ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গঠনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে -ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ আজ ২১ ডিসেম্বর সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের ধানমন্ডি উত্তর থানার উদ্যোগে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে চলমান শৈতপ্রবাহে কষ্টে থাকা অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
শীতবস্ত্র বিতরণকালে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি এ্যাডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য শেখ শরিফ উদ্দিন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য ও ধানমন্ডি উত্তর থানা আমীর আবু সাদাত মোহাম্মদ আলী, ধানমন্ডি উত্তর থানা সেক্রেটারি মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, ধানমন্ডি থানা কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা সেলিম উদ্দিন ও মারুফ আলম প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় দিপ্ত অঙ্গিকার বাস্তবায়নে জামায়াতে ইসলামী সদা তৎপর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। একটি আদর্শবাদী সংগঠন হিসেবে জামায়াত ইতোমধ্যেই দেশের মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে। সেই বিশ্বাস ও আস্থার মূল্যায়নে আমাদের সীমিত সামর্থ নিয়েও দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে দেশের সকল মানুষের দূর্দশা ও কষ্ট লাঘবে আমরা অব্যহতভাবে পাশে আছি। দেশ গড়ার প্রয়োজনে আমাদের এই কল্যানকামী কর্মসূচী আগামীদিনেও থাকবে ইনশাআল্লাহ। সেইসাথে আমরা আশাবাদ ব্যক্ত করছি যে, আগামীতে জনগণের সমর্থন নিয়ে বাংলাদেশে ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাআল্লাহ। যেখানে শোষন বঞ্চনার পরিবর্তে সকল মানুষ তাদের নিজ নিজ ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবেন। দেশের জনগণের সামগ্রীক মুক্তি ও কল্যাণ নিশ্চিত হবে। তাই তিনি ক্ষুধা ও দারিদ্র মুক্ত দেশ গঠন এবং ন্যায় ও ইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সকলকে আত্মনিয়োগ করার উদাত্ব আহবান জানান।
ড. মাসুদ আরও বলেন, মহান আল্লাহ আমাদেরকে স্বাধীনতার যে নেয়ামত দান করেছেন তার যথাযথ ব্যবহার করতে হবে। দেশের স্বাধীনতার প্রায় অর্ধশত বছর অতিক্রম করেছি আমরা অথচ মানুষের প্রকৃত আশা ভরসা আজও ধোঁয়াশার আড়ালেই রয়ে গিয়েছে। ভূ-খন্ড বিজয়ের অন্তারালে বাংলাদেশের জনগণের যৌক্তিক হাজারো চাওয়া পাওয়ার হিসেব এখনো ত্রুটিপূর্ণ রয়েছে। মানুষের কল্যাণের জন্য যারা সত্যিকার অর্থে কাজ করতে চাই তাদেরকেই দেশ পরিচালনার কাজে নিয়োজিত করতে হবে, তবেই জাতীয় জীবনে প্রকৃত কল্যাণ সাধিত হবে। দেশের শাসক হবেন জনগণের কর্মচারী ও সেবা প্রদানকারী। কিন্তু জাতি হিসেবে আমাদের দূর্ভাগ্য যে, বাংলাদেশে আধিপত্যবাদি শক্তি তাদের সেবাদাস শ্রেণীকে ব্যবহার করে এদেশের মানুষের চিরায়ত স্বপ্ন পূরণে অসংখ্য বাঁধার প্রাচীর নির্মাণ করে চলেছে। তাই স্বাধীন বাংলাদেশের বিজয়কে অর্থবহ করতে ও মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনাকে সমুন্নত রাখতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা পালন করতে হবে।