আল্লাহর সাথে করা অঙ্গীকার নবায়নের দিনই হচ্ছে ১২ ই রবিউল আউয়াল- মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ
দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির একমাত্র পথ হচ্ছে রাসূল সাঃ এর সঠিক অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার দেয়া বিধান ইসলামকে ব্যক্তিজীবন, সামাজিক জীবন ও রাষ্ট্রীয় জীবনে পরিপূর্ণ ভাবে মেনে চলা।সীরাতুন্নবী সাঃ উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে উপরোক্ত কথা বলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী-নারায়ণগঞ্জ মহানগরী শাখার আমীর মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমাদ।
নারায়ণগঞ্জবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, সারা দুনিয়া যখন জাহেলিয়াতের অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, কুসংস্কারাচ্ছন্ন সমাজ যখন মুক্তির পথ হারিয়ে ক্রমান্বয়ে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছিলো, নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষেরা যখন তাদের মানুষের অধিকার হারিয়ে দাস ও গোলামে পরিনত হচ্ছিলো, নারীদের যখন শুধুমাত্র ভোগের পণ্যে পরিণত করা হয়েছিল তখনই মানুষের মুক্তির জন্য আল্লাহর বিধান নিয়ে দুনিয়াতে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তেইশ বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ এবং কোরবানির মাধ্যমে তিনি মানুষের জন্য আল্লাহর মনোনীত পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান ইসলামকে সমাজের সকল ক্ষেত্রে পরিপূর্ণ ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ইসলামের আগমনে জাহেলিয়াতের অন্ধকার থেকে মানুষ মুক্তির দিশা পেয়েছিল। অত্যাচার ও নির্যাতনে নিষ্পেষিত দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষগুলো তাদের স্বাধিকার ফিরে পেয়েছিল। সমাজে নারীদের মর্যাদা, সম্মান ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “কোরআন ও সুন্নাহর পথ ছেড়ে মানুষেরা আবার জাহেলিয়াতের সেই অন্ধকার যুগের দিকেই ফিরে যাচ্ছে। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে আজ অন্যায়, জুলুম আর অবিচারের বিজয়োল্লাশ। মানুষ তাদের মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। পথে পথে আজ নির্মাণ বুভুক্ষু মানুষের মিছিল। ধনী-দরীদ্রের বৈষম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে।” এ অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য তিনি মানুষকে আল্লাহর বিধান কায়েমের সংগ্রামে অংশ গ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, “একমাত্র রাসূল সাঃ এর দেখানো পদ্ধতিতেই ইসলামের সঠিক অনুসরণ করতে হবে।”