুলোকে একত্রিত করে বেহেস্তের টিকেট দেয়া শুরু করেছে’ মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান ১৩ এপ্রিল নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন:-
“বিএনপি নেতা জনাব জয়নুল আবেদীন ফারুক গত ১০ এপ্রিল এসএ টেলিভিশন চ্যানেলের এক টক শোতে ‘জামায়াতে ইসলামী মসজিদে মসজিদে মহিলাগুলোকে একত্রিত করে বেহেস্তের টিকেট দেয়া শুরু করেছে’ মর্মে যে ভিত্তিহীন মিথ্যা বক্তব্য দিয়েছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার এ বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তার এ বক্তব্য হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়েই তিনি জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে আজগুবি, বানোয়াট ও হাস্যকর বক্তব্য দিয়েছেন। তার মত একজন প্রবীণ ব্যক্তির মুখে এ ধরনের হালকা বক্তব্য মানায় না। জামায়াতের সমালোচনা করার মত কোনো কিছু না পেয়ে জনাব জয়নুল আবেদীন ফারুক ইসলামী দাওয়াত সম্পর্কে কটাক্ষপূর্ণ হাস্যকর বক্তব্য দিয়ে নিজের মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করেছেন। এভাবে আজগুবি ও অসাড় বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা অত্যন্ত হাস্যকর।
নিজের অবস্থান ও মর্যাদার কথা চিন্তা করেই জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বানোয়াট ও হাস্যকর মিথ্যা বক্তব্য দেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য আমি বিএনপি নেতা জনাব জয়নুল আবেদীন ফারুকের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।


Image
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির গণজমায়েতে।

ঢাকার রাজপথে মানুষের ঢল

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি প্রকাশ করতে মার্চ ফর গাজা সফল করার লক্ষে নারায়ণগঞ্জবাসীর অংশগ্রহণ।
স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত ঢাকার রাজপথ ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান।
ফ্রি ফ্রি ‘ফিলিস্তিন, ‘ইসরায়েল নিপাত যাক’ফিলিস্তিন জিন্দাবাদ, শ্লোগান আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে হাজার হাজার মানুষের স্রোত গিয়ে মিশেছে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির গণজমায়েতে।
ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করতে শনিবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সারাদেশের মতো যোগ দিয়েছে নারায়ণগঞ্জবাসী। ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচির মূল আয়োজন গণজমায়েতে।
শনিবার ১২ এপ্রিল বিকাল ৩টার গণজমায়েত কে সফল করতে সকাল ১০টা থেকেই বাস, ট্রাক, পিকআপ ও ট্রেন সহ হাজার হাজার তাওহীদী জনতা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসতে শুরু করেন। এ সময় বেশিরভাগ মানুষের হাতে দেখা গেছে ফিলিস্তিনের পতাকা, বাংলাদেশের পতাকা সহ কালিমা খচিত ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’লেখা কাপড়।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঠিক পশ্চিম-পূর্ব প্রান্তের চত্বরে তৈরি করা হয়েছে খোলা মঞ্চ। এর সামনে লাল কার্পেট বিছানো হয়েছে। সেখানে শতাধিক চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়েছে অতিথিদের বসার জন্য।
ওই মঞ্চের চারপাশ ঘিরে বাঁশ দিয়ে নিরাপত্তা বেষ্টনি তৈরি করা হয়েছে। এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে ‘প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশ’।
এদিন দুপুর ৩টা থেকে এই মঞ্চ থেকে ‘মার্চ ফর গাজার’ ঘোষণা পত্র পাঠ করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক আমারদেশবপত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান । এসময় বিভিন্ন দলের নেতরা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। গণজমায়াতে সভাপতিত্ব করেন বায়তুল মোকাররমের খতিব মাওলানা আব্দুল মালেক।
উদ্যানের চারপাশের এলাকা, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, মৎস্যভবন এবং দোয়েল চত্বরসহ পুরো এলাকায় মাইক লাগানো হয়েছে।
প্রতিটি মানুষের চোখে মুখে ফিলিস্তিন মুসলমানদের প্রতি ভালোবাসা আর ইজ*রাইল সহ তার মিত্রদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশিত হয়।


Image
ভোটের মাধ্যেমে সমাজে সৎ লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে - মুহাম্মদ আবদুল জব্বার

সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর থানা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যােগে ১১ এপ্রিল শুক্রবার সকালে সিদ্ধিরগঞ্জ চিটাগাং রোড মুঈদ ফাউন্ডেশন অডোটিরিয়ামে ঈদ পূর্নমিলনী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মাওলানা আবদুুল জব্বার। তিনি বলেন দেশের মানুষরে ভোটের মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রে সৎ লোকের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে, পাশাপাশি সৎ লোকের নেতৃত্বের মাধ্যেম সমাজ থেকে সকল ধরনের অন্যায় বিতাড়িত করতে হবে। এসময় তিনি আরো বলেন ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনে আমাদের মুসলিম ভাইদের উপর যে বর্বরতা চালাচ্ছে পৃথিবীর ইতিহাসে তা নজিরবিহীন। তাই এখনই পৃথিবীর সকল মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ইসরাইলিদের বয়কট করতে হবে।
সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর থানা জামায়াতের আমীর মাওলানা মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, থানা আমির মুস্তাফা কামাল সহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
এসময় বক্তরা বলেন স্বৈরাচারীর পতন দেখে যারা শিক্ষা না নেয় তাদের অবস্থা ও স্বৈরাচারীদের মতো হতে বেশি সময় লাগবেনা। দেশের স্বার্থে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।


Image
আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন প্রতিষ্ঠা হলেই দেশে পূর্নাঙ্গ ভাবে শান্তি ফিরে আসবে- মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ

নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামী উত্তর থানা ১১ নং ওয়ার্ডের উদ্যােগে ১০ এপ্রিল বৃহস্পতিবার বিকালে তল্লা রেললাইন এলাকায় ঈদ পূর্নমিলনী আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ। এসময় তিনি বলেন ফিলিস্তিনে গাযায় যে বর্বরতা হচ্ছে, তা একমাত্র নামাজ, রোজা, ইসলামী হুকুমত পালন করার কারনে ইসরাইলি ইহুদিরা চায় পৃথিবী থেকে ইসলামকে নিঃশেষ করে দেওয়ার জন্য। আমরা দুইশত কোটি মুসলিম যদি একত্রিত হই তারা একদিনও পৃথিবীতে বাচতে পারবেনা। তাই দেশের প্রধান উপদেষ্টার প্রতি অনুরোধ থাকবে নিরপরাধ ফিলিস্তিনের শিশুদের, মায়েদের দিকে তাকিয়ে চিকিৎসা সেবা ও প্রতিবাদ গড়ে তোলেন। আমরা আমাদের ভাইদের জন্য জীবন দিতে প্রস্তুত। তিনি আরো বলেন ফ্যাসিস্টদের দোসররা সমাজের রন্ধে রন্ধে ঘাপটি মেরে বসে আছে, সঠিক ভাবে সংস্কার করতে না পারলে সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা চালাবে দোসররা। এসময় সকলের উদ্যেশে বলেন দেশে পূর্নাঙ্গ শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে চাইলে আল্লাহর আইন ও সৎ লোকের শাসন বাস্তবায়ন করতে হবে তাহলে সমাজে শান্তি ফিরে আসবে ইনশাআল্লাহ।
১১ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সভাপতি খোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে মো এমদাদুল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, কর্ম পরিষদের সদস্য মো ফরিদ আহমেদ, উত্তর থানা আমীর আবুল কালাম আজাদ, সেক্রেটারি আব্দুর রহিম, বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ পোখন মিয়া, ১১ নং ওয়ার্ড সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম খোকন সহ স্থানীয় জামায়াতে নেতৃবৃন্দ।


Image
ফিলিস্তিনে ইতিহাসের নিকৃষ্ট হামলা ও আগ্রাসনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বিক্ষোভ মিছিল

আজ ৭ এপ্রিল (সোমবার) বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ শহরের ডি আই টি মসজিদ থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়।
এতে নেতৃত্ব দেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার।

তিনি বলেন আজ আমরা ব্যথিত, মর্মাহত মানবতার ইতিহাসে এর চাইতে বর্বরতা আর কিছু হতে পারেনা, যেখানে অন্যায়ভাবে ফিলিস্তিনের নিরীহ নিরাপদ মুসলিমদের উপর বর্বর ইজরায়েল গোষ্ঠী হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেহ বাংলাদেশে আর মন পরে আছে ফিলিস্তিনে।
জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কোন কার্যকর ভূমিকা রাখছেনা। আজ এই বিক্ষোভ মিছিল থেকে তাদেরকে ধিক্কার জানাই।
আমরা মনে করি প্রতিটি শান্তিকামী মানুষ এই বর্বরতার নিন্দা জানাচ্ছে।
অনতিবিলম্বে এই হত্যা বন্ধ করতে হবে, ইজরায়েলের সাথে বিশ্বের সকল দেশ কে ব্যাবসা- বানিজ্য ও সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে হবে।
শুরুতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাবেক আমির মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমাদ, বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল কাইয়ুম, মহানগরী সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন,এইচ এম নাসির উদ্দিন, কর্মপরিষদ সদস্য মোখলেসুর রহমান, মাওলানা ওমর ফারুক, সাঈদ তালুকদার প্রচার ও মিডিয়া হাফেজ আবদুুল মোমিন সহ শত শত ধর্মপ্রাণ মুসল্লী বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।


