- জনগন জামায়াত কে ভোট দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে নিছে- আবদুল জব্বার
- মদনপুর,মদনগঞ্জ রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
- ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল বিজয়ী হওয়ায় মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ এর অভিনন্দন
- অভিনন্দন ডাকসুতে বিজয়ী প্যানেলকে!!
- নারায়ণগঞ্জকে MRT-2 (মেট্রোরেল) প্রকল্পে যুক্ত করার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর নিকট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্মারকলিপির প্রদান
জামায়াত নেতা এ টি এম আজাহারুল ইসলামের মুক্তিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা জামায়াতের শোকরানা সমাবেশ
বাংলাদেশ জামাতে ইসলামী সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল কারা নির্যাতিত মজলুম জননেতা এ টি এম আজাহারুল ইসলামের বেকসুর খালাস হওয়ায় ২৯মে বৃহস্পতিবার সন্ধায় মুহিত ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে সিদ্ধিরগঞ্জ জামায়েত ইসলামীর পক্ষ থেকে শোকরানা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত শোকরানা সমাবেশে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির মাওলানা আবদুল জব্বার প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন "সত্য সমাগত মিথ্যা অপসৃত" নিশ্চয় মিথ্যার পরাজয় অবশ্যম্ভাবী", তিনি আরো বলেন পতিত স্বৈরাচারী সরকার বিনা বিচারে লক্ষ লক্ষ আলেম ওলামাদের নির্বিচারে জেল জুলুম খাটিয়ে গুম খুন ও ফাসিঁতে ঝুলিয়েছেন। কিন্ত একটা কথা সবার মনে রাখা উচিত আল্লাহ বাঁচিয়ে রাখতে চাইলে পৃথিবীর কারো সাধ্য নেই মারার। বর্ষিয়ান নেতা এ টি এম আজাহারুল ভাই তার দৃষ্টান্ত প্রমান। তাই আসুন আমরা রংয়ে রঙ্গিন হই আমাদের এই প্রাপ্তির উল্লাস প্রকাশ হবে এখন থেকে বেশি বেশি এবাদত করার মাধ্যেমে।
এসময় নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের সংগ্রামী সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন বলেন বর্ষিয়ান নেতা এ টি এম আজাহারুল ইসলাম ভাইকে যারা বিনা অপরাধে কারাভোগ করিয়েছে তাদের প্রত্যেকেই শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
এসময় সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর থানা আমির মোস্তফা কামাল এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিদ্ধিরগঞ্জ দক্ষিন থানা আমীর আলহাজ্ব কফিল আহমেদ, পশ্চিম থানা আমীর মাহাবুব আলম, পুর্ব থানা আমীর আলি আক্কাস, উত্তর থানা সেক্রেটারি কামরুল ইসলাম রিপন, দক্ষিন থানা সেক্রেটারি সাদ আহমেদ, পূর্ব থানা সেক্রেটারি শহিদুল ইসলাম, সাইদুল হক, আবদুল মতিন সহ স্থানীয় জামায়াত নেতৃবৃন্দ।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার ষান্মাসিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত
২৪ মে শনিবার সকালে রাজধানী ঢাকার মগবাজারস্থ আল-ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সংগঠনের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার ষান্মাসিক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীরবৃন্দ, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলবৃন্দসহ কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার (পুরুষ ও মহিলা) সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন।
সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান মজলিসে শূরার অধিবেশনে উদ্বোধনী বক্তব্য পেশ করেন।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, স্বাধীনতার মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের এই দীর্ঘ পরিক্রমায় জাতির মূল প্রত্যাশার অনেকগুলো আজও অপূর্ণ থেকে গেছে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়নি। নাগরিক অধিকার নিশ্চিত হয়নি। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মর্যাদাপূর্ণ হেফাযত সংরক্ষণ করতে পারেননি। গত ১৫ বছরের শাসকগোষ্ঠী দেশকে দুঃশাসন উপহার দিয়েছে। তাদের পুরোটা সময় মানুষ দুঃস্বপ্নে বসবাস করেছে। জেল-জুলুমের স্টিমরোলার জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের কাউকে বিচারের নামে প্রহসন করে আবার কাউকে বিনা বিচারে হত্যা করা হয়েছে। আয়নাঘর বানিয়ে গুমের সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে। একটি স্বাধীন দেশে ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে দেশে যা ঘটেছে তার সাক্ষী দেশের আপামর জনগণসহ গোটা বিশ্ববাসী। ইতোমধ্যেই জাতিসংঘের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি এবং মানবাধিকার সংগঠন ঐ সময়ের সরকারকে স্পষ্টভাবে দায়ী করে জুলাই-আগস্টের ঘটনার একটি রিপোর্ট পেশ করেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমরা জাতির একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে অবস্থান করছি। এই বাঁক সফলভাবে উত্তরণ করতে হবে। বিশেষ করে গত কয়েক দিনের ঘটনা প্রবাসীসহ দেশবাসীকে বিচলিত করেছে। এব্যাপারে জামায়াতে ইসলামী একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। আমরা দ্রুততম সময়ে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের জরুরি সভা করে দেশের চলমান বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আলোচনায় আমরা বলেছি সংঘাত-সংঘর্ষ এবং কাদা ছোড়াছুড়ি করে জাতিকে অনিশ্চয়তার মধ্যে ঠেলে দেওয়া একেবারেই সমীচীন হবে না।
তিনি বলেন, জামায়াতের রাজনীতি দেশ ও জনগণের কল্যাণে। জামায়াত সবসময় জনগণের স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে দলীয় পরিকল্পনা-কর্মসূচি রচনা ও পরিচালনা করে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে কতিপয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। এই অনিশ্চয়তা উত্তরণে আমরা অন্তর্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে সর্বদলীয় ডায়ালগ করার আহ্বান জানিয়েছি। আমরা বিশ্বাস করি সকলের সন্তোষজনক আলোচনার মাধ্যমে জাতির আতঙ্ক ও আশঙ্কা দূর হবে এবং এ সংকটের উত্তরণ ঘটবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, ২০১৪ তে ১৫৪ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়, ২০১৮ তে নিশি রাতের ভোট এবং ২০২৪ এ ডামি আর আমি’র প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে জাতির সাথে চরম তামাশা করা হয়েছে। এ অবস্থায় জাতিকে একটি সুন্দর নির্বাচন উপহার দিতে হবে; যার মাধ্যমে সত্যিকার অর্থে জনগণের মতের প্রতিফলন ঘটবে এবং জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
আমরা সরকারের কাছে সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ দাবি করেছিলাম। সুস্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় জনগণের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়েছে। জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা সরকারের প্রতি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দাবি করছি। এরপর আমাদের দাবি ছিল ফ্যাসিবাদের সুষ্ঠু বিচার। এ বিচার প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘ। তবে জাতির কাছে বিশ্বাসযোগ্য বিচারকার্য অনতিবিলম্বে দৃশ্যমান হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি দুটি স্পর্শকাতর বিষয় জাতির সামনে এসেছে। মানবিক করিডোর ও চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ব্যবস্থাপনা। এব্যাপারে সিকিউরিটি এক্সপার্ট এবং দেশের সকল পক্ষের সাথে আলোচনা করে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। অথবা নির্বাচিত পার্লামেন্ট-এর জন্য রেখে দেওয়া যেতে পারে।
সেনাবাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী আমাদের গর্বের বিষয়। ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে তাদের মর্যাদাপূর্ণ অবদান রয়েছে। সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করা উচিত নয়। জাতির প্রত্যাশা সেনাবাহিনী স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার মাধ্যমে দেশ ও জাতির সেবা করবে এবং দেশের রাজনৈতিক দলগুলো ও সেনাবাহিনী যার যার অবস্থান থেকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের দিকে নজর দিবে।
