পবিত্র কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের উস্কানিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারী জেনারেলের
অতি সম্প্রতি পবিত্র কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিরীহ মানুষ হত্যা, গণ-গ্রেফতার, হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দিরে ও বাড়িতে হামলা এবং সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের উস্কানিমূলক বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম ১৯ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,
“সম্প্রতি কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ মিছিলে পুলিশ গুলি চালায়। পুলিশের গুলিতে চাঁদপুরে ৪ জন নিরীহ মানুষ নিহত হয়। কোনো তদন্ত ছাড়াই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শতাধিক লোককে গ্রেফতার করা হয়। শতশত মানুষকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়। আমরা লক্ষ্য করছি প্রমাণিত সত্য ঘটনাকে পাশ কাটিয়ে সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ উস্কানীমূলক বক্তব্য রেখে পরিস্থিতিকে জটিল ও ঘোলাটে করে তুলেছেন। একটি মহল হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উপাসনালয় ও বাড়ি-ঘরে হামলা ভাঙচুর, কোনো কোনো স্থানে লুটপাটের ঘটনাও সংঘটিত করেছে।
কয়েকটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, রংপুরের পীরগঞ্জে ২৫টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ৬০টি পরিবারের বসত-বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। হামলার শিকার একজনের বক্তব্য পত্রিকায় এসেছে। তিনি তাদেরকে চিনতে পেরেছেন। পত্রিকায় আরও বলা হয়েছে ৩টি গবাদী পশু উদ্ধার করা হয়েছে। যাদের কাছ থেকে গবাদী পশু উদ্ধার করা হয়েছে ও যাদেরকে চেনা গেছে তাদেরকে গ্রেফতার করলেইতো প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটিত হয়। তা না করে ঘটনাকে রাজনৈতিক রূপ দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
কোনো ঘটনা ঘটলেই ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে দায়ী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে শাস্তি দানের পরিবর্তে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখে দায়ী ব্যক্তিদের আঁড়াল করা হয়।
এ ধরনের ভূমিকায় প্রতীয়মান হচ্ছে একটি বিশেষ মহল পরিকল্পিতভাবে ঘটনা ঘটিয়ে তা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে এবং এ থেকে ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কুমিল্লায় পবিত্র কোরআন অবমাননা, চাঁদপুরে গুলি করে ৪ জনকে হত্যার জন্য দায়ীদের এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মন্দির ও বাসা-বাড়িতে হামলার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”