এইচএসসি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে দেওয়া সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জামায়াত আমীরের
এইচএসসি পরিক্ষার বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্নে ধর্মীয় স্পর্শকাতর বিষয় উঠে এসেছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথম পত্রের একটি প্রশ্ন নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার পর সেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও পরিশোধনকারীদের চিহ্নিত করা হয়েছে।
গত দুইদিন ধরে এ ব্যাপারে সমাজের সকল মহল থেকে তুমুল সমালোচনা চলছে। এ ধরনের জঘন্য অপরাধ করলে সমালোচনা তো হবেই।
আজ গণমাধ্যমে দেখা গেলো, এ প্রশ্ন তৈরি এবং পরিশোধনের সাথে জড়িতদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায় একজন প্রশ্ন তৈরি করে দিলো এবং এ প্রশ্ন যাচাই-বাছাইও করা হলো। এরপরেও কিভাবে এমন সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক প্রশ্নপত্র সরবরাহ করে পরিক্ষা নেওয়া হলো? দায়িত্বশীল কারো চোখেই কি এ বিষয়টা ধরা পড়েনি নাকি চোখে পড়েও না দেখার ভান করে সুপরিকল্পিতভাবে এমন কাজটা সম্পাদন করা হলো? মাঝে মধ্যেই এমন সাম্প্রদায়িক উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ড আমরা দেখতে পাই।
বাংলাদেশে সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ সম্প্রীতি রক্ষা করে যুগের পর যুগ বসবাস করে আসছে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট মহল মাঝে মধ্যেই ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক বিভিন্ন আচরণ করে ঘোলা পরিবেশ সৃষ্টি করেন। তারাও তো এদেশরই নাগরিক। শান্তিশৃঙ্খলা তো সকল নাগরিকেরই কাম্য। তাহলে কেন তারা এ সমস্ত আচরণ করেন? আর এ সমস্ত আচরণের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় বেশিরভাগ সময়েই নিরীহ নাগরিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন। এটি প্রমাণিত সত্য। তারপরেও কেন তারা এগুলো করে? তারা কি বিশেষ কোন অপশক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে এ কাজ করে? যদি এমনটিও হয়ে থাকে তাও একেবারে নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য।
সংশ্লিষ্ট সবাইকে দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে। এবারকার বিষয়টা হাতেনাতে প্রমাণিত। অতএব তার উৎস, কারণ ও রহস্য যথাযথ উদঘাটন হওয়া উচিত। অতীতের মতো ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হলে, এক সময় তা বিষফোঁড়া হয়ে গোটা সমাজকে মারাত্মকভাবে ভুগাবে। যা কোন অবস্থাতেই কাম্য হতে পারেনা।