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা একাধিকবার বলেছেন জাতীয় নির্বাচন তিনি এ বছরের ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে সম্পন্ন করতে চান। এতে আমাদের আস্থা রয়েছে। এব্যাপারে আমরা সরকারকে সব ধরনের সহযোগিতা করতে চাই।
ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে আমীরে জামায়াত শান্তিকামী বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ফিলিস্তিনের জনগণ দশকের পর দশক ধরে নির্যাতিত এবং নিষ্পেষিত হচ্ছে। গাজা ও ফিলিস্তিনে মানবতাবিরোধী যুদ্ধ চলছে। আমরা জাতিসঙ্ঘসহ শান্তিকামী ও মানবতাবাদী বিশ্বসম্প্রাদয়কে যুদ্ধ বিরতি নয়, স্থায়ীভাবে যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি। সিরিয়াকে সে দেশের জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী চলতে দেওয়া উচিত বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
আরাকান প্রসঙ্গে আমীরে জামায়াত বলেন, আরাকানের রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে সম্মান ও নিরাপত্তার সাথে পুনর্বাসিত করতে হবে। এব্যাপারে জাতিসংঘকেই প্রধান ভূমিকা পালন করতে হবে।
আমীরে জামায়াত নিজ দলের দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সকল ক্ষেত্রে আমাদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। সকল ব্যাপারে সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। সংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে সমাজের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার ব্যাপারে দিক নির্দেশনা দিতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা সমাজের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। আপনাদেরকে রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ বলা হয়। আমাদের প্রত্যাশা আপনাদের ইতিবাচক ভূমিকা সমাজকে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যাবে। আসুন আমরা কালোকে কালো এবং সাদাকে সাদা বলি।
সবশেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশকে জনপ্রত্যাশার জায়গায় পৌঁছে দেয়ার জন্য আমাদের প্রিয় সংগঠন অতীতে অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছে; ভবিষ্যতের জন্যও আমরা প্রস্তুত। আল্লাহ তায়ালার বিধানে বিশ্ব মানবতার কল্যাণ নিশ্চিত করা হয়েছে। এই বিধানের মাধ্যমেই সব ধর্মের মানুষের জীবন-সম্পদ ও ইজ্জতের নিরাপত্তা এবং তাদের নিজ নিজ অধিকার নিশ্চিত করার আমাদের লড়াই-সংগ্রাম, চেষ্টা-প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। আসুন আমরা একটি শান্তিপূর্ণ, দুর্নীতিমুক্ত মানবিক কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ার প্রত্যয়ে ঐক্যবদ্ধ হই। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন প্রিয় দেশকে সকল ধরনের ক্ষতি ও ষড়যন্ত্রের হাত থেকে রক্ষা করুন। অনৈক্য ও বিভাজন তৈরি না করি। দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশের স্বার্থকে প্রাধান্য দিই।
একজন খুনের আসামী কিভাবে গ্রেপ্তারের পূর্বে প্রেস ব্রিফিং করে?
প্রশাসনের ঘাড়ে এখনো ফ্যাসিষ্টদের প্রেতাত্না ভর করে আছে!
আওয়ামী আমলে কোন মামলা ওয়ারেন্ট ছাড়াই গভীর রাতে জামায়াত-বিএনপিসহ বিরোধী মতের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ সামন্যতম সময়ক্ষেপণ করেনি,বরং বাড়ী-ঘর দরজা-জানালা ভেঙ্গে টেনে-হিচড়ে লাঞ্চিত-অপমানিত করে তাদের মা-বাবা স্ত্রী-সন্তানদের সামনে থেকে অমানবিক ভাবে নিয়ে গিয়েছে।
কিন্ত গতকাল দেখলাম নারায়ণগঞ্জে গণ–অভ্যুত্থানের
৫ হত্যা মামলার আসামী নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে যথেষ্ট বিলম্ব করেছে, এই দূর্বলতার কারণ মানুষ জানতে চায় । তার চেয়েও সাংঘাতিক বড় প্রশ্নবিদ্ধ বিষয় হলো একজন খুনের আসামী কিভাবে গ্রেপ্তারের পূর্বে প্রেস ব্রিফিং করে?
এতে স্পষ্ট বুঝা যায় প্রশাসনের ঘাড়ে এখনো ফ্যাসিষ্টদের প্রেতাত্না ভর করে আছে!
