রাঙামাটি পার্বত্য জেলা জামায়াতের সদস্য শিক্ষাশিবির অনুষ্ঠিত
![](https://bjingm.org/wp-content/uploads/2024/05/rsz_ts-c-768x472.jpg)
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “কাঙ্ক্ষিত মান অর্জনে রুকনদের অধ্যয়ন, ইবাদত ও ত্যাগ কুরবানী আরো বৃদ্ধি করতে হবে। ইসলামী বিপ্লব জানমালের কুরবানি ছাড়া কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সমাজের কোনো রসম-রেওয়াজ এখানে বাধা হতে পারবে না। ইসলামের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমাদেরকে ভূমিকা পালন করতে হবে। আমাদেরকে সর্বোচ্চ কুরবানির নজরানা পেশ করে শহীদের রক্তে রঞ্জিত এ ভূমিতে দ্বীন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।”
তিনি আজ ২৪ মে জুমা’বার বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রাঙামাটি পার্বত্য জেলা আয়োজিত সদস্য/রুকন শিক্ষাশিবিরে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। রাঙামাটি জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল আলিমের সভাপতিত্বে ও জেলা সেক্রেটারি মাওলানা জাহাংগীর আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা পেশ করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক আহসান উল্লাহ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন। দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা আমীর মাওলানা আব্দুস সালাম আজাদ।
মাওলানা মুহাম্মদ শাহজাহান বলেন, “ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ত্যাগ কোরবানির নজরানা পেশ করার মাধ্যমে পরকালের জন্য তৈরি হতে হবে। আমরা সৌভাগ্যবান, আমরা সর্বশ্রেষ্ঠ নবীর উম্মাত হতে পেরেছি। সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব আল কুরআন আমাদের গাইডলাইন। সেকুলাররা বলে তাদের কোন অতীত নেই এবং ভবিষ্যতে নেই। কিন্তু আমারা যারা ইসলামী আন্দোলন করি আমাদের অতীত ইতিহাস অত্যন্ত গৌরবোজ্জ্বল এবং আমাদের ভবিষ্যৎ জান্নাত। অন্ধকার গলিপথে সাঁতার কাটা জাতি আমরা নই।”
তিনি বলেন, “আমরা শপথের কর্মী হিসেবে আল্লাহর গোলামী করার জন্য আত্ম-নিবেদিত। এজন্য কুরআনের বিধানের আলোকে নিজেকে তৈরি করে দেশ, সমাজ ও জাতি গঠনে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। যারা সবসময় আমাদের বিরোধিতা করছেন, আমরা তাদেরকে আমাদের বন্ধু, ভাই-বোনের মতো মনে করবো। তাদের হেদায়াতের জন্য আমরা মহান রবের নিকট দোয়া অব্যাহত রাখবো। নিজেদের পরিশুদ্ধ করার জন্য ইবাদাত বন্দেগীতে আরো মনোযোগী হয়ে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি পাওয়ার চেষ্টা চালাবো।”