জীবন সম্পর্কে চারটি মতবাদ: দুনিয়ায় যতগুলো জীবন বিধান আছে তার প্রত্যেকটি এই চারটি অতি প্রাকৃত মতবাদের যে কোন একটিকে অবশ্যই গ্রহন করেছে। ***নির্ভেজাল জাহেলিয়াত: বৈশিষ্ট্য: = মাধ্যম বা পন্থা: বাহ্যেন্দিয়ের উপর ভিত্তি করে উত্তর খোজার প্রচেষ্টা। = বিশ্বজাহান সৃষ্টি: আকষ্কিকভাবে সৃষ্টি হয়েছে। স্বয়ংক্রিয় ও অপরিকল্পিতভাবে পরিচালিত এবং আপনা আপনি ধ্বংস হয়ে যাবে। = বিশ্ব প্রকৃতির কোন সত্ত্বাধিকারী নেই, থাকলেও মানুষের জীবনের সাথে সম্পর্কহীন। = দুনিয়া ব্যবহার নীতি: সমগ্র দুনিয়া বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রীর ভান্ডার। নিজের ইচ্ছেমতো মানুষ হস্তগত করবে ও ব্যবহার করবে। কোন জবাবদিহি করতে হবে না। আইনবিধান ও জবাবদিহিতা: ক) জীবন যাত্রা নির্বাহের জন্য আইনের কোন উৎস না থাকায় নিজের আইন নিজেরাই তৈরি করে। খ) কারও নিকট বিস্তারিত
প্রকাশকের কথা: বইটি ১৯৯৮ সালে প্রথম প্রকাশিত । ইসলামী সমাজ ব্যবসহা প্রতিষ্ঠা করার জন্য দরকার একটি আদর্শবাদী মজবুত সংগঠন আদর্শবাদী দল: প্রতিষ্ঠিত সমাজ ব্যবস্থা সমূলে উৎপাটিত করে তার স্থলে সম্পূর্ণ ভিন্ন করে এক সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে হলে একটি আদর্শ বেছে নিতে হয়। এর সাথে পৃথক চিন্তাধারা ও থাকে। এ চিন্তা ও আদর্শের সাথে যারা সকল দিক থেকে একমত পোষণ করে তারা একটি দল গঠন করে । একে বলা হয় একটি আদর্শবাদী দল। ü এ দল ইসলামী হতে পারে ,ইসলামী বিরোধী ও হতে পারে ü সমাজ বিপ্লবের জন্য আদর্শের ছাচে ব্যক্তি গঠন আবশ্যক। ü দলের নেতা কর্মীদের হতে হয় নির্ভীক, সাহসী ও ধৈর্যশীল। বিশেষ করে নেতাকে হতে হয় গতিশীল, দূরদর্শী,সমসাময়িক সকল সমস্যা বিস্তারিত
বইটি লিখার উদ্দেশ্যঃ ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের পারষ্পারিক সম্পর্কের গুরত্ব তুলে ধরা, মানুষের কি কি খারাপ গুনাবলীর কারনে সে সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায় এবং সেগুলো থেকে পরিত্রান পেতে হলে কি কি ভালো গুনাবলীর প্রয়োজন তা তুলে ধরেছেন। লেখক বইটিতে তিনটি বিষয় তুলে ধরেছেন ১) সামাজিক ও সামগ্রিক জীবন ধারা গড়ে তোলা এবং একে স্থিতিশীল রাখার জন্য ইসলাম ব্যক্তি-চরিত্রে কোন কোন মৌলিক বৈশিষ্ট্যর প্রকাশ দেখতে চায়। ২) কি কি বস্তু এ ভিত্তিগুলোকে ধ্বংস ও দূর্বল করে দেয় যাতে করে সেগুলো থেকে বেচে থাকা যায়। ৩) কি কি গুনাবলী এ ভিত্তিগুলোকে মজবুত এবং উন্নত করে যাতে করে সেগুলোকে গ্রহন করা যেতে পারে। পারষ্পারিক সম্পর্কের বিস্তারিত
