যুব সমাজের নৈতিক চরিত্র সমুন্নত রাখার জন্য ইসলামের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে
২০ আগস্ট শুক্রবার যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা শাখা জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে সংগঠনের সাবেক দায়িত্বশীলদের নিয়ে ভার্চুয়ালি এক শিক্ষা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।
এ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পাশ্চাত্যের কতিপয় দেশ অর্থনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে অস্থিতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করে রেখেছে। তারা সারা বিশ্বে অশ্লীল পত্র-পত্রিকা, ম্যাগাজিন, চলচ্চিত্র, মোবাইল, কম্পিউটার, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদির মাধ্যমে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে যুব সমাজের নৈতিক চরিত্র ধ্বংস করছে। কারণ তারা জানে, যুব সমাজ নিষ্ঠাবান, সৎ-চরিত্রবান ও সঠিক জ্ঞানের অধিকারী হলে, যুব সমাজ তাদের স্বার্থ হাসিলে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়াবে। এতকিছু সত্ত্বেও বর্তমান যুব সমাজ তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে। তাই আমরা দেখতে পাচ্ছি, সুপার পাওয়ার হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একচ্ছত্র আধিপত্যবাদের অবসান হতে চলেছে।
এ্যাডভোকেট আকন্দ আরো বলেন, যুবকরাই আগামী দিনের ভবিষ্যত। উন্নত ও নৈতিক চরিত্র দ্বারা তারা বিশ্বকে একটি সুন্দর পৃথিবী উপহার দিতে পারে। তাই তাদেরকে সুন্দর পৃথিবী গড়ার কাজে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যুব সমাজের নৈতিক চরিত্র সমুন্নত রাখার জন্য ইসলামের নৈতিক ও ধর্মীয় শিক্ষা দিতে হবে। যুব সমাজের মাঝে কুরআনের দাওয়াতি তৎপরতা জোরদার করতে হবে। ইসলামের সুস্থ ও নির্মল সংস্কৃতির মাধ্যমে তাদেরকে নৈতিক বলে বলিয়ান করতে হবে। ফলে তারা পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সাহস পাবে এবং তারাই যে একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ার কারিগর তা উপলব্ধি করতে পারবে। তাই আমরা যদি যুবকদের মাঝে ব্যাপকভাবে কুরআনের আলো ছড়িয়ে দিতে পারি, তাহলে আমরা বিশ্বকে একটি সুন্দর, শান্তিময় ও স্থিতিশীল পৃথিবী উপহার দিতে পারবো ইনশআল্লাহ।
শিক্ষা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন যশোর পূর্ব সাংগঠনিক জেলা শাখা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মাষ্টার মোঃ নূরুন্নবী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর সিদ্দিকী। বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন অঞ্চল পরিচালক জনাব মোবারক হোসাইন এবং দারসুল কুরআন পেশ করেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও খুলনা অঞ্চল পরিচালক মাওলানা আবদুল খালেক।