15 49.0138 8.38624 arrow 0 both 0 4000 1 0 horizontal https://bjingm.org 300 4000 - 0
সর্বশেষ সংবাদ
আমাদের প্রকাশনী

ইসলামী আন্দোলন সাফল্যের শর্তাবলী

ভূমিকাঃ

ইসলামী সমাজ প্রতষ্ঠিার আন্দোলনে অবর্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমইে আখরোতে আল্লাহর সন্তুষ্টি র্অজন নির্ভরশীল। আর যারা সত্যইি একটি আর্দশ ইসলামী সমাজ কায়মে করতে চায় তাদরেকে র্সবপ্রথম নিম্নোক্ত দিক গুলো সর্ম্পকে সচতেন হতে হবেঃ

১. হতাশার দিক।

২. আশার দিক।

৩. করণীয় দিক।

হতাশার দিকঃ

১. আমাদের জাতির মধ্যে ইসলামী সমাজ প্রতষ্ঠিার আগ্রহ ও উদ্যোগ গ্রহণের অভাব এবং তার চাইতেও বেশী অভাব যোগ্যতার।

২. আমাদের সমাজের প্রভাবশালী অংশ অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমাজে বিকৃতি ও ভাঙ্গন সৃষ্টিতে মুখর।

৩. নির্বাচনে জনগনকে প্ররোচিত করা (নির্ভূল নির্বাচনে যোগ্য র্প্রাথী না হওয়ার জন্য জনগনকে প্ররোচিত করে)।

আশার দিকঃ

১. সমাজে কিছু সৎলোক আছে, যাদের আগ্রহ ও যোগ্যতা আছে।

২. জাতি সামগ্রকি ভাবে অসৎ প্রবণ নয়। প্রচেষ্ঠা চালালে এরাও আন্দোলনের সর্মথক হতে পারে।

৩. বিকৃতির কাজে যারা লিপ্ত তারা দু’টি গুণ র্অজন করতে পারেনা।

ক) চারিত্রিক শক্তি।

খ) ঐক্যের শক্তি বা নৈতিক শক্তি।

করণীয় দিক চারটিঃ

১. আবেগ বর্জিত ধীর সুস্থ সিদ্ধান্ত।

২. হঠাৎ ফল পাওয়ার মানসকিতা পরিহার।

৩. সুশিক্ষিত কর্মী বাহিনী গঠন।

৪. ব্যক্তি গঠন।

মূল বইটির আলোচনার বিষয় ২টিঃ

১. অর্জনীয় গুনাবলী।

২. বর্জনীয় গুনাবলী।

ইসলামী আন্দোলনরে সফলতার র্শত ৫টিঃ

১. ব্যক্তিগত গুনাবলী।

২. দলীয় গুনাবলী।

৩. র্পূণতা দানকারী গুনাবলী।

৪. মৌলিক ও অসৎ গুনাবলী।

৫. মানবিক দূর্বলতা।

ব্যক্তিগত গুনাবলী ৪টিঃ

১. ইসলামের যর্থাথ জ্ঞান-

ক. প্রতিষ্ঠিত বিষয়ের জ্ঞান থাকতে হব।

খ. এজন্য সবাইকে মুফতি হতে হবে না।

গ. কিছু লোককে বুদ্ধিজীবি হতে হব।

ঘ. জাহেলিয়াত ও ইসলামের মধ্যে র্পাথক্য করার জ্ঞান থাকতে হবে।

ঙ. ইসলামের আলোকে সমস্যা সমাধানের জ্ঞান থাকতে হবে

চ. সমাজকে ইসলামের আলোকে ঢেলে সাজাবার জ্ঞান থাকতে হবে।

২. ইসলামের প্রতি অবিচল বিশ্বাস-

ক. দোদুল্যমান অবস্থায় কাজ করা যায় না।

খ. যাবতীয় ইসলামী বিষয়গুলোর উপর নিঃসংশয় হওয়া।

গ. সত্য মিথ্যার মানদন্ড ইসলাম, একথা বিশ্বাস করতে হবে।

৩. চরিত্র ও কর্ম-

ক. নিজেকে দাওয়াতের সাক্ষী বানাতে হয়।

গ. সত্যের পথে অবিচল থাকা।

ঘ.নিছক ইসলামের প্রতি ভালবাসা দিয়ে এ গুনের ঘাটতি পূরণ।

৪. দ্বীন হচ্ছে জীবনোদ্দেশ্য-

ক. দ্বীন কায়েম নিছক একটি কাজ নয় বরং এটিই হবে মুমিন জীবনের একমাত্র লক্ষ্য।

খ. দৃঢ় সংকল্প থাকতে হবে।

গ. এ গুণ ছাড়া কোন কাজে হাত দেয়া যায় না।

ঘ. সঙ্ঘব্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।

দলীয় গুনাবলী ৪টিঃ

১. ভ্রাতৃত্ব ও ভালবাসা-

ক. ত্যাগের মানসিকতা।

খ. পরস্পরের কল্যাণ কামনা করা।

গ. আন্তরিকতা।

ঘ. এ ধরণের সর্ম্পকে বা ভ্রাতৃত্বে শয়তান ফাটল ধরাতে পারে না।

২. পারস্পরিক পরামর্শ-

ক. কাজ করতে হবে পরামর্শের ভিত্তিতে।

খ. স্বেচ্ছাচারী বেশী দিন টিকে না।

গ. পরামর্শে কয়েকটি সুবিধা রয়েছে।

পরামর্শের সুবিধা-

ক. ঈমানের সাথে মত দেয়া।

খ. মনের মধ্যে কিছু লুকিয়ে না রাখ।

গ. জিদ বিদ্ধেষের আশ্রয় না নেয়া।

ঘ. সংখ্যাধিক্যের মতকে মেনে নেয়া।

ঙ. দলীয় সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অংশ গ্রহণ করা।

৩. সংগঠন ও শৃখংলা-

ক. সংগঠনের অভাবে উদ্দেশ্য পূরণ হয়না।

খ. সংগঠনের নির্দেশ মেনে চলা দরকার।

গ. অর্পিত দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করা।

ঘ. পরস্পরে সহযোগী হওয়া।

ঙ. মেশিনের মতো কাজ করা।

৪. সংস্কারের উদ্দেশ্যে সমালোচনা-

ক. যতই নিষ্ঠা থাকুক দূর্বলতা থাকবেই।

খ. নিরব দর্শক হলে দূর্বলতা বৃদ্ধি পায়।

গ. সমালোচনা দাবিয়ে রাখা ঠিক নয়।

ঘ. যথাযথ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।

পূর্ণতা দানকারী গুনাবলী ৫টিঃ

১. খোদার সাথে যথাযথ সম্পর্ক ও আন্তরিকতা-

ক. দ্বীন কায়েমের জন্য এটি অপরিহার্য।

খ. আল্লাহকে সবচেয়ে বেশী ভালবাসতে হবে।

গ. কোন কিছুর লোভ বা ভয় না করা।

ঘ. সৎ কাজরে প্ররেণা আসে আল্লাহর সাথে সর্ম্পক থেকে।

ঙ. আল্লাহর আদেশ নিষেধ মেনে চলা।

চ. অন্তরে জবাবদিহীর ভয় থাকা।

ছ. সকল দুনিয়াবী স্বার্থ ত্যাগ করা।

২. আখিরাতের চিন্থা-

ক. লক্ষ্য থাকবে কেবল আখেরাত।

খ. আখেরাতের সাফল্যই চুড়ান্ত সাফল্য, সকল কাজে এই চিন্তা থাকা।

গ. দুনিয়া প্রীতি দূর করা।

ঘ. আখেরাতের শাস্তি ও পুরস্কারের কথা চিন্ত করা।

৩. চরিত্র ও মাধুর্য-

ক. মানবতার সেবক হতে হবে।

খ. কোমল স্বভাবের অধিকারী হতে হবে।

গ. নিজের দোষত্রুটি খুজতে হবে।

ঘ. মাফ করার মানসিকতা থাকা।

ঙ. চরিত্র ও মাধুর্য দিয়ে সব কিছু জয় করা।

৪. ধৈর্য-

ক. সকল কাজে ধৈর্যশীল হওয়া।

খ. চেষ্টার ফল তাড়াতাড়ি পাওয়ার চেষ্টা না করা।

গ. বার বার ব্যর্থ হয়েও পরিশ্রম থেকে বিরত না হওয়া।

ঘ. নফসের খাবাবির বিপেক্ষ থেকে নিজেকে মুক্ত করা।

ঙ. নিজ কর্তব্য সম্পাদন করা।

৫. প্রজ্ঞা-

ক. অনুধাবন, বিশ্লেষণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ।

খ. সার্বিক পরিস্থিতির উপর সজাগ দৃষ্টি।

গ. কাজের সমস্যা প্রজ্ঞার উপর নির্ভরশীল।

ঘ. পরিস্থিতি নজর রাখা।

ঙ. অন্ধের মত কাজ না করা।

মৌলিক ও অসৎ গুনাবলী ৩টিঃ

১. গর্ব ও অহংকার।

২. প্রদর্শনেচ্ছা।

৩. ত্রুটিপূর্ণ নিয়াত।

গর্ব ও অহংকার থেকে বাঁচার উপায়ঃ

১. বন্দেগীর অনুভূতি।

২. আত্মবিচার।

৩. সৎব্যক্তিদের প্রতি দৃষ্টিপাত।

৪. দলগত প্রচেষ্টা।

প্রদর্শনেচ্ছা থেকে বাঁচার উপায়ঃ

১. ব্যক্তিগত প্রচেষ্টা।

২. সামষ্টিক প্রচেষ্টা।

মানবিক দূর্বলতা ১৩টিঃ

১. আত্মপূজা।

২. আত্মপ্রীতি।

৩. হিংসা ও বিদ্বেষ।

৪. কূ-ধারণা।

৫. গীবত।

৬. চোগলখোরী।

৭. কানাকানি ফিসফিসানী।

৮. মেজাজের ভাসাম্যহীনতা।

৯. একগুঁয়েমী।

১০. একদেশদর্শিতা।

১১. সামষ্ঠিক ভারসাম্যহীনতা।

১২. সংর্কীর্ণমনতা।

১৩. দূর্বল সংকল্প।