বইটি মূলত বক্তৃতাঃ দায়িত্বশীলদের এক শিক্ষা শিবিরে মাওলানা নিজামী “আনুগত্য, পরামর্শ ও ইহতেসাব” বিষয়ে আলোচনা পেশ করেন। শিক্ষা শিবিরে অংশগ্রহণকারী অনেকেই আলোচনাটি বই আকারে প্রকাশের জন্য প্রস্তাব করেন। পরবর্তীতে বইটি তিনি রচনা করেন। ★ বইটিতে সাতটি অধ্যায় রয়েছে। যথাঃ- ১. ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠন, ২. ইসলামী আন্দোলনের শরয়ী মর্যাদা, ৩. ইসলামী আন্দোলনের সাফল্য, ৪. ইসলামী সংগঠন, ৫. আনুগত্য, ৬. পরামর্শ এবং ৭. সমালোচনা ও আত্ম-সমালোচনা। প্রথম অধ্যায়ঃ ইসলামী আন্দোলন ও সংগঠনঃ- আন্দোলনের অর্থ ও সংজ্ঞাঃ আন্দোলন, Movementএবং ﺣﺮﻛﺔ (হারাকাতুন) এখন একটা রাজনৈতিক পরিভাষা হিসেবেই প্রচলিত। যার সাধারণ অর্থ কোন দাবী -দাওয়া প্রতিষ্ঠার জন্যে এবং কোন কিছু রদ বা বাতিল করার বিস্তারিত
বই পরিচিতি: ভারত বিভাগের পূবাহ্নে পূর্ব পাঞ্জাবে যে সামপ্রদায়িক দাঙ্গা সংগঠিত হয় তার তিন মাস পূর্বে ১৯৪৭ সালের ১০ ই মে পাঠানকোটের দারুল ইসলামে অনুষ্ঠিত সাধারন সভায় মাওলানা সাইয়েদ আবুল আলা মওদূদী (র:) এর প্রদত্ত ভাষণ। এই বক্তৃতার প্রাদিপাদ্য হিসাবে তিনি স্রষ্টার এই সুন্দর পৃথিবীকে ধ্বংসাত্বক কাজের মাধ্যমে না ভাঙ্গিয়া, গঠনমূলক কাজের মাধ্যমে গড়িতে দেশবাসীকে উদ্ধুদ্ধ করেন এবং যাদের গঠনমূলক কাজের যোগ্যতা বেশি প্রাকৃতিক নিয়মের গতিধারায় তাদের হাতেই যে কর্তৃত্ব আসিবে, আল্লাহই সেই শ্বাশত বিধান স্মরন করাইয়া দেন। ভাঙ্গা ও গড়া বইয়ের বিষয়বস্তু: মানুষের ভাল মন্দের জন্য আল্লাহ যে নিয়ম-নীতি নির্ধারন করেছেন তা কারোর চেষ্টায় পরিবর্তিত ও বাতিল হতে পারে না। তার ভেতর কারো সঙ্গে শত্রুতা এবং কারো বিস্তারিত
সাক্ষ্য:নিজে যা জানে তা অন্যের কাছে বলা বা যথাযথভাবে প্রকাশ করার নামই সাক্ষ্য। সত্যের সাক্ষ্য: আল্লাহর পক্ষ থেকে যে সত্য এসেছে, উদ্ভাসিত হয়েছে, তার সত্যতা দুনিয়ার সামনে এমনভাবে প্রকাশ করা যাতে দ্বীনের যথার্থতা প্রমানিত হয়, এটাই সত্যের সাক্ষ্য। সত্যের সাক্ষ্য দানের গুরুত্ব: ১. সাক্ষ্যদানের ভিতিত্তেই হাশরের ময়দানে ফয়সালা হবে। ২. সাক্ষ্যদান সকল নবীর সুন্নাত। ৩. সত্যের সাক্ষী না হলে যালেমদের অন্তভূক্ত হবে। ৪. সাক্ষ্য না দিলে দুনিয়ার লাঞ্জনা, অপমান, অধ:পতন চেপে বসবে। ৫. সাক্ষ্য দান আল্লাহর পক্ষ থেকে দেয়া দায়িত্ব। সাক্ষ্যদানের প্রকারভেদ: ২ প্রকার ১. মৌখিক সাক্ষ্য: নবী (সা:) এর মাধ্যমে আমাদের কাছে যে সত্য এসে পৌছেছে তা বক্তৃতা ও লেখনীর মাধ্যমে মানুষের কাছে সহজবোধ্য করাকে মৌখিক সাক্ষ্য বিস্তারিত
ভূমিকা: ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার বুলি আমরা প্রতিনিয়ত শুনে থাকি। কিন্তু উহার স্বরুপ এবং প্রতিষ্ঠার পন্থা সম্পর্কে আমাদের সঠিক ধারনার অভাব। ইসলামী রাষ্ট্র সম্পর্কে সকল সন্দেহ বিদূরিত করতে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কল্পনাকে বাস্তবে রুপান্তরিত করতে হলে, ইসলামের স্বকীয় আদর্শে ব্যক্তির আত্নগঠন ও সমাজ সত্তার রুপায়ন করতে হবে। ইসলামী হুকুমাত- “কিসতারাহ কায়েমজাতি হ্যায়”। এর বাংলা সংস্করন হল- ইসলামী বিপ্লবের পথ। ১৯৪০ সালের ১২ই সেপ্টেম্বর আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেচি হলে ইতিহাস ও সংস্কৃতি সংসদের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত সভায় মাওলানা মওদূদীর প্রদত্ত বক্তৃতারই প্রকাশিত রুপ এই বই। মূল বইকে ৬ টি ভাগে ভাগ করা যায়: ১. রাষ্ট্র ব্যবস্থার স্বাভাবিক বিবর্তন। ২. আদর্শিক রাষ্ট্র। ৩. আল্লাহর সার্বভৌমত্ব এবং মানুষের প্রতিনিধিত্ব ভিত্তিক রাষ্ট্র । ৪. ইসলামী বিপ্লবের পদ্বতি। ৫. অবাস্তব ধারণা-কল্পনা। ৬. ইসলামী বিস্তারিত
