সাধ্যের সবটুকু সামর্থ্য নিয়ে জামায়াত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে রয়েছে- মোবারক হোসাইন
![](https://bjingm.org/wp-content/uploads/2022/06/মোবারক-হোসেন-768x473.jpg)
জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব মোবারক হোসাইন বলেছেন, “স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠার সাধ্য অনেকের নেই। সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যাদুর্গত এলাকার মানুষের দুঃখ-দুর্দশায় আমরা ব্যথিত। বন্যার শুরু থেকে জামায়াত সাধ্যের সবটুকু সামর্থ্য উজার করে দিয়ে বন্যার্তদের পাশে রয়েছে। বন্যা পরবর্তী সঙ্কট মোকাবেলায় জামায়াতে ইসলামী ইতোমধ্যেই ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থাকার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বিপদ-মুসিবত সবই আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। তাই মহান রবের দরবারে বেশি বেশি করে মোনাজাত করতে হবে। জামায়াতে ইসলামীর পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন বন্যার্তদের পাশে রয়েছে। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। তাই সামর্থ্য অনুযায়ী নিজ নিজ অবস্থান থেকে সবাইকে বন্যার্তদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি ২২ জুন বুধবার সুনামগঞ্জে বন্যাদুর্গত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথা বলেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের।
এসময় উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা তোফায়েল আহমাদ খান, সেক্রেটারি মোমতাজুল হাসান আবেদ, নায়েবে আমীর এডভোকেট শামছুদ্দিন, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সুনামগঞ্জ জেলার সভাপতি আমিরুল ইসলাম ও সেক্রেটারি তাহমিদ আহমেদ প্রমুখ।
এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা জামায়াত নেতৃবৃন্দের সাথে জামায়াতের কেন্দ্রীয় ত্রাণ কমিটির এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় জামায়াতের পক্ষ থেকে ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনার জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে সুনামগঞ্জের অবহেলিত দুর্গম এলাকায় ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা। সভায় জেলা নেতৃবৃন্দ ছাড়াও বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণের জন্য জামায়াতের ত্রাণ তহবিল থেকে সাড়ে ৪ হাজার ফুড প্যাকেট, পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, বিশুদ্ধ পানি, মোমবাতিসহ প্রয়োজনীয় নিত্যপণ্য দ্রব্য বোঝাই ৪টি কার্গো নৌকা নিয়ে জামায়াতের ১৮ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল ইতোমধ্যেই সুনামগঞ্জে পৌঁছেছেন এবং তাঁরা ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেছেন।