জামায়াতে ইসলামীর গঠনতন্ত্র
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম
ভূমিকা
যেহেতু মহান আল্লাহ তা’য়ালা ব্যতীত কোন ইলাহ নাই এবং নিখিল বিশ্বের সর্বত্র আল্লাহ তা’য়ালার প্রবর্তিত আইনসমূহ একমাত্র তাহারই বিচক্ষণতা ও শ্রেষ্ঠত্বের সাক্ষ্য দান করিতেছে;
যেহেতু আল্লাহ তা’য়ালা মানুষকে তাঁহার প্রতিনিধিত্বের জন্য পৃথিবীতে প্রেরণ করিয়াছেন এবং সত্যের অনুসরণ করাকেই মানুষের দায়িত্ব ও কর্তব্য নির্ধারণ করিয়া দিয়াছেন;
যেহেতু আল্লাহ তা’য়ালা সত্যের নির্দেশনাসহ যুগে যুগে নবী-রাসূলগণকে প্রেরণ করিয়াছেন;
যেহেতু বিশ্বনবী মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহ তা’য়ালার সর্বশেষ নবী ও রাসূল এবং আল্লাহ তা’য়ালার প্রেরিত আল-কুরআন ও বিশ্বনবীর সুন্নাহই হইতেছে বিশ্ব মানবতার অনুসরণীয় আদর্শ;
যেহেতু ইহকালই মানব জীবনের শেষ নয় বরং মৃত্যুর পরও রহিয়াছে মানুষের জন্য এক অনন্ত জীবন যেখানে মানুষকে তাহার পার্থিব জীবনের ভাল ও মন্দ কাজের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে হইবে এবং বিচারের পর জান্নাত অথবা জাহান্নাম রূপে ইহার যথাযথ ফলাফল ভোগ করিতে হইবে;
যেহেতু আল্লাহ তা’য়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করিয়া জাহান্নামের আযাব হইতে নাজাত এবং জান্নাতের অনন্ত সুখ ও অনাবিল শান্তি লাভের মধ্যেই মানব জীবনের প্রকৃত সাফল্য নিহিত;
যেহেতু বাংলাদেশের জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ সংগ্রামের মধ্য দিয়া বাংলাদেশ বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন সার্বভৌম জাতি-রাষ্ট্রের মর্যাদা লাভ করিয়াছে;
সেহেতু এই সকল মৌলিক বিশ্বাস ও চেতনার ভিত্তিতে শোষণমুক্ত ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ গঠনের মহান উদ্দেশ্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর এই গঠনতন্ত্র প্রণীত ও প্রবর্তিত হইল।