15 49.0138 8.38624 arrow 0 both 0 4000 1 0 horizontal https://bjingm.org 300 4000 - 0
সর্বশেষ সংবাদ
আমাদের প্রকাশনী

জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে উলামায়ে কেরামগণকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে- মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেছেন, সম্মানিত উলামায়ে কেরামগণ আপনাদেরকে একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, কারো দাস হয়ে থাকার মাঝে কোনো স্বার্থকতা নেই। সাময়িক কিছু সুযোগ সুবিধা পাওয়া গেলেও প্রকৃত অর্থে শেষ পরিণতিতে সেখানে সুখকর কোনো কিছু আশা করা অসম্ভব। এজন্য বৃহৎ স্বার্থে জাতিকে সঠিক পথে পরিচালিত করতে উলামায়ে কেরামগণকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে। আলেমগণ হচ্ছে এ জাতির রাহবার, উলামায়ে কেরামগণকে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ হৃদয় দিয়ে ভালোবাসে। বাংলাদেশে ঈমান নিয়ে যদি বেঁচে থাকতে হয়, সত্যিকারভাবে ঈমানের হক আদায় করতে হয়, তাহলে এখানে সম্মানিত উলামায়ে কেরামগণকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে হকের উপর অবিচল থাকতে হবে।
তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উলামা বিভাগের উদ্যোগে দেশবরেণ্য দাঈ, মুফাসসির ও ওয়ায়েজদের নিয়ে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরিন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি মুহাদ্দিস মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ। উক্ত কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় উলামা বিভাগের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী। আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি ড. আব্দুল মান্নান, মাজলিসূল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল হামিদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের উলামা বিভাগের সভাপতি ড. হাবিবুর রহমান ও সেক্রেটারি মাওলানা নোমান, মাজলিসূল মুফাসসিরিনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি শাহ আরিফ বিল্লাহ সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের উলামা বিভাগের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ শহীদুল্লাহ, মাজলিসূল মুফাসসিরিন ঢাকা মহানগরী উত্তরের সভাপতি মাওলানা ফখরুদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের বিভাগীয় সেক্রেটারি ড. জাকারিয়া নুর , মাওলানা জাকির হোসেন, মুফাসসির আবুল কাশেম গাজী, মাওলানা লুৎফর রহমান, মাওলানা রফিকুল ইসলাম মিয়াজী, মুফতি মিজানুর রহমান, হাফেজ মাওলানা কাজী জালাল উদ্দিন, মুফতি নূরুজ্জামান নোমানী, মাওলানা আবু হানিফ নেসারি, মুফতি তাজুল ইসলাম কাউসার, মুফতি আব্দুল কাহহার সিদ্দিকী, মাওলানা মাসুম বিল্লাহ মাদানী, মাওলানা মোস্তাফিজুর রহমান, মাওলানা শাহিন হোসাইন চাঁদপুরী সহ দেশবরেণ্য মুফাসসির বৃন্দ।
মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, এই দেশে উলামায়ে কেরামগণকে বাদ দিয়ে যে বা যারা যেটাই করতে চাই বা করুক না কেন তা তাদের জন্য অসম্ভব বিষয় হবে। ইসলামী মূল্যবোধের ভিত্তিতে জনগণকে সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য উলামায়ে কেরামগণ হচ্ছেন জাতির বাতিঘরের ন্যায়। দেশের উলামায়ে কেরামগণকে বাদ দিয়ে ইসলামের নামে এদেশে কোনো কাজ সফল হবে না। সম্মানিত উলামায়ে কেরামগণ আপনাদের বক্তব্য আলোচনা পথ নির্দেশনা হিসেবে জনগণকে যেন আরও সুগঠিত করে তোলে, সে দিকে বিশেষ খেয়াল রাখবেন ইনশাআল্লাহ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এই জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করার স্বপ্ন দেখে। সে কাজে উলামায়ে কেরামগণ হবেন আলোকবর্তিকা। পরস্পর সমালোনার পরিবর্তে সংশোধনের উদ্দেশ্যে ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে আলেমদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে। এ জাতির জন্য অনেক বড় কাজ করবার দায়িত্ব আপনাদের উপরে ন্যস্ত আছে।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আমরা যারা বক্তা হিসেবে কথা বলি এটাকে মহান আল্লাহর নেয়ামত হিসেবে নিবেন। কথা বলার আগে আঙ্গুলের সামনের দিকটা সর্বপ্রথমে নিজের দিকেই রাখবেন। আমরা পরস্পরকে দোষারোপ করার নীতি অবলম্বন করি না। মনে রাখবেন আমাদের অর্জিত কোনো ইলম জ্ঞান কেবল অন্যের সাথে তর্ক-বির্তক করার জন্য নয়। সবর এবং সামাহাত এর মানে ব্যক্তি হিসেবে আপনাকে উত্তীর্ণ হতে হবে। কোনো বিষয়ে অস্থিরতা যেন আমাদেরকে ঘিরে না ফেলে। কারণ অস্থিরতা আসে ইবলিশ শয়তানের কাছ থেকে আর স্থিরতা আসে আরশে আজিম হতে। আমাদেরকে সেই বিষয়টি সর্বদা সামনে রাখতে হবে। আমাদের ইলম যেন আমাকে বেইনসাফি করতে বাধ্য না করে সে বিষয়ে নজর রাখা প্রয়োজন।
ড. মুহাম্মাদ খলিলুর রহমান মাদানী বলেন, দুনিয়ার যশ-খ্যাতির প্রতি আকৃষ্ট হওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। জীবনের প্রতিটি কাজ একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে করা প্রয়োজন। সম্মানিত উলামায়ে কেরামগণ আপনাদেরকে প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসূলুল্লাহ (সা) এর সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরতে হবে। ব্যক্তিজীবন, পারিবারিক জীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবনে রাসূল (সা) এর আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে।