সরকাররে মন্ত্রী, এমপি ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের রাজনতিক বিরোধীদের প্রতি অশালীন,কুরূচিপূর্ণ ও শিষ্টাচার বর্হিভূত বক্তব্য ও কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জামায়াত আমীরের
রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা এবং বিরোধ থাকতেই পারে। তাই বলে শিষ্টাচার, সভ্য আচরণ ও সামাজিক মূলবোধের শেষ চিহ্নটুকুও মিটিয়ে দিতে হবে?
গত কয়েকদিন ধরে সরকারের দায়িত্বে থাকা এক ব্যক্তির অসংলগ্ন শিষ্টাচার বহির্ভূত বেশ কিছু আচরণ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। ভেবেছিলাম কুরুচিপূর্ণ এই আচরণের ব্যাপারে কিছুই বলবো না। এই ব্যক্তি রাষ্ট্রের সংবিধান রক্ষার শপথ নিয়ে সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত রাষ্ট্র ধর্ম বিষয়ে বেপরোয়া ও উস্কানিমূলক মনোভাব প্রদর্শন করেছেন।
শুধু বাংলাদেশে নয় পৃথিবীর কোটি-কোটি মানুষের কাছে হৃদয়ের অংশ ও নন্দিত মোফাসসিরে কুরআন হিসেবে পরিচিত, বার বার নির্বাচিত সাবেক সংসদ সদস্য, আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য রেখেছেন। অথচ তিনি চরম রাষ্ট্রীয় জুলুমের শিকার।
সর্বশেষ এই উন্মাদনায় যোগ হয়েছে মরহুম প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান, তাঁর সহধর্মীনী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁদের নাতনী ব্যারিষ্টার জাইমা রহমানের ব্যাপারে সীমাহীন উদ্যত্তপূর্ণ, অশালীন ও অমার্জনীয় কুৎসিত বক্তব্য। কিন্তু এ পর্যন্ত সরকার তার বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
রাজনীতিতে প্রতিযোগিতা এবং বিরোধ থাকতেই পারে। তাই বলে শিষ্টাচার, সভ্য আচরণ ও সামাজিক মূলবোধের শেষ চিহ্নটুকুও মিটিয়ে দিতে হবে? মনে পড়ে গেল ‘৭৩ সালের সেই সামাজিক ছবিটির কথা- “আবার তোরা মানুষ হ”।