Image
শহীদ নেতৃবৃন্দের জীবন কুরবানী ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে -মাওলানা আবদুল হালিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আমলে শহীদ নেতৃবৃন্দের জীবন কুরবানী ও হাজার হাজার নেতাকর্মীর অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্ট ইসলামী আন্দোলনের সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত করেছে। সংগঠন কর্তৃক ১১-২৫ এপ্রিল, দেশব্যাপী ঘোষিত গণসংযোগ পক্ষ পালনের মাধ্যমে সর্বস্তরের জনগণের কাছে বৈষম্য মুক্ত ও ইনসাফপূর্ণ সমাজ বিনির্মাণে দাওয়াত পৌঁছে দিতে হবে।

প্রধান অতিথি আরও বলেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের বিচারের লক্ষ্যে গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিলুপ্তি ও সকল দল ও শ্রেণী-পেশার মানুষের রাষ্ট্র পরিচালনায় সম্পৃক্ততার জন্য সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি (পিআর) অপরিহার্য।

তিনি বলেন, আগামী দিনে স্থানীয় ও জাতীয় নির্বাচনে ভালো ফলাফল লাভের জন্য জনগণের আকাক্সক্ষা ধারণ করে তৃণমূলে সংগঠনের বিস্তৃতি ও সমাজকল্যাণমূলক কার্যক্রম বাড়াতে তিনি দায়িত্বশীলদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

প্রধান অতিথি মাওলানা আবদুল হালিম তৃণমূল পর্যায়ে সকল ইসলামী দল ও ব্যক্তির সাথে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ এবং সম্পর্ক বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মজলুম জননেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবি করেন এবং গাজার মুসলমানদের ওপর ইসরাইলিদের বর্বরোচিত হামলা ও ধারাবাহিক আক্রমণের তীব্র নিন্দা জানান। তিনি গাজাবাসীর মানবিক সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

৫ এপ্রিল (শনিবার) সকাল ১০টায় দিনাজপুর জেলা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও দিনাজপুর জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য ও জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক জেলা আমীর ও চিরির বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, চিরিরবন্দর-খানসামা সংসদীয় আসনের জননেতা আফতাব উদ্দীন মোল্লা, কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরা সদস্য, সাবেক জেলা আমীর ও বিরামপুর-নবাবগঞ্জ-হাকিমপুর-ঘোড়াঘাট সংসদীয় আসনের জননেতা আনোয়ারুল ইসলাম, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য, সাবেক বিরল উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান ও বিরল-বোচাগঞ্জ সংসদীয় আসনের জননেতা অধ্যক্ষ একেএম আফজালুল আনাম, পার্বতীপুর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, ফুলবাড়ী-পার্বতীপুর সংসদীয় আসনের জননেতা আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর সদর আসনের জননেতা অ্যাডভোকেট মাইনুল আলম, বীরগঞ্জ-কাহারোল সংসদীয় আসনের জননেতা মতিউর রহমান, শিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি রাজিবুর রহমান পলাশ, শিবিরের কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য ও দিনাজপুর শহর সভাপতি মুশফিকুর রহমান, জেলা উত্তর সভাপতি রাসেল রানা ও জেলা দক্ষিণ সভাপতি সাজিদুর রহমান সাজু প্রমুখ।

দায়িত্বশীল সমাবেশে জেলা কর্মপরিষদ সদস্যবৃন্দ, জেলা মহিলা বিভাগের দায়িত্বশীলাগণ, ছাত্রশিবিরের দিনাজপুর শহর, জেলা উত্তর, জেলা দক্ষিণ শাখার দায়িত্বশীলগণ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেলা দায়িত্বশীলগণ, ছাত্রী সংস্থার জেলা দায়িত্বশীলাসহ বিভিন্ন বিভাগের দায়িত্বশীলগণ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য যে, সকাল ৮টায়, দিনাজপুর শহর জামায়াতের এক দায়িত্বশীল সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম। শহর আমীর সিরাজুস সালেহীনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মুহাদ্দিস ডক্টর এনামুল হক ও জেলা সহকারী সেক্রেটারি রাজিবুর রহমান পলাশ প্রমুখ।