চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২২ জন সাধারণ মানুষকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে ২২ জন সাধারণ মানুষকে অন্যায়ভাবে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার ২৮ জুলাই এক বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, “২৭ জুলাই রাত সাড়ে ১১টায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলা থেকে ২২ জন সাধারণ মানুষকে পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করেছে। আমি পুলিশের এই অন্যায় গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃত ঘটনা হল কয়েকদিন পূর্বে গ্রেফতারকৃতদের একজন একটি নতুন মটরবাইক ক্রয় করে। তার কয়েকজন বন্ধু ও প্রতিবেশি যুবকরা তার নিকট খাওয়ার আবদার করে। এরই প্রেক্ষিতে সে খাবারের আয়োজন করে। এটা কোনো রাজনৈতিক প্রোগ্রাম তো দূরের কথা, কোনো ধর্মীয় বা সামাজিক অনুষ্ঠানও ছিল না। অথচ প্রত্যন্ত গ্রামের এ রকম একটি সাদামাটা খাবার অনুষ্ঠান থেকে পুলিশ তাদেরকে গ্রেফতার করে এবং নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করছিল বলে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। আদালত তাদেরকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে পাঠায়।
বিবৃতিতে তিনি আরো বলেন, কেবল সন্দেহের বশবর্তী হয়ে দেশের কোনো নাগরিককে আটক বা প্রহরায় নেয়া সম্পূর্ণ অন্যায়, বেআইনী ও অসাংবিধানিক। এতে মানুষের অধিকার ও সম্মান উভয়ই ক্ষুন্ন হয়। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে মুক্ত ও স্বাধীন জীবন-যাপনের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকেরই আছে। এটি একটি মৌলিক অধিকারও বটে। তাই এ জাতীয় গ্রেফতার খুবই দুঃখজনক। অবিলম্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দেয়ার জন্য আমি সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”
অপর এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শাখা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবুজর গিফারী বলেন, “চাঁপানবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা থেকে ২২ জন সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দায়ের করে পুলিশ অন্যায় করেছে। আমরা পুলিশের এই জুলুম-নিপীড়নের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে গ্রেফতারকৃতদের অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট মহলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”