15 49.0138 8.38624 arrow 0 both 0 4000 1 0 horizontal https://bjingm.org 300 4000 - 0
সর্বশেষ সংবাদ
আমাদের প্রকাশনী

জীবনের বিনিময়ে হলেও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে রুঁখে দাঁড়ানোই আশুরার প্রকৃত শিক্ষা-অধ্যাপক মুজিবুর রহমান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, মুসলিম উম্মাহর জন্য ১০ মহররম পবিত্র আশুরায় রয়েছে অসংখ্য শিক্ষা ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। মুক্তি ও নাজাত দিবস হিসেবেও কুরআনে আশুরার তারিখটি বর্ণিত হয়েছে। এই দিনে মূসা (আ.) ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন। আবার এই দিনেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবী সৃষ্টিসহ ১০ জন নবী ও রাসূলকে বিভিন্ন নিয়ামতদান ও বিপদ মুসিবত থেকে রক্ষা করেছিলেন। তাই মহররম মাসের ৯ ও ১০ তারিখে রোজা রাখার বিষয়ে নবী মুহাম্মদ (ﷺ) বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন ও মুসলমানদের রোজা পালনের জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। রমজানের রোজা রাখার পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রোজা হচ্ছে এই আশুরা বা মহররমের রোজা রাখা। এছাড়াও স্বৈরাচার ও জালেম শাসকের বিরুদ্ধে আশুরা এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের দিন। আশুরা আমাদেরকে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে আপোষহীন প্রতিবাদের চেতনা ধারণ করে জীবনের বিনিময়ে হলেও অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। কারবালার ঘটনায় প্রমাণিত যে, স্বৈরাচারের কাছে মাথা নত করার পরিবর্তে নিজের গর্দান বিলিয়ে দেয়াও অনেক বড় মর্যাদার। আজ আফগানিস্তানে শরীয়াহ বিপ্লবে যারা বিজয় লাভ করেছেন তাদের জন্য অবশ্যই আমাদের দোয়া থাকবে। আমরা প্রত্যাশা করি যে, ইসলামের সঠিক পন্থায় তারা দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন।

