15 49.0138 8.38624 arrow 0 both 0 4000 1 0 horizontal https://bjingm.org 300 4000 - 0

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের গণহত্যা বন্ধে শান্তিকামী বিশ্ববাসীকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে -অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আজ ৯ মে বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে দখলদার ইসরাইল কর্তৃক ফিলিস্তিনে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমির অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলটি রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের সামনে থেকে শুরু হয়ে গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি যথাক্রমে মুহা. দেলাওয়ার হোসেন, মুহাম্মদ কামাল হোসাইন ও ড. আব্দুল মান্নান। কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, শামসুর রহমান, ড. মোবারক হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম, সৈয়দ সিরাজুল হক, কামরুল আহসান হাসান, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা মহানগরী পূর্বের সভাপতি তাকরিম হাসান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আলাউদ্দিন শেখ, ঢাকা কলেজের সভাপতি আনিসুর রহমান সহ জামায়াতে ইসলামীর বিভিন্ন থানা আমীর ও সেক্রেটারীবৃন্দ।
বিক্ষোভ মিছিলোত্তর সমাবেশে অ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, “অসংখ্য নবী-রাসূলদের আগমনের স্থান, আল-কুদুসের পবিত্র ভুমি ফিলিস্তিনে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাঈল অব্যাহতভাবে বর্বোরচিত হামলা করে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। এই দখলদার সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরাঈল শুধু আজকেই নয় বরং তারা ১৯৪৮ সাল থেকেই ফিলিস্তিনের মুসলমানদের উপরে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে আসছে। এই হামলায় কয়েক লক্ষ মানুষকে তারা শহীদ করেছে। বিশেষ করে বিগত ৭ মাসে ইসরাঈল ফিলিস্তিনের গাজায় যে ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করেছে তা অকল্পনীয়। এই ক’মাসেই প্রায় চল্লিশ হাজার ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু, যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ঘটনা। ইসরায়েলের বর্বর হামলায় স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল, মসজিদ, গির্জা সহ কোন স্থাপনায় বাদ যাচ্ছেনা। আমরা বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাচ্ছি। একইসাথে অবিলম্বে গাজায় ইসরাইলী এই বর্বর হামলা বন্ধ করতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য জাতিসংঘ সহ আন্তজার্তিক সংস্থাগুলো এবং মুসলিম বিশ্ব সহ বিশ্ব মোড়লদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি।
ফিলিস্তিনে ইতোমধ্যেই মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে। খাদ্য পানীয় জরুরি প্রয়োজনের সবকিছুরই অভাব প্রকট আকার ধারণ করেছে। দখলদার ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজাকে ধ্বংসস্তুপে পরিনত করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগ এবং যুদ্ধবিরতি আলোচনা অব্যাহত থাকা সত্ত্বেও এরইমধ্যে রাফায় দফায় দফায় হামলা চালিয়েছে। রাফায় হামলার মাধ্যমে তারা পুরো পরিস্থিতিকে আরো জটিল করে তুলছে। এমতাবস্থায় ইহুদীবাদীদের এই নির্মমতা বিরুদ্ধে আমরা বসে থাকতে পারি না। এই বর্বরতার বিরুদ্ধে মুসলিম উম্মাহকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটের একমাত্র সমাধান। তাই মুসলিম উম্মাহ সহ শান্তিকামী বিশ্ববাসীকে স্বাধীন ফিলিস্তিনী রাষ্ট্রের পক্ষে জোড়ালো ভুমিকা পালন করতে হবে। একইসাথে ইসরাঈলের সাথে মুসলিম বিশ্বের সকল প্রকার বানিজ্য বন্ধ করতে হবে। তাদের সাথে সম্পর্কিত সকল কোম্পানি পণ্য বর্জন করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান রাষ্ট্র হিসেবে এদেশের সরকারকে ইসরায়েলের নির্মমতার শুধু মুখে প্রতিবাদ নয় বরং রাষ্ট্রীয়ভাবে সংসদে নিন্দা প্রস্তাব পাশ করে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে হবে। ঈদুল ফিতরের প্রাক্কালে বাংলাদেশের বিমান বন্দরে ইসরাঈল থেকে আসা দু’টি বিমানের অবতরণ আমাদেরকে শঙ্কিত করেছে। এদেশের জনগণ কখনই ইসরায়েলকে মেনে নেবে না। ইসরাঈলের সাথে এদেশের দুরতমও কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি যেন না হয় সে ব্যাপারে সরকারকে বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করতে হবে। তিনি মুসলিম উম্মাহ ও দেশ বিরোধী সকল ষড়যন্ত্রের মূলৎপাটন করতে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কার্যকর ভুমিকা পালনের জন্য এদেশের তৌহিদী মুসলিম জনতার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান।”