জামায়াতের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার আপিল দ্রুত শুনানির আবেদন
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে দ্রুত শুনানির আবেদন করেছে। রোববার সকালে জামায়াতের পক্ষে ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৩ সদস্যের বেঞ্চে এ আবেদন করেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে দ্রুত শুনানির আবেদন করেছে। রোববার সকালে জামায়াতের পক্ষে ব্যারিস্টার এহসান আবদুল্লাহ সিদ্দিকী বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের ৩ সদস্যের বেঞ্চে এ আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, জামায়াতের আপিল শুনানি শুরু হলেও হঠাৎ তা স্থগিত হয়ে যায়। যেহেতু দলটির নিবন্ধন ও রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এ মামলার সঙ্গে সরাসরি জড়িত, তাই এ মামলাটি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত শুনানি প্রয়োজন।
শুনানি শেষে আপিল বিভাগ জানায়, বিষয়টি মঙ্গলবার বা বুধবার আদালতে শুনানির জন্য উঠতে পারে। এ বিষয়ে জামায়াতের আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী আমার দেশ কে জানান, আদালত এ সপ্তাহেই শুনানি হবে বলে আমাদের জানিয়েছেন।
এর আগে, চলতি বছরের ১২ মার্চ রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল শুনানি শুরু হয়।
গত বছরের ২২ অক্টোবর রাজনৈতিক দল হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে দেন দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগ। এর ফলে নিবন্ধন ও দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ফিরে জামায়াতের আইনি লড়াই করার পথ খুলে যায়। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে জামায়াতের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির, এডভোকেট আসাদ উল্লাহ প্রমুখ । রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড আলী আজম।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা ও মহানগরী আমীর সম্মেলন অনুষ্ঠিত
যুব সমাজকে গড়ে তুলতে হলে কোরআন ও ইসলাম ছাড়া অন্য বিকল্প নেই: মুহাম্মদ আবদুল জব্বার
সিদ্ধিরগঞ্জে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী উত্তর থানা শাখার উদ্যগে এক বিশাল সহযোগী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ১লা মে বিকাল ৪ টায় অনুষ্ঠিত উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়নগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার। উক্ত সমাবেশে সিদ্ধিরগঞ্জ উত্তর থানা শাখার আমির মাওলানা মোস্থফা কামালের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন নারায়নগঞ্জ মহানগর সেক্রেটারী ইঞ্জিঃ মনোয়ার হোসাইন ও সহকারী সেক্রেটারী মোহাম্মদ জামাল হোসাইন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি মাওলানা আবদুল জব্বার বলেন, আজ মহান মে দিবস । আজকের এ দিনে শ্রমের উপযুক্ত মূল্য ও দৈনিক ৮ ঘন্টা কাজের দাবিতে ১৮৮৬ সালে সংগ্রামের সূচনা হয়েছিলো। শেষন ও নির্যাতন হতে মেহনতি মানুষের মুক্তি, তাদের ন্যায্য অধিকার আদায় এবং সামজিক সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে বর্তমানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বদ্ধ পরিকর। এর ধারাবাহিকতায় নারায়গঞ্জ মহানগরী মেহনতী মানুষের জন্য বেশ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছে যা বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধ পরিকর। জামায়াত ইসলামী ক্ষমতায় এলে এ সব মেহনতি মানুষের জন্য নারায়নগঞ্জে একটি হাসপাতাল করা হবে। যেখানে শুধেু শ্রমিক ও অসহায় মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হবে। নরী শ্রমীকদের জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশেষ করে গার্মেন্স নারী কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বর্তমানে গার্মেন্স নারী কর্মীদের নিরাপত্তার তেমন সুব্যবস্থা নাই। আমরা ক্ষমতায় গেলে এ সব নারী কর্মীদের নিরাপত্তার সুব্যবস্থ নিশ্চিত করব। তিনি আরও বলেন, আপনারা জানেন বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের সময় আমরা আপনাদের কাছে কোনো সামাজিক কাজ নিয়ে আসতে পারিনি। এমন কি মসজিদের ইমাম পর্যন্ত কথা বলতে পারে নাই। কিন্তু এখন সময় এসেছে। ছাত্র জনতার আন্দোলনের মুখে ফ্যসিস্ট হাসিনা পালিয়ে গেছে। তাই দল মত নির্বিশেষে এক হয়ে দেশ ও জাতির জন্য একযোগে কাজ করতে হবে। দেশ পুনর্ঘঠনে সকলকে এক্যবদ্ধ থেকে কাজ করে যেতে হবে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যতদিন