আসন্ন রমাদানের পবিত্রতা রক্ষা এবং তাক্বওয়ার ভিত্তিতে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার আহ্বান ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াতের
আসন্ন মাহে রমাদানের পবিত্রতা রক্ষা এবং তাক্বওয়ার ভিত্তিতে ব্যক্তি, সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনার আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমীর ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান ২১ মার্চ নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।
“রহমত, মাগফিরাত ও নাজাতের সওগাত নিয়ে আমাদের সামনে এসেছে পবিত্র মাহে রমাদান। এ মাসের শেষ দশ দিনের মধ্যে রয়েছে পবিত্র লাইলাতুল ক্বদর নামে একটি বরকতময় মহিমান্বিত রাত যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। এ মাসে একটি ফরজ কাজ আঞ্জাম দিলে অন্য মাসের ৭০টি ফরজ কাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়; আর ১টি নফল কাজের আঞ্জাম দিলে ১টি ফরজ কাজের সমপরিমাণ সওয়াব পাওয়া যায়। এ মাস তাক্বওয়া, সহনশীলতা ও পরস্পরের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শনের মাস।’
আমরা লক্ষ্য করছি পবিত্র মাহে রমাদান উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন সভা-সমাবেশে পুলিশ হানা দিচ্ছে। অতি সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার মিরপুরে রমাদান ও যাকাত শীর্ষক এক আলোচনা সভা থেকে পুলিশ ৫৮ জন মুসল্লীকে আটক করে। বিরোধী মতের লোকজনকে প্রতিনিয়ত গ্রেফতার ও হয়রানি করা হচ্ছে। অপরদিকে দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। টিসিবির ট্রাকে ভোর থেকে দীর্ঘ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থেকেও অনেকে প্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছে না। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষজন অতি কষ্টে জীবন-যাপন করছে। অনেকে অনাহারে-অর্ধাহারে দিন অতিবাহিত করছে। এসব অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমি সমাজের বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
পবিত্র এ রমাদান মাস কুরআন নাজিলের মাস। কুরআন মানবজাতির প্রতি আল্লাহ তাআলার সর্বশ্রেষ্ঠ নিয়ামত। পবিত্র কুরআন অধ্যয়নের মাধ্যমে কুরআনকে সঠিকভাবে জানা এবং সেই অনুযায়ী নিজের ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও রাষ্ট্রীয় জীবন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার মাধ্যমেই সত্যিকারার্থে পবিত্র রমাদান মাসের হক আদায় করা হবে। কুরআন থেকে হিদায়াত লাভের জন্য যে মন-মানসিকতা ও চরিত্রের প্রয়োজন, সেই মন ও চরিত্র গঠনের উদ্দেশ্যেই মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের ওপর মাহে রমাদানের সিয়াম পালনকে ফরজ করেছেন। পূর্ণ মর্যাদার সাথে ও পরিপূর্ণ হক আদায় করে মাসব্যাপী সিয়াম পালনের মাধ্যমে সে লক্ষ্য অর্জনে সচেষ্ট হওয়ার জন্য আমি সকলের প্রতি আহবান জানাচ্ছি।
মাহে রমাদানের পবিত্রতা রক্ষা, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, অশ্লীলতা, বেহায়াপনা ও নগ্নতা বন্ধ করার দায়িত্ব প্রধানত সরকারের। আমরা সরকারকে এসব গর্হিত কাজ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।