ইসলামী আন্দোলনের নৈতিক ভিত্তি
ইসলামী আন্দোলনঃ
মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগ হতে গায়রুল্লাহর প্রভুত্ব উৎখাত করেআল্লাহরকর্তৃত্ব ও রাসূল (সা:) ত্রর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যে সর্বাত্বকচেষ্টাও প্রচেষ্টা তাকে ইসলামী আন্দোলন বলে।
নৈতিকতাঃ নীতি মানার যেটি অনুভূতি সেটি নৈতিকতা। মানবীয় চরিত্রের যে গুন যা তাকে সঠিক পথে চলতে উৎসাহিত করে।
ভিত্তিঃ যার উপর ভিত্তি করে কোন কিছু সংস্থাপিত হয়।
মানব সমাজে অশান্তির মূল কারণ:-
১. বর্তমান সমাজের নেতৃত্ব সৎ নয়
২.এ মূল সমস্যা জনগন উপলদ্ধি করতে পরেনা
৩. অনৈক্য ও ভাঙ্গন
৪. সত্য ও সত্যপ্রিয় মানুষ অনেক, কিন্তু আসল সত্য প্রিয় মানুষের সংখ্যা কম
৫. সত্যপ্রিয় লোক থাকলেও ক্ষমতায় নেই।
নেতৃত্বর গুরুত্বঃ
১. নেতা হচ্ছে যে কোন কার্যের প্রকৃত ভূমিকা পালনকারী।
২. নেতাই ভাঙ্গা ও গড়ার মৌলিক পরিকল্পনাকারী।
৩. নেতা তার অধীনস্ত কর্মীদের অনুসরনীয় ব্যক্তি।
৪. নেতা অসৎ হলে পাপ পঙ্কিলতা দূর হয়ে সৎ পথে চলা হয়।
৫. নেতা সৎ হলে খোদাকেন্দ্রিক ব্যবস্থাপনার দরুন পাপ নি:শেষ না হলে সমাজ সহজে বিকশিত হতে পারে না।
নেতার ব্যাপারে খোদার নির্দেশ/ ইসলামের মূল লক্ষ্যঃ
১. সব মানুষ আল্লাহর গোলামী করবে।
২.খোদার প্রদত্ত বিধানই কর্মীদের চলার পথ।
৩.দুনিয়া হতে সকল অশক্তি ও বিপদ দূর করতে হবে।
৪.উপরোক্ত কাজের নিয়ামক নেতার, কর্মী বা জনশক্তির নয়।
৫.ইসলামী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত না থাকলে সামগ্রিকভাবে প্রতিষ্ঠিত বাতিল নেতৃত্বকে উৎখাত করে ইসলামী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
৬.ইসলামের মূল লক্ষ্য নেতৃত্বের আমূল পরিবর্তন।
মানবিক বা নৈতিক দিকঃ ২টি
১. মৌলিক মানবীয় গুনাবলী/চরিত্রঃ
ক) ইচ্ছা শক্তি ও সিদ্বান্ত গ্রহন শক্তি
খ) প্রবল বাসনা
গ) উচ্চাশা ও নির্ভীক সাহস
ঘ) সহিষুতা ও দৃঢ়তা
ঙ) তিতিক্ষা ও কৃচচ্রসাধনা
চ) বীরত্ব ও বীর্যবত্তা
ছ) সহনশীলতা ও পরিশ্রমপ্রিয়তা
জ) উদ্দেশ্যের আকর্ষন ও সে জন্য সব কিছুর উৎসর্গ করার প্রবনতা
ঝ) সর্তকতা
ঞ) দূরদৃষ্টি ও অন্তরদৃষ্টি, বোধশক্তি ও বিচার ক্ষমতা
ট) ইচ্ছাবাসনা
ঠ) স্বপ্ন সাধনা ও উত্তেজনার সংযমশক্তি ত্রবং অন্যান্য মানুষকে আকৃষ্ট করা।