পারিবারিক সচেতনতা ও প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপই পারে মাদকের নেশা থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করতে- মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমাদ
অনেকটা নীরবে-নিভৃতেই গতকাল ২৬ শে জুন “শুদ্ধ জ্ঞানেই সঠিক যত্ন হবে, জ্ঞানের আলোয় মাদক দূরে রবে” এই স্লোগান নিয়ে পালন হয়ে গেল আন্তর্জাতিক মাদক বিরোধী দিবস।
মাদকের ভয়াবহতা আজ দেশব্যাপী। শহর ছেড়ে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেছে মাদকের এই ভয়াবহতা। মূলত: তরুণ ও যুবসমাজই ব্যাপক হারে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। এদের পাশাপাশি তরুণী এবং যুবতীরাও মাদকের ভয়াবহতার শিকার। দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, যাদের আগামী দিনের বাংলাদেশকে গড়ে তোলার কথা, আজ তারাই মাদকের শিকারে পরিণত হয়ে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে। ধনী গরিব সকল শ্রেণীর যুবক-যুবতীরা আজ মাদকে আসক্ত। আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবস উপলক্ষে গতকাল এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের অন্যতম সদস্য ও নারায়নগঞ্জ মহানগরী জামায়াতের আমীর মাওলানা মঈনুদ্দীন আহমদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত এবং মিয়ানমার। উভয় দেশ থেকেই মাদক দ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে কক্সবাজার এবং চট্টগ্রামে মিয়ানমার থেকে আগত মাদক এর চালান প্রায় প্রতিদিনই ধরা পড়ছে। এরপরও মাদকদ্রব্য এতই সহজলভ্য যে, যে কেউ তা সহজেই পেয়ে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, কোন পরিবারে একজন মাদকসেবী মানেই পরিবারটির ধ্বংস অনিবার্য। এই মরণ নেশা থেকে আগামী প্রজন্মকে বাঁচাতে হলে পরিবারকে আরও সচেতন হতে হবে। ধর্মীয় মূল্যবোধ অনেকাংশে এ মরণ নেশা থেকে যুব সমাজকে মুক্ত রাখতে পারে। সাথে সাথে প্রশাসনকে আরও কঠোর হস্তে মাদকের আমদানি বন্ধ করার পদক্ষেপ নিতে হবে, যাতে তা তরুণ সমাজের হাতের নাগালের বাইরে চলে যায়। দেশ ও জাতির স্বার্থে যে করেই হোক আগামী প্রজন্মকে এ মরণ নেশা থেকে মুক্ত করতে হবে রাখতে হবে।