বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে জামায়াত আপ্রাণ প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে- মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া
নেত্রকোনা জেলায় বন্যার্তদের মাঝে উপহার সামগ্রী বিতরণকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর জননেতা মঞ্জুরুল ইসলাম ভুইয়া বলেন, প্রবল বর্ষণ এবং পাহাড়ি ঢলের কারণে দেশের অনেক নদ-নদীর পানি বিপদ সীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত বিভিন্ন নদ-নদীতে দেয়া ভারতের বাঁধগুলো খুলে দেয়ায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন জেলাগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদ-নদীর ভাঙ্গণও বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায় জামায়াতে ইসলামী সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের কষ্ট লাঘবে এবং আর্ত মানবতার সেবায় সামর্থ্যের আলোকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা নিয়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে। এরই ধারাবাহিকতায় আজকে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের পক্ষ থেকে আমরা নেত্রকোনায় আপনাদের কাছে এসেছি। দেশব্যাপী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করেছে জামায়াত ইসলামী একটি সমাজ উন্নয়নমূলক আদর্শবাদী সংগঠন।
২৪ জুন ২০২২ শুক্রবার নেত্রকোনা জেলার বন্যা দূর্গত ভাই-বোনদের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে ফুড প্যাকেট নিয়ে যান এবং নেত্রকোনার আটপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বন্যার্তদের মাঝে তা বিতরণ করেন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও নেত্রকোনা জেলা আমীর মোঃ এনামুল হক, নেত্রকোনা জেলার সহকারী সেক্রেটারি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন সাইফুল, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুর রহমান, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নেত্রকোনা জেলার সভাপতি কামাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মুতাসিম বিল্লাহ ও শাহীন আহমদ খান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেত্রকোনা জেলা সভাপতি আবু ওয়াক্কাস, আটপাড়া উপজেলা আমীর মোহাম্মদ ইউসুফ, মদন উপজেলা আমীর রিয়াজ উদ্দিন (ইদ্রিস মাস্টার) সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মঞ্জুরুল ইসলাম ভুইয়া আরও বলেন, বন্যা, মহামারী, অগ্নিকাণ্ডের মতো ভয়াবহ গজব আমাদের উপর চেপে বসেছে। আল্লাহ তা’য়ালা আমাদের সৃষ্টি করেছেন। তিনি আমাদেরকে মাঝে মধ্যে বিপদ ও দূর্যোগে ফেলেন, আবার তিনিই আমাদেরকে বিপদ থেকে উদ্ধার করেন। এর মাধ্যমে তিনি মূলত আমাদেরকে পরীক্ষা করে থাকেন। এ অবস্থায় আমাদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের কাছে বেশি করে সাহায্য চাইতে হবে। তার দেওয়া বিধানকে সমাজে প্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশের এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত সাহায্য নিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর দায়িত্ব রাষ্ট্রের অথচ সরকারের পক্ষ থেকে এখনও বন্যার্তদের সাহায্যার্থে কোনো তৎপরতা জনগণের নিকট দৃশ্যমান হয়নি। সরকারের এ ভূমিকা জনগণকে বিস্মিত করেছে। সরকারের উচিত দ্রুত জনগণের পাশে দাঁড়ানো। তিনি দলমত নির্বিশেষে সকলকে বন্যার্ত ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য উদাত্ত্ব আহবান জানান।