গুলশান থানায় রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রনোদিত মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট মামলা দায়েরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
গত ১৭ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার গুলশান থানায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি জনাব এএইচএম হামিদুর রহমান আযাদ ২৪ ডিসেম্বর এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “গত ১৭ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকার গুলশান থানায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। দেশব্যাপী জনগণের গণআন্দোলন ও স্বতঃস্ফ‚র্ত অংশগ্রহণে দিশেহারা হয়ে সরকার এই আন্দোলনকে নস্যাৎ করার জন্য জামায়াত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বায়বীয় মামলা দিয়েই ক্ষান্ত হয়নি, তারা জামায়াতের জেলে থাকা এমনকি মৃত নেতৃবৃন্দকেও আসামি করেছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার হীন উদ্দেশ্যেই এটি করা হয়েছে। আমরা এ মিথ্যা মামলা দায়ের করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তিদের কাজ হলো দেশের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা বিধান করা। অথচ আমরা লক্ষ্য করছি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোথাও কোথাও বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী-সমর্থকদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর ও অর্থ লুটের মত অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। গাজীপুরে একজন সাব ইন্সপেক্টরের নেতৃত্বে একটি বন্ধ দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। আমরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিভাগীয় আইন ও বিধি মোতাবেক নিজস্ব আইনে জড়িতদের বিচারের আওতায় নিয়ে আসার আহবান জানাচ্ছি। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে এ ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারি ও জঘন্য মিথ্যাচার মোটেই কাম্য নয়। রাষ্ট্রের যে কোনো নাগরিকের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার রয়েছে। এ অধিকারে হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগ সংবিধান কাউকে দেয়নি।
আমরা দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং এ ধরনের জঘন্য মিথ্যা মামলা দায়ের করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি