২০২৩-২০২৫ কার্যকালের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার ১ম অধিবেশন অনুষ্ঠিত
২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশন আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ২০২৩-২০২৫ কার্যকালের জন্য নায়েবে আমীর, সেক্রেটারি জেনারেল, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ ও কর্মপরিষদ গঠিত হয়।
২০২৩-২০২৫ কার্যকালের জন্য নায়েবে আমীর নির্বাচিত হন যথাক্রমে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের ও মাওলানা আনম শামসুল ইসলাম। সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে নির্বাচিত হন যথাক্রমে মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, জনাব হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, এড. মোয়ায্যম হোসাইন হেলাল, মাওলানা মোঃ শাহজাহান ও এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জোবায়ের। ২০২৩-২০২৫ কার্যকালের জন্য কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া সেক্রেটারির দায়িত্ব দেয়া হয় এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দকে।
আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার অধিবেশনে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য পেশ করেন।
তিনি দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট, অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনা, দ্রব্যমূল্যের অব্যাহত ঊর্ধ্বগতি, শিক্ষাঙ্গণে অরাজকতা, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকটের কারণে জনগণের অসহনীয় অবস্থা তুলে ধরে বলেন,
“জাতিকে এই ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে উদ্ধারের জন্য কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
আমীরে জামায়াত বলেন, বাংলাদেশ একটি মুসলিম দেশ। সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ দেশের মুসলিম জনসংখ্যা শতকরা ৯২ ভাগ। জাতীয় জীবনের সর্বক্ষেত্রে ইসলামের প্রভাব থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আজ ইসলাম বিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গোটা জাতিকে গ্রাস করা হয়েছে।
নবী ও রাসূলগণ আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার জন্য আল্লাহ প্রদত্ত পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করেছেন। জামায়াতে ইসলামীও সেই পদ্ধতি অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে জামায়াতে ইসলামী আল্লাহর দ্বীনকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে জনগণের মাঝে ইসলামের দাওয়াতি তৎপরতা অব্যাহত রাখায় এ সংগঠন আজ এক বিশাল সংগঠনে পরিণত হয়েছে। তিনি বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের উদ্দেশে বলেন, আপনারা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে নিজেদের দায়িত্ব পালনের জন্য ওয়াদা করেছেন। ইতোপূর্বে যারা এ দায়িত্ব পালন করেছেন তারা অত্যন্ত আন্তরিকতা, নিষ্ঠা ও যোগ্যতার সাথে তাদের দায়িত্ব আঞ্জাম দেয়ার কারণে জনগণের নিকট এ সংগঠনকে একটি আস্থাভাজন সংগঠনে পরিণত করতে সক্ষম হন। আজকে যারা দায়িত্ব প্রাপ্ত হলেন, তাদেরকে আল্লাহর ভয় অন্তরে রেখে দায়িত্ব পালন করতে হবে। দায়িত্ব পালনে নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার পরিচয় দিতে পারলে আল্লাহ তাআলা তার রহমতের চাদর দিয়ে আমাদেরকে আবৃত করে নিবেন। মহান আল্লাহ আমাদেরকে ঈমানের নিয়ামত দিয়ে ধন্য করেছেন। বাংলাদেশের ২০ কোটি মানুষের দায়িত্ব নিয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। এ জন্য দ্বীনকে জীবনের উদ্দেশ্য বানিয়ে নিতে হবে।
আমীরে জামায়াত আরো বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের হক আদায়ের পর ব্যক্তির নিজের, তার পরিবার ও সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করতে হবে। বাংলাদেশে অপসংস্কৃতি, মাদক ও অনৈতিকতা যুবক-যুবতীদের ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমাদের বর্তমান শিক্ষা ভবিষ্যত প্রজন্মকে উদ্দেশ্যহীন ঠিকানার দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাদেরকে অপসংস্কৃতির সয়লাব ও অনৈতিকতার পরিবেশ থেকে মুক্ত করার জন্য আমাদেরকে ভূমিকা পালন করতে হবে। সাথে সাথে আমাদের নিজেদের পরিবার গঠনে সচেতন ভূমিকা রাখতে হবে।