থাকবে ততদিন মানুষকে কোরআনের দিকে, ইসলামের দিকে ডাকবে এবং ন্যায়ের পথে থাকার জন্য আহ্বান জানাবে। বর্তমানে যে আইন চালু আছে সে আইনে কোন মানুষের শান্তি নাই, সমাজে শান্তি নাই এমন কি পরিবারেও শান্তি নাই। বিগত সরকার দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠান গুলোকে ধংশ করে গেছে। শুধু দেশ নয় তারা পরিবারগুলোকেও ধংশ করে ফেলেছে। যুবকদেরকে মাদকাসক্ত করে যুব সমাজকে পঙ্গু করে ফেলেছে। তাই দেশ সমাজ পরিবার এবং যুব সমাজকে গড়ে তুলতে হলে কোরআন ও ইসলাম ছাড়া অন্য বিকল্প নেই। বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম সে লক্ষেই কাজ করে যাচ্ছে।
উক্ত সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন, মজলিশে শূরা সদস্য ইঞ্জিঃ আব্দুল বাকি, থানা কর্মপরিষদ সদস্য কামরুজ্জামান রিংকু, থানা সেক্রেটারি কামরুল ইসলাম রিপন, ওয়ার্ড সভাপতি আব্দুল খালেক, রমজান আলি খান, নাছির উল্লাহ প্রধান, নাছির উদ্দিন, রাকিব, ইব্রাহিম খলিল, সাইদুল হক, শহিদুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ দিপু প্রমুখ।
আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়ন হলেই শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে- মুহাম্মদ আবদুুল জব্বার
১মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যােগে সমাবেশ ও র্যালির আয়োজন করা হয়। র্যালিটি শহরের চাষাঢ়া হয়ে প্রধান প্রধান সড়ক গুলো পদক্ষিন করে মিশনপাড়া মোড়ে এসে শেষ হয়। র্যালিতে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জব্বার। এসময় তিনি বলেন মানুষের বানানো কোন তন্ত্র, মন্ত্র দিয়ে শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব না। শ্রমিকের শরীরেরের ঘাম শুকানোর আগে ন্যায অধিকার দিতে পারে একমাত্র আল্লাহর আইন আল কুরআন। তিনি আরো বলেন বিগত আমলে একদলকে দেখেছি তারা বড় বড় কথার বুলি দিয়ে সরকারি অর্থ লুটপাট করে শ্রমিকদের করেছে বঞ্চিত। এধরনের অন্যায় যারা করবে তাদেরকে শ্রমিক জনতা রুখে দিবে।
উক্ত সমাবেশ ও র্যালিতে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি হাফেজ আবদুুল মোমিনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান হোসাইন মুন্নার সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য প্রদানে উপস্থিত ছিলেন মহানগরী জামায়াতের সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, এইচ এম নাসির উদ্দিন, মহানগরী কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা সাইফুূদ্দিন মনির, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন মহানগরী সহ-সভাপতি মুন্সী মোঃ আব্দুল্লাহ ফাইইসুল, সহ-সভাপতি মোশারফ হোসেন, অফিস সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম সিকদার, সহকারী সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, মহানগরীর কোষাধক্ষ্য খোরশেদ আলম রবিন, নির্বাহী সদস্য এরশাদ খান ইকবাল হোসাইন আক্তার হোসেন, মহানগরী ও থানা শ্রমিক ফেডারেশন ও বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর হাতে ২৪ এর জুলাই আগস্ট আন্দোলনের শহীদদের স্মারক তুলে দিচ্ছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর জামায়াত নেতৃবৃন্দ
আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন বাস্তবায়নে জামায়াতে ইসলামী কাজ করে যাচ্ছে - মুহাম্মদ আবদুল জব্বার
রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনের ব্যাখা প্রদান ডা: তাহেরের
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সফররত চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির সাথে বৈঠকের পর এ সম্পর্কে যে ব্রিফিং দিয়েছেন তাতে রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবর্তনের বিষয়ে তাঁর বক্তব্যের ব্যাখ্যা প্রদান করে ২৮ এপ্রিল নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন:-
“গত ২৭ এপ্রিল বাংলাদেশ সফররত চীনা কম্যুনিস্ট পার্টির সাথে বৈঠকের পর প্রেস ব্রিফিং-এ আমি যে বক্তব্য দিয়েছি তাতে মূলত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের সম্মানজনক ও নিরাপদভাবে তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করার ব্যবস্থা ও তাদের জন্য একটি নিরাপদ অঞ্চল গড়ে তোলার বিষয়টি বুঝাতে চেয়েছি। আমার বক্তব্যের মাধ্যমে কোনো ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হলে তা এ বিবৃতির মাধ্যমে নিরসন হবে বলে আমি আশা করি। এটিই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর দৃষ্টিভঙ্গি