কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে রাজধানীতে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের রিকশা-ভ্যান বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারী ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মোকাররম হোসাইন খান, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য ও যুব নেতা কামাল হোসাইন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য মতিউর রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান খান, আব্দুল মালেক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
নুরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বাংলাদেশ সহ বিশ্বব্যাপি করোনায় বিপর্যস্থ মানুষ প্রায় ১০ মাস যাবৎ নানাবিধ প্রতিকূলতার মধ্যে অবস্থান করছে। এসময় বাস্তবিক কারণেই অনেকে পেশাগত দিক থেকে চাকুরী হারিয়ে এবং ব্যবসা সহ কর্মক্ষেত্রে পুঁজি হারিয়ে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। বেকারত্বের যাঁতাকলে যুবসমাজ আজ অসহায়। এমতাবস্থায় এসকল মানুষের আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বেকারত্ব দূরীকরনে সরকারের কার্যক্রম অত্যন্ত অপ্রতুল। এমনকি পরিস্থিতির মোকাবেলায় সরকারের পক্ষ হতে সামগ্রীকভাবে জনগণের কল্যাণে সরকারের তেমন কোন উদ্যোগ নেই। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই দেশের সাধারণ মানুষকে নানাদিক থেকেই সহযোগিতা করার প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। হাদিসের আলোকে যে ব্যক্তি মানুষের প্রতি দয়া করে না আল্লাহও তার প্রতি দয়া করেন না। আজ আমরা যাদেরকে এই সহযোগিতা তুলে দিচ্ছি তারা এটাকে আমানত হিসেবে নিয়ে পুঁজিকে কাজে লাগিয়ে তা যথাযথ পন্থায় ব্যবহার করে নিজেরা সাবলম্বী হবেন এই প্রত্যাশা করছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের অব্যবস্থাপনার ফলে চলমান সময়ে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতির ফলে তা এখন সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সেইসাথে ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণে দেশের অর্থনৈতিক সেক্টর আজ ধ্বংসের মুখোমুখি। যা আমাদের এই সোনার বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। তাই দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে জাতিকে এ অবস্থা থেকে মুক্ত করতে এবং সুখি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে ইসলামের সুমহান আদর্শের আলোকে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যেখানে মানুষের মৌলিক অধিকার বাস্তবায়ন হবে ও মানবতার পাশে সকলে দাঁড়াবে। এ লক্ষে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তার প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে। তিনি সকলকে এই কল্যাণরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে জামায়াতে ইসলামীর পাশে থাকার উদাত্ত আহবান জানান।
ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, আল্লাহ মানুষকে দিয়ে একে অপরের কল্যাণ করাতে চান। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) সেই কল্যাণের দিকেই মানুষকে আহবান করেছেন। কল্যাণের মূল কাজ হচ্ছে আল্লাহর দিকে মানুষকে ধ্বাবিত করা। আল্লাহ সুবহানাহু তায়ালার দাসত্ব করার মাধ্যমেই প্রকৃত কল্যাণ হয়ে থাকে। তিনি (সা.) সমাজকল্যাণের মাধ্যমেই আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করে একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করে আল্লাহর সন্তুষ্টি পেতে প্রচেষ্টা চালিয়েছেন। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কোন গতানুগতিক রাজনৈতিক দল নয় বরং একটি আদর্শবাদী গণমুখী রাজনৈতিক সংগঠন। সে কল্যাণকামীতার অংশ হিসেবেই বেকারত্ব দূরীকরনে আজ আমরা শ্রমিক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের দুর্দশা লাঘবে পাশে এসে দাঁড়িয়েছি।