15 49.0138 8.38624 arrow 0 both 0 4000 1 0 horizontal https://bjingm.org 300 4000 - 0

মদ মুসলমানদের জন্য হারাম : এমএম আহমাদ

এম এম আহমেদ বলেছেন, রাসূলের দেখানো পদ্ধতিতে যারা আল্লাহ তা’আলার সব হুকুম আহকাম প্রতিপালন করেন, হালাল-হারাম বেছে চলেন, তারাই প্রকৃত মুসলিম ও মুমিন। ইসলাম, মুসলমানদের জন্য মদকে হারাম ঘোষণা করেছে। যেটা ইসলাম হারাম করেছে সেটা খাওয়া যেমন হারাম, তার উৎপাদন, বিপণন, বিতরণ, বাজারজাতকরণ সবকিছু হারাম।

গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

এমএম আহমাদ বলেন, সকল দেশের সকল মুসলমানদের জন্যই হারাম। যেমন বাংলাদেশের মুসলমানদের জন্য তেমনি ভারতের মুসলমানদের জন্যও মদ হারাম। অশিক্ষিত দের জন্য যেমন হারাম তেমনি শিক্ষিতদের জন্য হারাম। ধনীদের জন্য যেমন হারাম গরিবদের জন্য মদ হারাম। দোকানে খাওয়া যেমন হারাম ক্লাবে বা বাড়িতে বসে চুপি চুপি খাওয়া হারাম। যা হারাম তা সবসময়ের জন্য হারাম। সব জায়গাতে হারাম।

তিনি আরো বলেন, রাসূলুল্লাহ (স:) এর মক্কা থেকে মদিনায় হিজরত করার পূর্বে লোকেরা ব্যাপকভাবে মদ পান করত। হিজরতের পরও মুসলমানদের মধ্যে মদ এবং জুয়া সম্পর্কে প্রশ্ন করা বৃদ্ধি পেলো। কেননা তারা এই দুটি জিনিস সম্পর্কে ব্যাপক কুফল প্রত্যক্ষ করল।

তখন সূরা আল বাকারা ২১৯ নং আয়াত নাযিল করেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন, তারা তোমাকে মদ এবং জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করবে, তুমি বলে দাও এই দুটি জিনিসে বিরাট পাপ রয়েছে। কিছু উপকারিতাও আছে। তবে উপকারিতার চাইতে পাপ অনেক বেশি।

মদ ও জুয়ার গুনা অনেক বড়। এতে বিপুল ভাবে ধর্মীয় ও বস্তুগত ক্ষতি সাধিত হয়। বস্তুগত ভাবে মদের ব্যবসায় বিপুল পরিমাণ মুনাফা হয়। আর জুয়ায় পরিশ্রম না করে বিপুল অর্থ উপার্জনের সুযোগ আছে। এই দুটি উপকারের চেয়ে গুনা অনেক অনেক গুণ বেশি। যদিও তখনও সুস্পষ্টভাবে মদকে হারাম ঘোষণা করা হয়নি। কিন্তু নিষিদ্ধ করার ভিত্তি অধিকতর প্রবল হয়।

এর কিছুদিন পরই নামাজের মধ্যে মদ হারাম ঘোষণা করে আয়াত নাযিল হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে মুমিনগণ তোমরা যখন মাতাল থাকো তখন নামাজের নিকটবর্তী হইও না। যতক্ষণ না বুঝতে পারো তোমরা কি করছ। -সূরা আন নিসা, আয়াত ৪৩।

এর কিছুদিন পরে মদকে হারাম ঘোষণা করে চূড়ান্তভাবে আয়াত নাযিল হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন, হে মুমিনগণ
মদ জুয়া অর্চনা ও ভাগ্য নির্ধারক শর সমূহ শয়তানের অপবিত্র কাজ ছাড়া আর কিছুই না। তোমরা এগুলো বর্জন করো। যাতে তোমরা কল্যাণ লাভ করতে পারো। শয়তান মদ ও জুয়ার মাধ্যমে তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে পারে। তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণ ও নামায থেকে বিরত রাখতে চায়। অতএব তোমরা কি এখনো মদ-জুয়া বর্জন করবে না। -সূরা মায়েদা ৯০ এবং ৯১ নং আয়াত।

এমএম আহমাদ বলেন, এসব জিনিস কে আল্লাহ চূড়ান্তভাবে এখানে হারাম ঘোষণা করেছেন। যেহেতু এগুলো নোংরা এবং অপবিত্র কাজ। যেহেতু এগুলো শয়তানের কাজ। শয়তানের প্ররোচনা ও ষড়যন্ত্র। মুমিনদের জন্য বর্জনীয়। যাতে মানুষ কল্যাণ ও সফলতা অর্জন করতে পারে। যেহেতু মদ ও জুয়ার মাধ্যমে শয়তান মুমিনদের মধ্যে শত্রুতা ও বিরোধ সৃষ্টি করে। সেহেতু এটা অবশ্যই বর্জনীয়।

শয়তান মুমিনদেরকে আল্লাহর স্মরণ ও নামাজ থেকে উদাসীন করে রাখতে চায়। কাজেই এগুলো পুরোপুরিভাবে বর্জন করা জরুরি। মদ হারামের বিষয়ে এটা সর্বশেষ আয়াত। এ আয়াত মদকে চূড়ান্তভাবে হারাম ও নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাই মুসলিমদেরকে এসব নিষিদ্ধ কাজ থেকে দূরে রেখে রাসূলের দেখানো পদ্ধতিতে আল্লাহতালার সকল হুকুম-আহকাম যথাযথভাবে গভীর আন্তরিকতার সাথে আঞ্জাম দেয়ার তৌফিক দান করুন। আমিন।