15 49.0138 8.38624 arrow 0 both 0 4000 1 0 horizontal https://bjingm.org 300 4000 - 0

ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হলে জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ তার সুফল ভোগ করবে

ওয়ার্ড দায়িত্বশীল ভাইয়েরা ইসলামী আন্দোলনের মাঠপর্যায়ের নেতৃত্ব, তাদেরকে নিজ ময়দানে সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায় ভূমিকা রাখতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল ।
তিনি আজ ২২মে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী বরিশাল মহানগরী আয়োজিত ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন দায়িত্বশীল সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মহানগরী আমীর ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ মাওলানা জহির উদ্দিন মু. বাবরের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মাওলানা মতিউর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি মাস্টার মিজানুর রহমান, কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ আমিনুল ইসলাম খসরু, মাওলানা হাসান আতিক, অধ্যাপক হোসাইন ইবনে আহমেদ, তারিকুল ইসলাম, মাওলানা শফিউল্লাহ তালুকদার, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান আমিন প্রমুখ।
এডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বলেন, “আমরা যারা ওয়ার্ডে ইউনিয়নে দায়িত্ব পালন করি তারা ইকামাতে দ্বীনের দাওয়াত সরাসরি জনগণের সামনে উপস্থাপন করি। পেশাজীবীগণ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মধ্যে দাওয়াতি কাজ করে থাকেন। মহান আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহে আমরা এই আন্দোলনের দাওয়াত পেয়েছি। এই জিম্মাদারির হক আদায় করতে হবে। আল্লাহর ঘোষণা অনুযায়ী এটা নবীওয়ালা কাজ। আমাদের প্রত্যেকটি প্রশাসনিক ওয়ার্ডে কমপক্ষে ১০ টি ইউনিট তৈরির ব্যাপারে কাজ করতে হবে। বার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করার জন্য আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করতে হবে। সামাজিক ও রাজনৈতিক নেতৃত্বে ভূমিকা রাখতে হবে। আমরা অল্পতেই দূর্বল হয়ে যাব না। বিপ্লবের জন্য আমরা হাজার বছর অপেক্ষা করতে পারি। তবে আমাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব শতভাগ শেষ করবো। যাতে আমার জন্য বিপ্লবের কোনো কাজে বিলম্ব না হয়।
তিনি আরো বলেন, “গত পনেরো বছর বাতিল শক্তি আমাদের উপর চরম জুলুম নির্যাতন করলেও এই ময়দানে ইকামাতে দ্বীনের কাজ বন্ধ করতে পারেনি। আমাদের দায়িত্বশীলদের জ্ঞানের জগতে দখল থাকা দরকার এবং এর মাধ্যমে মানুষের কাছে সঠিক ভাবে দ্বীনি আন্দোলনের দাওয়াত উপস্থাপন করতে হবে। ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হলে জাতি,ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের যে উপকার হবে সকল মানুষকে সেটা জানাতে হবে। আমাদের দায়িত্বশীল ভাইদের মোয়ামেলাত হবে উচ্চ পর্যায়ের। বিনয় ও আন্তরিকতা দ্বারা মানুষের হৃদয়ের কাছাকাছি চলে যেতে পারবো। আমরা শুধু জামায়াতের নেতা নই, আমরা নিজ ময়দানে সকল শ্রেনি-পেশার মানুষের নেতা। মানুষ বিপদে-আপদে আমাদের কাছে আসলে আমরা তা সমাধানের চেষ্টা করবো।”