পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে ৪ জন নিরীহ লোককে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জামায়াত আমীরের
পবিত্র কুরআন মাজীদ অবমাননার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভ কর্মসূচীতে গুলি চালিয়ে ৪ জন নিরীহ লোককে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহবান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডাঃ শফিকুর রহমান ১৪ অক্টোবর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন:
“১৩ অক্টোবর কুমিল্লা মহানগরীর নানুয়া দিঘীর পাড় এলাকায় একটি পূজামণ্ডপে পবিত্র কুরআন মাজীদ অবমাননার মাধ্যমে মুসলমানদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার পর উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। কারা এই ঘটনা ঘটাল তা সিসি টিভি ফুটেজ দেখে সনাক্তের মাধ্যমে পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতো। তা না করে পরিস্থিতি উস্কে দেয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনী উল্টো প্রতিবাদী জনতার উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ, টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ ও গুলি চালিয়েছে। পুলিশের রাবার বুলেটে কুমিল্লায় অর্ধ শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। কুরআন অবমাননাকারীকে গ্রেফতার না করে উল্টো ৪৩ জন নিরপরাধ লোককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চাঁদপুরের হাজিগঞ্জে পবিত্র কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে আয়োজিত বিক্ষোভে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালিয়ে ৪ জন নিরীহ লোককে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। অনেকেই পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জাতির প্রশ্ন কেন এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হলো? এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সরকার কাদেরকে সন্তুষ্ট করতে চায়? হত্যাকাণ্ড না ঘটিয়ে অন্য কোনো উপায়ে কী এ সমস্যার সমাধান করা যেত না? সরকারের একপেশে, অদক্ষ ও দায়িত্বহীন ভূমিকার কারণে এতোগুলো নিরীহ মানুষের প্রাণ ঝড়ে পড়লো!
পুলিশের গুলিতে যারা নিহত হয়েছেন আমরা তাদের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তাদের শোক-সন্তপ্ত পরিবার-পরিজন ও আহতদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। মহান আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে শহীদের মর্যাদা দান করুন। সেই সাথে নিহতদের পরিবারগুলোকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও আহতদের উপযুক্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমি সরকারে প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
দেশের এই কঠিন মুহূর্তে সরকারকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলেই গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যার মনোবৃত্তি পরিহার করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকার কারণে পরিস্থিতি আরো জটিল আকার ধারণ করলে তার দায়-দায়িত্ব সরকারকেই বহন করতে হবে।
অবিলম্বে কুমিল্লায় পবিত্র কুরআন অবমাননা এবং চাঁদপুরে ৪ জন নিরীহ মানুষ হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি। সেই সাথে দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য সকল ধর্মাবলম্বী এবং সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”