জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বনবী (সাঃ) এর আদর্শ অনুসরণ করতে হবে
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন মহানবী (সাঃ) কে বিশ্ব জাহানের জন্য রহমত স্বরূপ পাঠিয়েছেন। আমরা তাঁর উম্মত হিসেবে সৌভাগ্যবান ও গর্বিত। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তি লাভ করতে হলে আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর পথই আমাদের অনুসরণ করতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম গত ১৪ নভেম্বর বগুড়া শহর শাখা জামায়াত কর্তৃক ভার্সুয়ালি আয়োজিত সিরাতুন্নবী (সাঃ) অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। শহর শাখার আমীর অধ্যক্ষ আবিদুর রহমান সোহেলের সভাপতিত্বে ও শহর সেক্রেটারি অধ্যাপক আ.স.ম আব্দুল মালেকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মাহফিলে আরো আলোচনা পেশ করেন বগুড়া শহর শাখার নায়েবে আমীর মাওলানা আলমগীর হোসাইন ও মাওলানা আবু জিহাদ। উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আব্দুল হাকিম সরকার, অধ্যাপক রফিকুল আলম ও অধ্যাপক নাসির উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল মতিন, শহর কর্মপরিষদ সদস্য সেলিম রেজা, শ্রমিক নেতা আজগর আলীসহ বিভিন্ন থানা আমীর ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) কে আদর্শ নেতা হিসেবে অনুসরণ করতে হবে। রাসূল (সা.) এর আদর্শের আলোকে আমাদেরকে পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। মূলত হযরত মুহাম্মাদ (সা.) হলেন, ‘বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক।’ আমাদের সন্তানদেরকে শৈশব থেকেই কুরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে এবং রাসূলের আদর্শে গড়ে তুলতে হবে। তাহলেই আমরা একটি প্রশান্তিময় ও চক্ষু শীতলকারী পরিবার ও সমাজ গঠন করতে সক্ষম হব, ইনশাআল্লাহ।
মাওলানা আবদুল হালিম আরো বলেন, রাসূল (সা.) ইসলামকে পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা ও বিজয়ী আদর্শ রূপে প্রতিষ্ঠিত করে একটি সুন্দর সমাজ গঠন করেছিলেন। পবিত্র কুরআন ও রাসূলের সেই আদর্শের আলোকে দাঈ ইলাল্লাহ হিসেবে অনুরূপ একটি সুন্দর, সুখী ও আদর্শ কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় আমাদেরকে এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই সমাজ থেকে খুন-ধর্ষণ, অবিচার ও দুর্নীতির অবসান ঘটানো সম্ভব।