15 49.0138 8.38624 arrow 0 both 0 4000 1 0 horizontal https://bjingm.org 300 4000 - 0

মুসলমানদের সংস্কৃতিতে ঈদ একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিবস-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

“ঈদের ইতিহাস জানা আমাদের অত্যন্ত জন্য গুরুত্বপূর্ণ। মূলত জাহিলিয়াতের অপবিত্রতা থেকে রক্ষার জন্যই উপহার হিসেবে আমাদের মাঝে পবিত্র দিবস হিসেবে ঈদের প্রচলন করা হয়েছে। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পরে পবিত্র ঈদুল ফিতর মুসলমানদের মাঝে বয়ে আনে আনন্দের বার্তা, পরম শান্তি ও সুখের পরশ। মুসলমানগণ এই দিন আল্লাহর বড়ত্ব ও মহত্ত্ব ঘোষণা করতে করতে ঈদগাহে জমায়েত হয়। এ যেন এক ঐতিহাসিক মিলন মেলা। ছোট বড়, ধনী-গরীব নির্বিশেষে সকলেই একে অপরের সাথে মিলিত হন।”

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-নারায়ণগঞ্জ মহানগরী কর্তৃক আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান কালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী – নারায়ণগঞ্জ মহানগরী শাখার আমীর মাওলানা মোহাম্মাদ আবদুল জব্বারের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও মহানগরীর সেক্রেটারী মাওলানা আবু রাকিবের সঞ্চালনায় উক্ত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য পেশ করেন নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সাবেক আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদের অন্যতম সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে আরও বলেন “আমাদের দেশে জাহিলি রাজনীতি ও সংস্কৃতিক অগ্রাসনে সবকিছু হারিয়ে যাচ্ছে। জুলুম নির্যাতনের কবলে পড়েছে সারা বাংলাদেশ ।
সারা বাংলাদেশ যেন একটি কারাগারে পরিণত হয়েছে। আজ সবাই যখন আনন্দে উদ্বেলিত তখন আমাদের আমীরে জামায়াত মাজলুম জননেতা ডা: শফিকুর রহমান, সেক্রেটারী জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পারওয়ার সহ অসংখ্য দায়িত্বশীল, কর্মী ও সাধারণজনগণকে অন্যায় ভাবে জেলখানায় আবদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

আজ বিচার বিভাগ যেন মুখ থুবড়ে পড়েছে। সেক্রেটারি জেনারেল বারবার জামিনে মুক্তি পেলেও কারাগারের গেট থেকে তাকে নতুন মামলা দেখিয়ে নির্যাতন করা হচ্ছে ।

বিশ্ব বরণ্য আলেমে দ্বীন আল্লামা দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সহ অসংখ্য আলেম ওলামাগণ আজ জেলখানায় মানবতার জীবন জীবন করছেন। সাথে সাথে তাদের পরিবারে আনন্দের পরিবর্তে তাদের ঘরে বইছে দু:খের সাগর। তাই আমরা আজকে এই ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান থেকে বলতে চাই আগামী কোরবানির ঈদের পূর্বেই আমাদের সকল নেতৃবৃন্দ ও আলেম-ওলামাদেরকে মুক্তির ব্যবস্থা করতে হবে। আর তা না হলে জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে তাঁদের মুক্ত করেই আগামী ঈদুল আযহা আমরা উদযাপন করবো ইনশাআল্লাহ।”

তিনি মাহে রমজানের এই সিয়াম সাধনাকে কাজে লাগিয়ে বাকি এগারোটা মাস আল্লাহর এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের লক্ষ্যে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার জন্য উপস্থিত সকলকে আহ্বান জানান।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মইনুদ্দীন আহমদ বলেন “ঈদ শুধু নতুন জামা কাপড় পরিধান করা আর সেমাই ফিন্নি খাওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়।ঈদ হচ্ছে ত্যাগ – কোরবানির এক বিরাট শিক্ষা। মাহে রমজান এসেছিল তাকওয়া অর্জন করার জন্য আর এই ঈদ হচ্ছে সেইই তাকওয়ার পরিপূর্ণ বহিঃপ্রকাশের এক অনন্য মাধ্যম। আসুন আমরা সকলেই তাকওয়ার গুণগুলো কাজে লাগিয়ে জাহেলিয়াত মুক্ত একটি আদর্শ সমাজ গঠনে নিজেরা কার্যকরভাবে অংশ নেই ।”

অনুষ্ঠানে সভাপতি মাওলানা মোহাম্মদ আবদুল জব্বার বলেন, “আজ আমরা যখন ঈদ উদযাপন করছি তখন সারা বাংলাদেশের অনেক কর্মী ও দায়িত্বশীলদের পরিবারের মাঝে আনন্দের পরিবর্তে দুঃখ বেদনা বিরাজ করছে।” তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, “আসুন ঈদ পরবর্তী যে সকল আন্দোলন কর্মসূচী আসছে যেগুলোতে আমরা সক্রিয় ভূমিকা পালন করার মাধ্যমে এই দেশ থেকে অন্যায় অবিচার দূরীভূত করে একটি সুখী সমৃদ্ধ দেশ উপহার দেওয়ার জন্য সর্বাত্নক চেষ্টা করি ।”