15 49.0138 8.38624 arrow 0 both 0 4000 1 0 horizontal https://bjingm.org 300 4000 - 0

রাজধানীর শ্যামপুরে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সেলাই মেশিন বিতরণ

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল রাজধানীর শ্যামপুর এলাকায় সেলাই মেশিন বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। চলমান কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্থদের পুনর্বাসনের লক্ষ্যে এবং অস্বচ্ছল দুস্থ পরিবারে আর্থিক সচ্ছলতা ফেরাতে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের শ্যামপুর থানার উদ্যোগে সেলাই মেশিন বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য ও শ্যামপুর থানা আমীর ইঞ্জি. জসিম উদ্দিন, শ্যামপুর থানা সেক্রেটারি আব্দুর রব ফারুকী প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মোকাবেলায় দলমত নির্বিশেষে সবার এগিয়ে আসা উচিৎ। এজাতীয় সংকটকালীন সময়ে অসহায় অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়ানো এখন সময়ের দাবি। সমাজের বিত্তবানদেরকে অসহায় মানুষের কল্যাণে এগিয়ে আসতে হবে। যাকাতভিত্তিক ও ইসলামী অর্থ ব্যবস্থা ছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও দারিদ্র্য বিমোচন সম্ভব নয়। ইসলামের মূল স্তম্ভের অন্যতম হলো যাকাত। যাকাত গরীবের প্রতি ধনীর করুণা নয় বরং হক। সমাজের যাকাত দাতাগণ ঠিকমত যাকাত প্রদান করলে দারিদ্র্য দূর করা সম্ভব। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে ও প্রত্যেক পরিবারকে আর্থিকভাবে সাবলম্বী দেখতে নারী ও পুরুষ উভয়েরই কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রচেষ্টা চলিয়ে যাচ্ছে।
নুরুল ইসলাম বুলবুল আরও বলেন, ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক ইসলামী সমাজ ব্যবস্থা ছাড়া মানুষ তার ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেনা। পরকালিন জবাবদিহীতা ও ভ্রাতৃত্ববোধের কারণেই জামায়াত মানুষের কল্যাণে নিজেদেরকে সদা উৎসর্গ করে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত সমাজ গঠনের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ দেশ ও জাতি উপহার দেয়া সম্ভব। এক্ষেত্রে জামায়াতে ইসলামী অতন্দ্র প্রহরীর ভূমিকা পালন করছে। জামায়াতে ইসলামীর দেশব্যাপী বহুসংখ্যক অসহায় ও দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী করতে গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে। আমরা সেলাই মেশিন বিতরণ ছাড়াও সমাজের অসহায় দুঃস্থদের মাঝে বিভিন্ন সমস্যা দূরীকরণে আর্থিক সহযোগিতা করে যাচ্ছি। একই সাথে সমাজের বিত্তবানদের উচিত সার্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে দারিদ্র্য্যমুক্ত জাতি গঠনে আত্মনিয়োগ করা। তিনি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে উদাত্ত আহবান জানান।