বই পরিচিতি: ১৯৫১ সালের ১৩ই নভেম্বর করাচিতে জামায়াতের বার্ষিক সম্মেলনের প্রদত্ত বক্তব্য। আল্লাহ তায়ালার সাথে সম্পর্ক: ১. আকীদা-বিশ্বাসের ব্যাপারে আল্লাহর প্রতি ঈমান। ২. ইবাদাতের বেলায় আল্লাহর সাথে নিবিড়তর সম্পর্ক স্থাপন। ৩. নৈতিক চরিত্রে আল্লাহর প্রতি ভয় পোষণ এবং আচার-ব্যবহার ও লেনদেনের বেলায় আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি লাভ করাকেই প্রাধান্য দেয়া দরকার। আল্লাহ তায়ালার সাথে সম্পর্ক স্থাপনের অর্থ: ১. নিজ জীবনের সকল কিছু একমাত্র আল্লাহর জন্য। ২. সকল কাজে একমাত্র আল্লাহকে ভয় করা। ৩. বন্ধুত্ব, শত্রুতা, লেনদেন শুধু তার সন্তুষ্টির জন্য। ৪. সকল অবস্থায় শুধু তার উপর ভরসা করা। ৫. নিজের চলার পথকে শুধু আল্লাহর নির্দেশিত সীমায় রাখা। আল্লাহ তায়ালার সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির উপায়: ২টি ১. বিস্তারিত
ইসলামী আন্দোলনঃ মানব জীবনের সকল দিক ও বিভাগ হতে গায়রুল্লাহর প্রভুত্ব উৎখাত করেআল্লাহরকর্তৃত্ব ও রাসূল (সা:) ত্রর নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য যে সর্বাত্বকচেষ্টাও প্রচেষ্টা তাকে ইসলামী আন্দোলন বলে। নৈতিকতাঃ নীতি মানার যেটি অনুভূতি সেটি নৈতিকতা। মানবীয় চরিত্রের যে গুন যা তাকে সঠিক পথে চলতে উৎসাহিত করে। ভিত্তিঃ যার উপর ভিত্তি করে কোন কিছু সংস্থাপিত হয়। মানব সমাজে অশান্তির মূল কারণ:- ১. বর্তমান সমাজের নেতৃত্ব সৎ নয় ২.এ মূল সমস্যা জনগন উপলদ্ধি করতে পরেনা ৩. অনৈক্য ও ভাঙ্গন ৪. সত্য ও সত্যপ্রিয় মানুষ অনেক, কিন্তু আসল সত্য প্রিয় মানুষের সংখ্যা কম ৫. সত্যপ্রিয় লোক থাকলেও ক্ষমতায় নেই। নেতৃত্বর গুরুত্বঃ ১. নেতা হচ্ছে বিস্তারিত
ভূমিকাঃ ইসলামী সমাজ প্রতষ্ঠিার আন্দোলনে অবর্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমইে আখরোতে আল্লাহর সন্তুষ্টি র্অজন নির্ভরশীল। আর যারা সত্যইি একটি আর্দশ ইসলামী সমাজ কায়মে করতে চায় তাদরেকে র্সবপ্রথম নিম্নোক্ত দিক গুলো সর্ম্পকে সচতেন হতে হবেঃ ১. হতাশার দিক। ২. আশার দিক। ৩. করণীয় দিক। হতাশার দিকঃ ১. আমাদের জাতির মধ্যে ইসলামী সমাজ প্রতষ্ঠিার আগ্রহ ও উদ্যোগ গ্রহণের অভাব এবং তার চাইতেও বেশী অভাব যোগ্যতার। ২. আমাদের সমাজের প্রভাবশালী অংশ অধিকাংশ ক্ষেত্রে সমাজে বিকৃতি ও ভাঙ্গন সৃষ্টিতে মুখর। ৩. নির্বাচনে জনগনকে প্ররোচিত করা (নির্ভূল নির্বাচনে যোগ্য র্প্রাথী না হওয়ার জন্য জনগনকে প্ররোচিত করে)। আশার দিকঃ ১. সমাজে কিছু সৎলোক আছে, যাদের আগ্রহ ও যোগ্যতা বিস্তারিত