গণপরিবহণের ভাড়া বাড়ানোর অন্যায় ও অযোক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জামায়াতের সেক্রেটারী জেনারেলের
“গত ৪ নভেম্বর থেকে সরকার প্রতি লিটার জ্বালানি তেলের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করেছে, যা শতকরা হিসেবে ২৩ শতাংশ। তারই ধারাবাহিকতায় এখন গণপরিবহণের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে। গণপরিবহণ তথা যাত্রীবাহী বাসে গড়ে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ২৭ শতাংশ এবং লঞ্চে ভাড়া বাড়ানো হয়েছে ৩৫.২৯ শতাংশ। তেলের দাম ২৩ শতাংশ বাড়ালেও বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়েছে তার চেয়ে অনেক বেশি। যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ভাড়া বৃদ্ধির ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সাধারণ মানুষ। আমরা সরকারের এই অন্যায় ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যায় রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বাংলাদেশ প্রেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) গত সাত বছরে জ্বালানি তেল থেকে মুনাফা করেছে ৪৩ হাজার ১৩৭ কোটি টাকা। বর্তমান বর্ধিত মূল্যে রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বিপিসির মুনাফা হবে বছরে প্রায় ৭ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা। করোনাকালীন সামগ্রিক অর্থনৈতিক অবস্থায় তেলের দাম বাড়ানোর কোনো প্রয়োজন ছিলনা। যেহেতু এ সরকার জনগণের ভোটে নির্বাচিত নয় তাই জনগণের প্রতি এই সরকারের কোনো দায়বদ্ধতা ও জবাবদিহিতা না থাকায় একের পর এক গণ বিরোধী সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিচ্ছে।
তেলের মূল্য বৃদ্ধি এবং গণপরিবহণের ভাড়া বাড়ানোর ফলে সরকার দলীয় লোকজনই লাভবান হবে এবং তাদের পকেট ভারী হবে। সারাদেশে লুটপাট, দুর্নীতির মহোৎসব আরো বৃদ্ধি পাবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসহ সকল ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পড়বে এবং দ্রব্যমূল্য লাগামহীনভাবে বাড়বে। এভাবে একটি দেশ চলতে পারে না।
আমরা অবিলম্বে তেলের মূল্য বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত বাতিল এবং গণপরিবহণে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।”