আজ ১৯ আগস্ট ২০২১ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত পবিত্র আশুরার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুস সাত্তার সুমন, শাহীন আহমদ খান, আশরাফুল আলম ইমন সহ জামায়াত শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, হক কথা যেটা আপনি জানেন তা বলবেন এটাই মূলত ঈমান। হকের পক্ষে সত্যের পথে ইমাম হুসাইনের পরিবারের ৭০জন ছিলেন এবং তারা ইয়াজিদের কাছে মাথা নত না করে বাতিলের বিরুদ্ধে দৃঢ়তা দেখান। আজ তাজিয়া মিছিলে রক্ত ঝরানো হচ্ছে, এটা প্রকাশ্য শিরক। যা মহাপাপ, এজন্য জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। ইসলামে এসব ক্ষতিকর কুসংস্কার কখনোই ধর্ম হতে পারে না। আমাদের অন্য ধর্মের সংস্কৃতি, কথাবার্তা, নিয়ম-রীতি পরিত্যাগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, স্বৈরশাসনের জন্য আজ বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্বের কাছে ভূলুণ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। অপসংস্কৃতি ও মোবাইল গেমের ফাঁদে তরুণ-যুবকেরা আজ দিশেহারা। ছাত্রদের লেখাপড়ার পরিবেশ ইতোমধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। এসব থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে। পরামর্শের ভিত্তিতে দেশ রাষ্ট্র সমাজ পরিচালিত হলেই কেবল মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত হবে। তাই হক বা ন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের মোকাবেলায় দেশের সকল নাগরিকদের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ইসলামের ইতিহাসে মর্যাদাপূর্ণ আশুরা বিভিন্ন ঘটনাপুঞ্জে সমৃদ্ধ হলেও সর্বশেষে সংঘটিত কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর শাহাদাতই এ দিবসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মূলত আশুরার এই দিনটিই ইতিহাসে অধিক স্মরণীয়। ইমাম হোসাইন (রা) নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শাহাদাত বরণ করেছেন তবুও ইয়াজিদের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনক্ষমতার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেননি। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য এমন আত্মোৎস্বর্গের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে নজীরবিহীন। যারা অত্যাচারী ও মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন তাদের মোকাবেলায় সব সময় শাহাদাতের উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত পেশ করতে হয়েছে। রাষ্ট্রে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে শাহাদাতের তামান্না আজও দেশে দেশে দৃশ্যমান। তাই দেশকে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শক্তির দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে সত্য ও ন্যায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় অবিচল থাকতে হবে। মূলত ত্যাগ ও কুরবানি ছাড়া কখনোই ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কারবালার লড়াই ছিল জালিম শাসকের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। আশুরা প্রতিটি মুসলমানকে ত্যাগের মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কঠিন ময়দানে টিকে থাকার শিক্ষা দেয়। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে ইসলামকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করতেই সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। দেশের প্রত্যেক মুসলমানকে এখনই সচেতন ও সজাগ হতে হবে।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ৬১ হিজরীর এই দিনে অত্যাচারী শাসক ইয়াজিদের অন্যায়, অত্যাচার ও ইসলামের মূলনীতি লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাসূল (ﷺ) এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা) স্ব-পরিবারে কারবালার ময়দানে শাহাদাত বরণ করেন। মূলত ইমাম হুসাইন (রা.) স্ব-পরিবারে শাহাদতের মাধ্যমে দুনিয়াবাসীকে জানিয়ে গেছেন পার্থিব স্বার্থের কাছে কোনো মুমিন মাথা নত করতে পারে না। অপরদিকে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে, ঈমানদাররা যদি সবর করে তাহলে অবশ্যই সকল প্রতিপক্ষের মোকাবেলায় আল্লাহ তাদের সাথে থাকবেন। তাই যদি গর্দানও চলে যায় তবুও ঈমানের মজবুতি নিয়ে আমাদের দৃঢ়ভাবে ময়দানে ভূমিকা রাখতে হবে। এটাই আশুরা দিবসের প্রকৃত শিক্ষা।বলেন, মুসলিম উম্মাহর জন্য ১০ মহররম পবিত্র আশুরায় রয়েছে অসংখ্য শিক্ষা ও অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। মুক্তি ও নাজাত দিবস হিসেবেও কুরআনে আশুরার তারিখটি বর্ণিত হয়েছে। এই দিনে মূসা (আ.) ফেরাউনের কবল থেকে মুক্তি লাভ করেছিলেন। আবার এই দিনেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবী সৃষ্টিসহ ১০ জন নবী ও রাসূলকে বিভিন্ন নিয়ামতদান ও বিপদ মুসিবত থেকে রক্ষা করেছিলেন। তাই মহররম মাসের ৯ ও ১০ তারিখে রোজা রাখার বিষয়ে নবী মুহাম্মদ (ﷺ) বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করেন ও মুসলমানদের রোজা পালনের জন্য উৎসাহ দিয়েছেন। রমজানের রোজা রাখার পরেই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রোজা হচ্ছে এই আশুরা বা মহররমের রোজা রাখা। এছাড়াও স্বৈরাচার ও জালেম শাসকের বিরুদ্ধে আশুরা এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের দিন। আশুরা আমাদেরকে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে আপোষহীন প্রতিবাদের চেতনা ধারণ করে জীবনের বিনিময়ে হলেও অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। কারবালার ঘটনায় প্রমাণিত যে, স্বৈরাচারের কাছে মাথা নত করার পরিবর্তে নিজের গর্দান বিলিয়ে দেয়াও অনেক বড় মর্যাদার। আজ আফগানিস্তানে শরীয়াহ বিপ্লবে যারা বিজয় লাভ করেছেন তাদের জন্য অবশ্যই আমাদের দোয়া থাকবে। আমরা প্রত্যাশা করি যে, ইসলামের সঠিক পন্থায় তারা দেশ পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন।

আজ ১৯ আগস্ট ২০২১ বৃহস্পতিবার রাজধানীর একটি মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উদ্যোগে আয়োজিত পবিত্র আশুরার আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুলের সভাপতিত্বে ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি আবদুল জব্বার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সবুর ফকির। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য আব্দুস সাত্তার সুমন, শাহীন আহমদ খান, আশরাফুল আলম ইমন সহ জামায়াত শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, হক কথা যেটা আপনি জানেন তা বলবেন এটাই মূলত ঈমান। হকের পক্ষে সত্যের পথে ইমাম হুসাইনের পরিবারের ৭০জন ছিলেন এবং তারা ইয়াজিদের কাছে মাথা নত না করে বাতিলের বিরুদ্ধে দৃঢ়তা দেখান। আজ তাজিয়া মিছিলে রক্ত ঝরানো হচ্ছে, এটা প্রকাশ্য শিরক। যা মহাপাপ, এজন্য জাহান্নামের আগুনে জ্বলতে হবে। ইসলামে এসব ক্ষতিকর কুসংস্কার কখনোই ধর্ম হতে পারে না। আমাদের অন্য ধর্মের সংস্কৃতি, কথাবার্তা, নিয়ম-রীতি পরিত্যাগ করতে হবে। তিনি আরও বলেন, স্বৈরশাসনের জন্য আজ বাংলাদেশের মর্যাদা বিশ্বের কাছে ভূলুণ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। অপসংস্কৃতি ও মোবাইল গেমের ফাঁদে তরুণ-যুবকেরা আজ দিশেহারা। ছাত্রদের লেখাপড়ার পরিবেশ ইতোমধ্যেই নষ্ট হয়ে গেছে। এসব থেকে জাতিকে রক্ষা করতে হবে। পরামর্শের ভিত্তিতে দেশ রাষ্ট্র সমাজ পরিচালিত হলেই কেবল মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত হবে। তাই হক বা ন্যায়ের বিরুদ্ধে অবস্থানকারীদের মোকাবেলায় দেশের সকল নাগরিকদের ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে জননেতা নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, ইসলামের ইতিহাসে মর্যাদাপূর্ণ আশুরা বিভিন্ন ঘটনাপুঞ্জে সমৃদ্ধ হলেও সর্বশেষে সংঘটিত কারবালা প্রান্তরে হযরত ইমাম হোসাইন (রা.) এর শাহাদাতই এ দিবসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। মূলত আশুরার এই দিনটিই ইতিহাসে অধিক স্মরণীয়। ইমাম হোসাইন (রা) নিশ্চিত মৃত্যু জেনেও অন্যায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে শাহাদাত বরণ করেছেন তবুও ইয়াজিদের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনক্ষমতার প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করেননি। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য এমন আত্মোৎস্বর্গের ঘটনা বিশ্ব ইতিহাসে নজীরবিহীন। যারা অত্যাচারী ও মানুষের অধিকার কেড়ে নিয়ে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন তাদের মোকাবেলায় সব সময় শাহাদাতের উজ্জ্বলতম দৃষ্টান্ত পেশ করতে হয়েছে। রাষ্ট্রে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে শাহাদাতের তামান্না আজও দেশে দেশে দৃশ্যমান। তাই দেশকে স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শক্তির দুঃশাসন থেকে মুক্ত করতে ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদেরকে অগ্রসৈনিকের ভূমিকা পালন করতে হবে। সকল প্রকার জুলুম-নির্যাতন ও ষড়যন্ত্র উপেক্ষা করে সত্য ও ন্যায় ইনসাফ প্রতিষ্ঠায় অবিচল থাকতে হবে। মূলত ত্যাগ ও কুরবানি ছাড়া কখনোই ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।

মঞ্জুরুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কারবালার লড়াই ছিল জালিম শাসকের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। আশুরা প্রতিটি মুসলমানকে ত্যাগের মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কঠিন ময়দানে টিকে থাকার শিক্ষা দেয়। আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে ইসলামকে ধ্বংসের ষড়যন্ত্র চলছে। সরকার দেশ থেকে ইসলাম ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস করতেই সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। দেশের প্রত্যেক মুসলমানকে এখনই সচেতন ও সজাগ হতে হবে।

ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ৬১ হিজরীর এই দিনে অত্যাচারী শাসক ইয়াজিদের অন্যায়, অত্যাচার ও ইসলামের মূলনীতি লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাসূল (ﷺ) এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা) স্ব-পরিবারে কারবালার ময়দানে শাহাদাত বরণ করেন। মূলত ইমাম হুসাইন (রা.) স্ব-পরিবারে শাহাদতের মাধ্যমে দুনিয়াবাসীকে জানিয়ে গেছেন পার্থিব স্বার্থের কাছে কোনো মুমিন মাথা নত করতে পারে না। অপরদিকে আল্লাহর ঘোষণা হচ্ছে, ঈমানদাররা যদি সবর করে তাহলে অবশ্যই সকল প্রতিপক্ষের মোকাবেলায় আল্লাহ তাদের সাথে থাকবেন। তাই যদি গর্দানও চলে যায় তবুও ঈমানের মজবুতি নিয়ে আমাদের দৃঢ়ভাবে ময়দানে ভূমিকা রাখতে হবে। এটাই আশুরা দিবসের প্রকৃত শিক্ষা।