দ্বীন কায়েম ও পরকালীন মুক্তির জন্য আদর্শ পরিবার গঠনে আত্ননিয়োগ করতে হবে- ডাঃ শফিকুর রহমান
ইসলামী সমাজ বিনির্মাণ এবং দ্বীন কায়েমের জন্য আদর্শ পরিবার গঠন অপরিহার্য কারণ আদর্শ পরিবারের মাধ্যমেই একজন প্রকৃত সৎ ও যোগ্য নাগরিক তৈরী হতে পারে। এইজন্য যেসব পরিবারে পারিবারিক ইউনিট আছে সেগুলোকে আরো সংগঠিত করার পাশাপাশি যেসব পরিবারে এখনো পারিবারিক ইউনিট গঠন করা হয়নি সেখানে পারিবারিক ইউনিট গঠনে জোর তৎপরতা চালাতে হবে। এছাড়া শুধুমাত্র রিপোর্ট লেখার জন্য নয় বরং আল্লাহর সাথে যথাযথ সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য হক আদায় করে নিয়মিত কুরআন ও হাদীস অধ্যয়ন করতে হবে।
তিনি গতকাল বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আয়োজিত পারিবারিক দিবসের এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।তিনি আরো বলেন, আল্লাহ রাব্বুল আ’লামিন দুনিয়া সৃষ্টির প্রথম থেকেই পরিবারের রূপরেখা তুলে ধরেছেন। পিতা-মাতা, সন্তান- সন্ততি নিয়েই একটা পরিবার গড়ে উঠে। পরিবারের সকল সদস্যকে কোরআন-হাদিসের শিক্ষার আলোকে গড়ে তোলা হচ্ছে পরিবার প্রধানের দায়িত্ব। তিনি বলেন, সন্তান-সন্ততিকে মানুষ হিসাবে, সত্যিকার ঈমানদার হিসাবে গড়ে তোলা যেমন পিতা মাতার দায়িত্ব, তেমনি পিতা-মাতার খেদমত করাও সন্তানদের দায়িত্ব। হাদীসের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, বৃদ্ধ পিতা-মাতার খেদমতের মাধ্যমে জান্নাত লাভ করা সম্ভব।
কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা মঈন উদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ও মহানগরী সংগঠনের সেক্রেটারী মাওলানা আবু রাকিবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের পরিচালক জনাব সাইফুল আলম খান মিলন।
আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহানগরীর সম্মানিত সহকারী সেক্রেটারী জনাব আবু ওয়াসিফ, মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারী মোঃ জামাল হোসেন, মহানগরীর তথ্য ও প্রযুক্তি বিভাগের বিভাগীয় সম্পাদক ও মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য এম. এইচ ফারুক, মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও মহানগরীর আইন, মানবাধিকার ও মানব সম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবী এড. মাঈনুদ্দীন মিয়া ,মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ পূর্ব থানার আমীর এইচ.এম নাসির উদ্দীন ও মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ উত্তর থানার আমীর জাকির হোসেন সহ প্রমুখ।