দেশব্যাপী হঠাৎ করে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ,হামলা ও হয়রানীর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
১৫ নভেম্বর বিকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাটোর জেলা শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান ও সাবেক জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খানসহ ১৫ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মোঃ তাসনীম আলম ১৫ নভেম্বর প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেন,
“বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নাটোর জেলা শাখার সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান ও সাবেক জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খান, বড়াইগ্রাম উপজেলা শাখার আমীর অধ্যাপক আবুল হোসাইন, সেক্রেটারি জনাব আবু বকর সিদ্দিক, বায়তুলমাল সেক্রেটারি জনাব আতিকুর রহমান মাস্টার, উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমীর মাওলানা হাশেম আলীসহ ১৫ জন নেতা-কর্মীকে পুলিশ বিনা ওয়ারেন্টে অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। আমি পুলিশের এই অন্যায় গ্রেফতার অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, বড়াইগ্রাম সদর ইউনিয়ন রাজাপুর জামে মসজিদে জামায়াতে ইসলামীর গ্রেফতারকৃত নেতা-কর্মীগণ সাংগঠনিক বৈঠক করছিলেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী একটি নিয়মতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। দেশের সংবিধান সকল রাজনৈতিক দলকে দলীয় কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার দিয়েছে। তাই নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে এবং দলীয় কার্যক্রমে বাধা দিয়ে সরকার অসাংবিধানিক কাজ করেছে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে নেতৃত্ব শূন্য করার হীন উদ্দেশ্যেই সরকার তাদের গ্রেফতার করেছে। এভাবে হয়রানি ও গ্রেফতার করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দমন করা যাবে না। গণতন্ত্র হরণকারী স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমি দেশবাসীর প্রতি আহবান জানাচ্ছি। সেই সাথে নাটোর জেলা শাখা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক সাদেকুর রহমান ও সাবেক জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন খানসহ ১৫ জন নেতা-কর্মী এবং সারাদেশে গ্রেফতারকৃত জামায়াতে ইসলামীর সকল নেতা-কর্মীকে অবিলম্বে নিঃশর্তভাবে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”