- জনগন জামায়াত কে ভোট দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়ে নিছে- আবদুল জব্বার
- মদনপুর,মদনগঞ্জ রাস্তাটি সংস্কারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত
- ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেল বিজয়ী হওয়ায় মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ এর অভিনন্দন
- অভিনন্দন ডাকসুতে বিজয়ী প্যানেলকে!!
- নারায়ণগঞ্জকে MRT-2 (মেট্রোরেল) প্রকল্পে যুক্ত করার দাবিতে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক এর নিকট বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্মারকলিপির প্রদান

প্রত্যেকটি হত্যার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে- সাইফুল আলম খান মিলন
প্রত্যেকটি হত্যার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে বিচার নিশ্চিত করতে হবে
সাইফুল আলম খান মিলন
নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত ৩৬ জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সমাবেশ ও গণ মিছিল অনুষ্ঠিত।
৫ আগষ্ট মঙ্গলবার বিকেল ৩ টায় মহানগর জামায়াতের উদ্যোগে চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে সমাবেশ শেষে চাষাড়া থেকে ডি আই টি মসজিদ পর্যন্ত গন মিছিল করেছে মহানগর জামায়াত ।
সমাবেশের প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চল পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন বিচার না হলে আমরা শহীদি আত্মার প্রশ্নের কোন উত্তর দিতে পারবো না, যে সকল ভাইয়েরা তাদের হাত হারিয়েছে চোখ হারিয়েছে পা হারিয়েছে তাদের আজও পর্যন্ত সুষ্ঠ চিকিৎসা হয় নাই তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। তিনি আরো বলেন যে গডফাদার হাসিনা আমাদেরই অর্থে কেনা অস্ত্র দিয়ে আমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করেছে তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে, ফ্যাসিবাদের সকল রাস্তা বন্ধ করার জন্য যে জায়গা সংস্কার প্রয়োজন তা করতে হবে, কেননা সংস্কার ব্যতীত স্বৈরাচারের ফিরে আসার পথ বন্ধ হবে না। তিনি বলেন আজকে যারা সংস্কার ছাড়া তড়িঘড়ি করে নির্বাচনে আসতে চায় তারা মূলত স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করতে চায়। আমরা দেখতে পাচ্ছি এখনো সারাদেশে চাঁদাবাজি চলছে, হত্যা চলছে, জুলুম চলছে, এগুলোর অবসান করতে হলে অবশ্যই আমাদেরকে সংস্কার করতে হবে। লেভেল প্লেইন ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে। সকল দল ও মতের নির্ভয়ে ভোট দান নিশ্চিত করতে হবে। ছাত্র জনতা আপাতত ক্ষান্ত হয়েছে জুলুম নির্যাতন চালু হলে তারা আবার রাস্তায় নেমে আসতে বাধ্য হবে।
সমাবেশ ও গণ মিছিলে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা আবদুল জব্বার, সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, এক সাগর রক্তের বিনিময়ে সেদিন ছাত্র-জনতা নতুন এক বাংলাদেশের জন্য রাজপথে রক্ত ঢেলে দিয়েছিল সেই প্রত্যয় থেকে আমরা বলেছিলাম শামীম উসমান সহ সকল সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। সংস্কার হতে হবে পুলিশ প্রশাসন থেকে সর্বস্তরে ফ্যাসিবাদের দোষরদের চিহ্নিত করে যথাযথ আইনের মাধ্যমে তাদের বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে। জামায়াত সর্বদা নির্বাচনমুখী দল সকল নির্বাচনে জামায়াতের অংশগ্রহণ ছিল। জামায়াত গণতন্ত্রকামি মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবার আগে সব সময় থেকেছে। তর ই ধারাবাহিকতায় জামাত দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে মানুষের ঘরে ঘরে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিশ প্রশাসনের যে সকল ওসিরা জুলুম এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা নিতে গরিমসি করেন মূলত তারা স্বৈরাচারের দোসর।
আবার যদি কোন স্বৈরাচার মাথাচাড়া দিতে চায় জামায়াতে ইসলামের প্রতিটি নেতাকর্মী তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে বাংলাদেশ কে স্বৈরাচার মুক্ত করবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ অতিথি কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ বলেন সকল শহীদেরা দেশের সম্পদ তাদের সুষ্ঠ বিচার তাদের ন্যায্য অধিকার।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন
শহীদ সজলের গর্বিত পিতা হাসান মাহমুদ, মহানগরীর নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, সরকারি সেক্রেটারি জামাল হোসেন এইচ এম নাসির উদ্দিন
মাওলানা সাইফুদ্দিন মনির, ডা. আলী আশরাফ খান,
হাফেজ আব্দুল মোমিন,
জাকির হোসাইন,
মহানগরী ছাত্রশিবির সেক্রেটারি অমিত হাসান, এডভোকেট মাঈনুদ্দিন মিয়া, হাবিবুর রহমান মল্লিক, মাওলানা নুরুল হক, মাওলানা নাসির উদ্দিন, মাহবুব আলম প্রমুখ।